১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সাতক্ষীরার সোনাই নদী: ভৌগোলিক সীমানা থেকে জীবনের স্রোতে পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১২) ইউরোপে ইহুদি আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা: উগ্রপন্থা ও অতিবাম ঘরানার জোটের জয় ইয়ারলুং সাংপো নদীতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণেও চীনের অর্থনীতিতে পুনর্জাগরণ অনিশ্চিত আলিয়া ভাটের ‘এক্সপ্যানশন ইরা’: ঘরোয়া সুপারস্টার থেকে গ্লোবাল, মাল্টি-হাইফেনেট ক্যারিয়ার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১০) সিউলে ২১তম পারফর্মিং আর্টস মার্কেট: বিশ্বব্যাপী সৃজনশীলতার নতুন দ্বার উন্মোচন ড্যাশবোর্ডে ভরসা করছে বোরবন—ডেটা ও অটোমেশনে ‘ক্রাফট’ বদলাবে কি? আমাজন এমজিএমে ডোয়েন জনসন–বেনি সাফদির ‘Lizard Music’ চীনের গ্রামীণ নারীর জীবনে ডিজিটাল বিপ্লব

কর্মক্ষম থাকতে সাপ্তাহিক বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তির গুরুত্ব

বিশ্রাম কেন অপরিহার্য

শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ রাখতে বিশ্রাম অপরিহার্য। একটানা কাজের চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা ও শারীরিক ক্লান্তি যদি নিয়মিত জমতে থাকে, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাই সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা বজায় রাখার জন্যও জরুরি।

কত ঘণ্টা বিশ্রাম দরকার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী—

  • • প্রতিদিনের ঘুম:প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা মানসম্মত ঘুম অপরিহার্য।
  • • সাপ্তাহিক বিশ্রাম:সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন আংশিক বা পূর্ণ বিশ্রামের দিন রাখা ভালো।
  • • ছোট বিরতি:কর্মঘণ্টার মাঝখানে ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিলে মনোযোগ ও শক্তি উভয়ই বাড়ে। এই সময়গুলোতে শুধু শারীরিক বিশ্রাম নয়, মানসিক প্রশান্তিও গুরুত্বপূর্ণ।

The 7 Types Of Rest | The Natural Bedding Company

বিশ্রামের ধরণ

সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে হলে তা হতে হবে বহুমুখী। সাধারণত বিশ্রামের ধরণগুলো হলো—

শারীরিক বিশ্রাম
ভারী কাজ বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর পেশি ও অস্থিকে আরাম দিতে কিছুক্ষণ শোয়া বা আরামদায়কভাবে বসা প্রয়োজন।

মানসিক বিশ্রাম
কর্মক্ষেত্রের চাপ বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা থেকে মনকে সাময়িক দূরে রাখা জরুরি। বই পড়া, হালকা গান শোনা বা নিরিবিলি সময় কাটানো মানসিক বিশ্রাম দেয়।

সামাজিক বিশ্রাম
ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক স্থিতি ফিরিয়ে আনে। সামাজিক মেলামেশা ইতিবাচক শক্তি জোগায়।

প্রকৃতির সান্নিধ্য
পার্ক, নদীর ধারে বা গ্রামীণ পরিবেশে কিছু সময় কাটানো মনকে শান্ত করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

My Sunday Reset Routine – How to Do a Weekly Reset

সাপ্তাহিক বিশ্রামের উপযুক্ত রুটিন

একটি সুষম সাপ্তাহিক বিশ্রাম পরিকল্পনা হতে পারে—

  • • সপ্তাহে অন্তত একদিন সম্পূর্ণ কর্মমুক্ত রাখা।
  • • অন্যদিনগুলোতে প্রতিদিন কাজ শেষে অন্তত ১-২ ঘণ্টা নিজের পছন্দের কাজে সময় দেওয়া।
  • • সকালে বা রাতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা।
  • • মোবাইল,টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে বিরতি নেওয়া।

David Irvine - Balancing Work And Rest: Be Productive by Making Time To Be  Unproductive

বিশ্রাম ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য

অতিরিক্ত বিশ্রাম যেমন কর্মদক্ষতা কমায়, তেমনি অতিরিক্ত কাজও শরীর ও মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন—যেখানে কাজ, বিশ্রাম, ব্যায়াম ও বিনোদন সমানভাবে স্থান পায়।

