সব আঁকা বেশ কিছু ছবির প্রতিলিপি পাওয়া যাবে বিভিন্ন গ্রন্থে। যেমন, শ্রী পান্থের কেয়াবৎ মেয়ে (১৯৮৮)। এই বইয়ে পাঁচটি ছবির মধ্যে একটি ঢাকার।
আর্চারের ভাষায় এ ধরনের ড্রইং ছিল, “an overriding aesthetic end. It provided retransference to India of an attitude to art and to nature which had developed in England.”
প্রথমে শিল্পীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া যাক। অষ্টাদশ ও উনিশ শতকে ভারতবর্ষে যেসব পেশাদার ইংরেজ বা ইউরোপীয়। শিল্পী এসেছিলেন তাদের মধ্যে ফ্রান্সিসকো রেনান্ডি অন্যতম। তার সমসাময়িক চিনারি, জোফফানি বা ড্যানিয়েল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলেও রেনান্ডি সম্পর্কে যেটুকু জানা যায় তা হলো, ১৭৭৬ সালে তিনি ভর্তি হন লন্ডনের বিখ্যাত রয়েল অ্যাকাডেমিতে শিল্পবিদ্যা শিখতে।

বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকা, ১৩ যে ১৮১৭, পেনসিল ড্রইং, জর্জ চিনারি। সৌজন্যে। ক্রিস্টিস, যুক্তরাজ্য
লন্ডনে খুব সম্ভব কিছু করতে না পেরে চলে যান ইতালিতে ১৭৮১ সালে। দু’বছর পর ফের ফিরে আসেন লন্ডনে। আমরা দেখেছি লন্ডনে সেই সময় অনেক শিল্পী সুবিধা করতে না পেরে ভারতবর্ষে চলে আসেন, যেমন- জোফফানি বা চিনারি। রেনাল্ডিও চলে আসেন ভারতে ১৭৮৬ সালে। ভারতবর্ষে তিনি খানিকটা সুবিধা করতে পেরেছিলেন।
এখানে তিনি ধনাঢ্যদের অনুরোধে তাদের রক্ষিতাদের বা সপরিবারের ছবি এঁকেছেন। এসব আঁকা বেশ কিছু ছবির প্রতিলিপি পাওয়া যাবে বিভিন্ন গ্রন্থে। যেমন, শ্রী পান্থের কেয়াবৎ মেয়ে (১৯৮৮)। এই বইয়ে পাঁচটি ছবির মধ্যে একটি ঢাকার।
ঢাকার আঁকা ছবিটির তারিখ ১৭৮৯। এক বাঈজির ছবি। খুব সম্ভব কোনো ইংরেজ কর্মচারী বা ব্যবসায়ীর রক্ষিতা অথবা স্বাধীন। ছবিটি আছে, ইয়েল সেন্টার ফর ব্রিটিশ আর্টে (পল মেলন সংগ্রহ।। এতে অনুমান করছি তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রতিকৃতিটি আঁকার জন্য। ঢাকায় খুব বেশিদিন থাকেননি। কারণ, এই একটি ছাড়া, ঢাকায় আঁকা রেনাল্ডির আর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















