ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে বর্গমূল নিয়ে অনেকেই আলোচনা করেছেন। পদ্ধতিগত এবং সুশৃঙ্খলভাবে আলোচনা করা হয়েছে প্রথম আর্যভটের সময় থেকে। তবে প্রথম আর্যভট ছাড়া শ্রীধরাচার্য, মহাবীর, শ্রীপতি ও দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতীয় গণিতশাস্ত্রের অমূল্য গ্রন্থ শুষ সূত্রে দ্বিকরণী বলে অভিহিত করা হয়েছে। অবশ্য বর্গমূলের ‘মূল’ শব্দটি অনুযোগদ্বার সূত্রে পাওয়া যায়।
প্রথমেই ভাস্করাচার্য (দ্বিতীয়) বর্গমূল সম্পর্কে কি বলেছেন তা দেখা যাক। লীলাবতীর প্রথম অধ্যায়ের একুশতম শ্লোকে বলেছেন:
“তত্ত্বান্ত্যাদ বিষমান্ত কৃতিং দ্বিগুণয়েম্মুলং সথে তস্কৃতে ত্যক্তা
লব্ধকৃতং তদাদ্যবিষমাল্লরূং দ্বিনিম্নং ন্যাসেৎ। পড়ুক্তাং পঙক্তি
হতে সমেহন্য বিষমাব্যক্তাপ্তবর্গং ফলং পড়ুক্তাং তদ
দ্বিগুণং বন্যাসেদিতি মুহুঃ পত্রক্তে দলং স্ক্যাৎ পদম্।”
অর্থাৎ বিষম রাশির শেষ ত্যাগ করিয়া মূল রাশিকে দ্বিগুণ করিতে হইবে। সম রাশিকে তাহার দ্বারা ভাগ করিয়া যে ভাগফল হইল, সমরাশি হইতে বিয়োগ করিয়া দ্বিগুণ করিয়া রাখিতে হইবে। ভাগফলের দ্বিগুণ রাখিতে হইবে। সেই ভাগফলের বর্গ সেই এইরূপ এক পঙক্তিতে ভাগফলের দ্বিগুণ রাখিতে হইবে।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৮)