এক ধরনের বিনিয়োগ

সপ্তাহে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া শুধু আরাম নয়, এটি এক ধরনের বিনিয়োগ—যা শরীরের শক্তি, মানসিক স্বচ্ছতা এবং কর্মদক্ষতা দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখে। সঠিক রুটিন, পর্যাপ্ত ঘুম ও মনকে শান্ত রাখার অভ্যাস একজন মানুষকে আগামী সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরার সোনাই নদী: ভৌগোলিক সীমানা থেকে জীবনের স্রোতে

কর্মক্ষম থাকতে সাপ্তাহিক বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তির গুরুত্ব

০৬:১৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

বিশ্রাম কেন অপরিহার্য

শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ রাখতে বিশ্রাম অপরিহার্য। একটানা কাজের চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা ও শারীরিক ক্লান্তি যদি নিয়মিত জমতে থাকে, তবে তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাই সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা বজায় রাখার জন্যও জরুরি।

কত ঘণ্টা বিশ্রাম দরকার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী—

  • • প্রতিদিনের ঘুম:প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা মানসম্মত ঘুম অপরিহার্য।
  • • সাপ্তাহিক বিশ্রাম:সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন আংশিক বা পূর্ণ বিশ্রামের দিন রাখা ভালো।
  • • ছোট বিরতি:কর্মঘণ্টার মাঝখানে ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিলে মনোযোগ ও শক্তি উভয়ই বাড়ে। এই সময়গুলোতে শুধু শারীরিক বিশ্রাম নয়, মানসিক প্রশান্তিও গুরুত্বপূর্ণ।

The 7 Types Of Rest | The Natural Bedding Company

বিশ্রামের ধরণ

সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে হলে তা হতে হবে বহুমুখী। সাধারণত বিশ্রামের ধরণগুলো হলো—

শারীরিক বিশ্রাম
ভারী কাজ বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর পেশি ও অস্থিকে আরাম দিতে কিছুক্ষণ শোয়া বা আরামদায়কভাবে বসা প্রয়োজন।

মানসিক বিশ্রাম
কর্মক্ষেত্রের চাপ বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা থেকে মনকে সাময়িক দূরে রাখা জরুরি। বই পড়া, হালকা গান শোনা বা নিরিবিলি সময় কাটানো মানসিক বিশ্রাম দেয়।

সামাজিক বিশ্রাম
ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক স্থিতি ফিরিয়ে আনে। সামাজিক মেলামেশা ইতিবাচক শক্তি জোগায়।

প্রকৃতির সান্নিধ্য
পার্ক, নদীর ধারে বা গ্রামীণ পরিবেশে কিছু সময় কাটানো মনকে শান্ত করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

My Sunday Reset Routine – How to Do a Weekly Reset

সাপ্তাহিক বিশ্রামের উপযুক্ত রুটিন

একটি সুষম সাপ্তাহিক বিশ্রাম পরিকল্পনা হতে পারে—

  • • সপ্তাহে অন্তত একদিন সম্পূর্ণ কর্মমুক্ত রাখা।
  • • অন্যদিনগুলোতে প্রতিদিন কাজ শেষে অন্তত ১-২ ঘণ্টা নিজের পছন্দের কাজে সময় দেওয়া।
  • • সকালে বা রাতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা।
  • • মোবাইল,টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে বিরতি নেওয়া।

David Irvine - Balancing Work And Rest: Be Productive by Making Time To Be  Unproductive

বিশ্রাম ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য

অতিরিক্ত বিশ্রাম যেমন কর্মদক্ষতা কমায়, তেমনি অতিরিক্ত কাজও শরীর ও মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন—যেখানে কাজ, বিশ্রাম, ব্যায়াম ও বিনোদন সমানভাবে স্থান পায়।

এক ধরনের বিনিয়োগ

সপ্তাহে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া শুধু আরাম নয়, এটি এক ধরনের বিনিয়োগ—যা শরীরের শক্তি, মানসিক স্বচ্ছতা এবং কর্মদক্ষতা দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখে। সঠিক রুটিন, পর্যাপ্ত ঘুম ও মনকে শান্ত রাখার অভ্যাস একজন মানুষকে আগামী সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।