এই সপ্তাহে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২০–২৫ টাকা বেড়ে গেছে। ঢাকার অধিকাংশ মহল্লার দোকানে কেজি ৮৫–৯০ টাকার দরে বিক্রি হচ্ছে, আর তুলনামূলকভাবে ভাল মজুত থাকা দোকানে ৭৫–৯০ টাকা। দাম বাড়ার ধাক্কা শুরু হয়েছে উৎস এলাকা পাবনা থেকে, যা দ্রুত পাইকারি বাজার পেরিয়ে রাজধানীতেও পৌঁছেছে।
খুচরা পর্যায়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৫৫–৬৫ টাকা থেকে ৭৫–৯০ টাকায় উঠে গেছে। পাবনার বোয়াইলমারী হাটে পাইকারি দর মণপ্রতি (৪০ কেজি) ২,০০০–২,২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২,৫০০–২,৭০০ টাকা হয়েছে—অর্থাৎ কেজিপ্রতি ১২.৫–১৭.৫ টাকা বৃদ্ধি, যা দ্রুতই ভোক্তার দামে প্রতিফলিত হয়েছে।
কৃষকেরা জানাচ্ছেন, মজুত করা পেঁয়াজের একটি অংশ পচে গেছে—আগাম তুলনো, যথাযথ শুকানো/কিউরিং না হওয়া এবং সাম্প্রতিক বৃষ্টির যৌথ প্রভাবে বাজারে তোলার মতো সরবরাহ কমে গেছে। মজুত পাতলা হওয়ায় ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা দরের চাপ বাড়িয়েছেন। ফলাফল: সারাদেশে দ্রুত দাম বৃদ্ধি।
কর্তৃপক্ষ আপাতত আমদানির অনুমতি ধরে রেখেছে—তাদের যুক্তি, সস্তা বিদেশি পেঁয়াজ ঢুকলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তবে দামের চাপ বাড়তে থাকায় বাজার শান্ত করতে নীতিগত ‘ইউ-টার্ন’-এর দাবি জোরাল হচ্ছে।
২০২৪ সালে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেড়েছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ের ক্ষতি ও দুর্বল সংরক্ষণ সেই সুফল অনেকটাই খেয়ে ফেলেছে। উৎসে সরবরাহ একটু কমলেই—যদিও অল্প সময়ের জন্য—ঢাকায় বিল দেওয়ার সময় ভোক্তার পকেট থেকেই বেশি টাকা বেরোয়।
তবু, এই সাপ্তাহিক ধাক্কার পরও বর্তমান ৭৫–৯০ টাকা কেজি গত বছরের একই সময়ের দরের নিচেই (দেশি ১১০–১২০ টাকা, আমদানি ১০০–১১০ টাকা)। অর্থাৎ এটি তীব্র স্বল্পমেয়াদি উল্লম্ফন, তবে এখনও সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।