০১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নবাবী সেমাই: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রেসিপি

বাংলাদেশের ঈদউৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের সময় যেসব মিষ্টি খাবার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তার মধ্যে সেমাই অন্যতম। এর মধ্যে নবাবী সেমাই” একটি রাজকীয় স্বাদের ঐতিহ্যবাহী রেসিপি। দুধঘিবাদামকিশমিশ আর ঘন মিষ্টি স্বাদের মিশেলে তৈরি এই সেমাই ভোজনরসিকদের হৃদয় জয় করে। আজ আমরা শিখব কীভাবে বাড়িতেই সহজে তৈরি করবেন এই বিশেষ নবাবী সেমাই।

উপকরণ

সেমাই (প্যাকেটজাত বা হাতের তৈরি): ২০০ গ্রাম
ঘি: ৪ টেবিল চামচ
তরল দুধ: ১ লিটার
ঘন দুধ (খোয়া বা কনডেন্সড মিল্ক): ১ কাপ (ঐচ্ছিকস্বাদ বাড়ানোর জন্য)
চিনি: আধা থেকে এক কাপ (স্বাদমতো)
কাজু বাদাম: ১০ থেকে ১২টি
পেস্তা বাদাম: ১০ থেকে ১২টি
কিশমিশ: ১০ থেকে ১৫টি
এলাচ গুঁড়ো: আধা চা চামচ
গোলাপ জল: ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী

১. সেমাই ভাজা
একটি ভারী তলাযুক্ত কড়াইতে ঘি গরম করুন।
সেমাই দিয়ে হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত নাড়তে-নাড়তে ভেজে নিন। এতে দারুণ ঘ্রাণ হবে।
ভাজা হয়ে গেলে সেমাই তুলে আলাদা করে রাখুন।

২. বাদাম ও কিশমিশ ভাজা
একই কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে কাজুপেস্তা আর কিশমিশ হালকা ভাজুন।
বাদাম হালকা বাদামী রঙ নিলে ও কিশমিশ ফুলে গেলে নামিয়ে নিন।

৩. দুধ ফুটানো
অন্য একটি পাত্রে দুধ বসিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন।
দুধ একটু কমে এলে ঘন দুধ (কনডেন্সড মিল্ক বা খোয়া) মিশিয়ে দিন।
ভালো করে নাড়ুন যাতে দুধে কোনো দানা না থাকে।

৪. সেমাই মিশানো
ফুটন্ত দুধে ভাজা সেমাই যোগ করুন।
ভালো করে নাড়ুন যাতে সেমাই দুধে ভালো করে মিশে যায়।
১০১৫ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন। সেমাই নরম ও দুধ ঘন হয়ে এলে চিনি মিশিয়ে দিন।

৫. ফ্লেভার আর সাজানো
চিনি গলে গেলে এলাচ গুঁড়ো দিন।
গোলাপ জল (যদি ব্যবহার করেন) দিন।
উপরে ভাজা বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।
কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন যাতে সব ফ্লেভার মিশে যায়।

পরিবেশন প্রণালী
গরম গরম বা ফ্রিজে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায়।
উপরে আরও কিছু বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিলে দেখতে ও খেতে আরও দারুণ হয়।

বিশেষ টিপস
যারা বেশি ঘন ও মালাইদার সেমাই পছন্দ করেন তারা দুধ আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ঘন করে নিতে পারেন।
চিনি পরিমাণ স্বাদমতো কম-বেশি করুন।
গোলাপ জল না দিলে এলাচের স্বাদই যথেষ্ট হবে।
খোয়া বা কনডেন্সড মিল্ক যোগ করলে নবাবী ঘনত্ব ও স্বাদ অনেক বেশি হবে।

নবাবী সেমাই বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও সমাদৃত মিষ্টি খাবার। বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায়অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবে বাড়তি রাজকীয়তার ছোঁয়া আনতে এই রেসিপি আপনার সেরা সঙ্গী হবে।

খুশি হয়ে খানঅতিথিদের খাওয়ানউৎসবকে মধুর করুন!

