গাজীপুরের নক্ষত্র, শিক্ষার বাতিঘর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, শিশু-সংগঠক এবং ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি, কচি-কাঁচা একাডেমি, নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ২৬শে জুলাই (শনিবার) প্রতিষ্ঠানের সাযযাদ কাদির মঞ্চে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমে সকালে উন্মোচন করা হয় ‘জ্ঞানধ্রুবতারা’ শিরোনামে দেওয়াল পত্রিকা।

প্রভাষক টগর রুরাম এর নির্দেশনায় এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাৰ্থী সূচনার সম্পাদনায় দেওয়াল পত্রিকা উন্মোচন করেন প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর বন্ধুবর এবং ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অসীম বিভাকর। এরপর শুরু হয় স্মরণসভা। প্রভাষক জনাব আতিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠান সভাপতি ও ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি’র সভাপতি জনাব মো. শওকত সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অসীম বিভাকর।

প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর করমময় বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ও সদস্য সচিব জনাব হায়দার সিদ্দিকী উদয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মিঠুন সিদ্দিকী, কবি ও সাংবাদিক জনাব শাহান শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক অসীম বিভাকর। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিকুর রহমান অর্ণব। স্মরণসভায় প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী স্যারের বন্ধুবর অধ্যাপক অসীম বিভাকর স্মৃতিচারণ করে বলেন,” প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ছিলেন একজন ধ্রুবতারা। শিক্ষার্থীদের অন্তরে যে জ্ঞান ও শুভকাজের বীজ তিনি বুনে দিয়েছেন তা বিকশিত হচ্ছে ডালপালা মেলে। কীর্তিমানের যেমন মৃত্যু নেই, তেমনি প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীও তাঁর সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে সবার হৃদয়ে বেঁচে রবেন চিরকাল। ”

স্মরণসভার আলোচনা শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সবশেষে প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 
























