০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
রাঙামাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শুরু গুলিতে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে চিরকুট, আতঙ্কে ছাত্রনেতা সায়মন জিয়নের পরিবার তারেক রহমান ও জামায়াত আমিরের চেয়েও বেশি নাহিদ ইসলামের বার্ষিক আয় সৌদি হামলায় ফাটল স্পষ্ট: ইয়েমেনে অস্ত্র চালান ঘিরে সৌদি–আমিরাত উত্তেজনা জলবায়ু সাংবাদিকতায় এক অনন্য কণ্ঠের বিদায়: তাতিয়ানা শ্লসবার্গের মৃত্যুতে নীরব হলো পরিবেশের গল্প রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার শেষযাত্রা, ভুটানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে মার্কিন বাহিনীর বড় সাফল্য, নিহত সাত জঙ্গি, আটক আরও বহু যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি টিকে আছে, তবু স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের জীবনে জলবায়ু নীতিতে উল্টো স্রোত: ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় খালেদা জিয়ার মৃত্যু ও একই দিনে বহিষ্কার: রুমিন ফারহানার মন্তব্য

পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৯০ টাকায় পৌঁছাল

এই সপ্তাহে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২০–২৫ টাকা বেড়ে গেছে। ঢাকার অধিকাংশ মহল্লার দোকানে কেজি ৮৫–৯০ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে, আর তুলনামূলকভাবে ভাল মজুত থাকা দোকানে ৭৫–৯০ টাকা। দাম বাড়ার ধাক্কা শুরু হয়েছে উৎস এলাকা পাবনা থেকে, যা দ্রুত পাইকারি বাজার পেরিয়ে রাজধানীতেও পৌঁছেছে।

খুচরা পর্যায়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৫৫–৬৫ টাকা থেকে ৭৫–৯০ টাকায় উঠে গেছে। পাবনার বোয়াইলমারী হাটে পাইকারি দর মণপ্রতি (৪০ কেজি) ২,০০০–২,২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২,৫০০–২,৭০০ টাকা হয়েছে—অর্থাৎ কেজিপ্রতি ১২.৫–১৭.৫ টাকা বৃদ্ধি, যা দ্রুতই ভোক্তার দামে প্রতিফলিত হয়েছে।

কৃষকেরা জানাচ্ছেন, মজুত করা পেঁয়াজের একটি অংশ পচে গেছে—আগাম তুলনো, যথাযথ শুকানো/কিউরিং না হওয়া এবং সাম্প্রতিক বৃষ্টির যৌথ প্রভাবে বাজারে তোলার মতো সরবরাহ কমে গেছে। মজুত পাতলা হওয়ায় ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা দরের চাপ বাড়িয়েছেন। ফলাফল: সারাদেশে দ্রুত দাম বৃদ্ধি।

কর্তৃপক্ষ আপাতত আমদানির অনুমতি ধরে রেখেছে—তাদের যুক্তি, সস্তা বিদেশি পেঁয়াজ ঢুকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তবে দামের চাপ বাড়তে থাকায় বাজার শান্ত করতে নীতিগত ‘ইউ-টার্ন’-এর দাবি জোরাল হচ্ছে।

২০২৪ সালে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ের ক্ষতি ও দুর্বল সংরক্ষণ সেই সুফল অনেকটাই খেয়ে ফেলেছে। উৎসে সরবরাহ একটু কমলেই—যদিও অল্প সময়ের জন্য—ঢাকায় বিল দেওয়ার সময় ভোক্তার পকেট থেকেই বেশি টাকা বেরোয়।

তবু, এই সাপ্তাহিক ধাক্কার পরও বর্তমান ৭৫–৯০ টাকা কেজি গত বছরের একই সময়ের দরের নিচেই (দেশি ১১০–১২০ টাকা, আমদানি ১০০–১১০ টাকা)। অর্থাৎ এটি তীব্র স্বল্পমেয়াদি উল্লম্ফন, তবে এখনও সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙামাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শুরু

পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৯০ টাকায় পৌঁছাল

০৬:৩৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

এই সপ্তাহে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২০–২৫ টাকা বেড়ে গেছে। ঢাকার অধিকাংশ মহল্লার দোকানে কেজি ৮৫–৯০ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে, আর তুলনামূলকভাবে ভাল মজুত থাকা দোকানে ৭৫–৯০ টাকা। দাম বাড়ার ধাক্কা শুরু হয়েছে উৎস এলাকা পাবনা থেকে, যা দ্রুত পাইকারি বাজার পেরিয়ে রাজধানীতেও পৌঁছেছে।

খুচরা পর্যায়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৫৫–৬৫ টাকা থেকে ৭৫–৯০ টাকায় উঠে গেছে। পাবনার বোয়াইলমারী হাটে পাইকারি দর মণপ্রতি (৪০ কেজি) ২,০০০–২,২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২,৫০০–২,৭০০ টাকা হয়েছে—অর্থাৎ কেজিপ্রতি ১২.৫–১৭.৫ টাকা বৃদ্ধি, যা দ্রুতই ভোক্তার দামে প্রতিফলিত হয়েছে।

কৃষকেরা জানাচ্ছেন, মজুত করা পেঁয়াজের একটি অংশ পচে গেছে—আগাম তুলনো, যথাযথ শুকানো/কিউরিং না হওয়া এবং সাম্প্রতিক বৃষ্টির যৌথ প্রভাবে বাজারে তোলার মতো সরবরাহ কমে গেছে। মজুত পাতলা হওয়ায় ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা দরের চাপ বাড়িয়েছেন। ফলাফল: সারাদেশে দ্রুত দাম বৃদ্ধি।

কর্তৃপক্ষ আপাতত আমদানির অনুমতি ধরে রেখেছে—তাদের যুক্তি, সস্তা বিদেশি পেঁয়াজ ঢুকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তবে দামের চাপ বাড়তে থাকায় বাজার শান্ত করতে নীতিগত ‘ইউ-টার্ন’-এর দাবি জোরাল হচ্ছে।

২০২৪ সালে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ের ক্ষতি ও দুর্বল সংরক্ষণ সেই সুফল অনেকটাই খেয়ে ফেলেছে। উৎসে সরবরাহ একটু কমলেই—যদিও অল্প সময়ের জন্য—ঢাকায় বিল দেওয়ার সময় ভোক্তার পকেট থেকেই বেশি টাকা বেরোয়।

তবু, এই সাপ্তাহিক ধাক্কার পরও বর্তমান ৭৫–৯০ টাকা কেজি গত বছরের একই সময়ের দরের নিচেই (দেশি ১১০–১২০ টাকা, আমদানি ১০০–১১০ টাকা)। অর্থাৎ এটি তীব্র স্বল্পমেয়াদি উল্লম্ফন, তবে এখনও সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।