নবাবী সেমাই: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রেসিপি

০৫:০০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের ঈদউৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের সময় যেসব মিষ্টি খাবার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তার মধ্যে সেমাই অন্যতম। এর মধ্যে নবাবী সেমাই” একটি রাজকীয় স্বাদের ঐতিহ্যবাহী রেসিপি। দুধঘিবাদামকিশমিশ আর ঘন মিষ্টি স্বাদের মিশেলে তৈরি এই সেমাই ভোজনরসিকদের হৃদয় জয় করে। আজ আমরা শিখব কীভাবে বাড়িতেই সহজে তৈরি করবেন এই বিশেষ নবাবী সেমাই।

উপকরণ

সেমাই (প্যাকেটজাত বা হাতের তৈরি): ২০০ গ্রাম
ঘি: ৪ টেবিল চামচ
তরল দুধ: ১ লিটার
ঘন দুধ (খোয়া বা কনডেন্সড মিল্ক): ১ কাপ (ঐচ্ছিকস্বাদ বাড়ানোর জন্য)
চিনি: আধা থেকে এক কাপ (স্বাদমতো)
কাজু বাদাম: ১০ থেকে ১২টি
পেস্তা বাদাম: ১০ থেকে ১২টি
কিশমিশ: ১০ থেকে ১৫টি
এলাচ গুঁড়ো: আধা চা চামচ
গোলাপ জল: ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালী

১. সেমাই ভাজা
একটি ভারী তলাযুক্ত কড়াইতে ঘি গরম করুন।
সেমাই দিয়ে হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত নাড়তে-নাড়তে ভেজে নিন। এতে দারুণ ঘ্রাণ হবে।
ভাজা হয়ে গেলে সেমাই তুলে আলাদা করে রাখুন।

২. বাদাম ও কিশমিশ ভাজা
একই কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে কাজুপেস্তা আর কিশমিশ হালকা ভাজুন।
বাদাম হালকা বাদামী রঙ নিলে ও কিশমিশ ফুলে গেলে নামিয়ে নিন।

৩. দুধ ফুটানো
অন্য একটি পাত্রে দুধ বসিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন।
দুধ একটু কমে এলে ঘন দুধ (কনডেন্সড মিল্ক বা খোয়া) মিশিয়ে দিন।
ভালো করে নাড়ুন যাতে দুধে কোনো দানা না থাকে।

৪. সেমাই মিশানো
ফুটন্ত দুধে ভাজা সেমাই যোগ করুন।
ভালো করে নাড়ুন যাতে সেমাই দুধে ভালো করে মিশে যায়।
১০১৫ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন। সেমাই নরম ও দুধ ঘন হয়ে এলে চিনি মিশিয়ে দিন।

৫. ফ্লেভার আর সাজানো
চিনি গলে গেলে এলাচ গুঁড়ো দিন।
গোলাপ জল (যদি ব্যবহার করেন) দিন।
উপরে ভাজা বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।
কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন যাতে সব ফ্লেভার মিশে যায়।

পরিবেশন প্রণালী
গরম গরম বা ফ্রিজে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায়।
উপরে আরও কিছু বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিলে দেখতে ও খেতে আরও দারুণ হয়।

বিশেষ টিপস
যারা বেশি ঘন ও মালাইদার সেমাই পছন্দ করেন তারা দুধ আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ঘন করে নিতে পারেন।
চিনি পরিমাণ স্বাদমতো কম-বেশি করুন।
গোলাপ জল না দিলে এলাচের স্বাদই যথেষ্ট হবে।
খোয়া বা কনডেন্সড মিল্ক যোগ করলে নবাবী ঘনত্ব ও স্বাদ অনেক বেশি হবে।

নবাবী সেমাই বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও সমাদৃত মিষ্টি খাবার। বাড়িতে সহজেই তৈরি করা যায়অতিথি আপ্যায়ন বা উৎসবে বাড়তি রাজকীয়তার ছোঁয়া আনতে এই রেসিপি আপনার সেরা সঙ্গী হবে।

খুশি হয়ে খানঅতিথিদের খাওয়ানউৎসবকে মধুর করুন!