১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: ব্যবসায়ীদের শঙ্কা

এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক সুবিধা ভোগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে রপ্তানির জন্য বিশেষ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, আন্তর্জাতিক সংস্থার নরম শর্তে ঋণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং বৈশ্বিক সহযোগিতায় অগ্রাধিকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী বছর (২০২৬) আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন নীতি কমিটি (CDP) ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে দেশটি টানা তিনবার উত্তীর্ণ হয়েছে।

উত্তরণের ইতিবাচক দিক

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এই উত্তরণ একটি অর্জন ও মর্যাদার প্রতীক
এটি বৈশ্বিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে আরও সক্ষম ও স্থিতিশীল অর্থনীতি হিসেবে দেখবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে।
বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার সুযোগ সীমিত হলেও, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি কম মনে করবেন।

অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যাত্রার একটি স্বীকৃতি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে “মধ্যম আয়ের দেশ” হওয়ার পথে রয়েছে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণ সেই অর্জনের একটি বড় মাইলফলক। পরিকল্পনামন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সাফল্য দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতার প্রমাণ।

ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

তবে ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলের একটি বড় অংশ বলছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই উত্তরণ অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।
এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ যে শুল্কমুক্ত সুবিধা (Duty-Free & Quota-Free Access) পেতো, তা অনেক বাজারে (বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান) হারাবে।
রপ্তানি শিল্প, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত, এই সুবিধা হারালে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
ঋণ সুবিধার শর্ত কঠোর হবে, সুদের হার বাড়বে।
পরিবেশ, শ্রম অধিকার, উৎপাদন মানদণ্ড—এসব ক্ষেত্রে কঠোর আন্তর্জাতিক শর্ত মানতে হবে।

ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশের শিল্প এখনো পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠেনি। এ কারণে তাদের দাবি, যদি এই উত্তরণ আরও ৬ বছর পরে হতোতবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেতো। এফবিসিসিআই (FBCCI) এবং বিকেএমইএ (BKMEA) ইতোমধ্যে সরকারকে জানিয়েছে, শিল্পোন্নয়ন, প্রযুক্তি আধুনিকীকরণ এবং শ্রমিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাওয়া গেলে উত্তরণ বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য আরও স্থিতিশীল হতো।

কেন ৬ বছর পর উত্তরণ ব্যবসায়ীদের কাছে উপযোগী

 রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সময় পাওয়া: এ সময়ে তারা প্রযুক্তি উন্নয়ন, শ্রম দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন করতে পারবে।
আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, আসিয়ান ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ব্লকের সঙ্গে আরও শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে।
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন: অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, লজিস্টিকস—এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আরও কয়েক বছর সময় দরকার।
বৈদেশিক বাজারে অবস্থান দৃঢ়করণ: ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP+ সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা যাবে।

এছাড়া, ব্যবসায়ীদের মতে, আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত এবং বিনিয়োগ পরিবেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করলে, তখন এলডিসি থেকে উত্তরণের চাপ সামলানো অনেক সহজ হবে।

বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছু চাপে রয়েছে—

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট
  • মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি
  • আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়া
  • জ্বালানি সংকট ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি

এই অবস্থায় এলডিসি সুবিধা হারালে দেশের শিল্প ও ব্যবসা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কাই ব্যবসায়ীরা প্রকাশ করছেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা শ্রম অধিকার ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন নিয়ে কঠোর শর্ত দিচ্ছে। এর সঙ্গে শুল্ক সুবিধা হারালে প্রতিযোগিতা আরও জটিল হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণ নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এটি দেশের উন্নয়ন, সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক মর্যাদার প্রতীক। তবে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এই উত্তরণ কিছু চাপ তৈরি করবে—বিশেষ করে রপ্তানি ও শিল্প খাতে। তারা মনে করেন, আরও ৫–৬ বছরের প্রস্তুতির সুযোগ পাওয়া গেলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় এই উত্তরণ সামলাতে পারত।

অতএব, সরকারের উচিত একদিকে উত্তরণের আন্তর্জাতিক মর্যাদা কাজে লাগানো, অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও শিল্প খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা—যাতে এই পরিবর্তন অর্থনীতির জন্য চাপ নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার হয়ে ওঠে। বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ উদ্দীপনা প্যাকেজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP+ সুবিধা পাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরাও মনে করেন, উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে সরকার যদি নতুন নীতি-সহায়তা ও বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করে, তবে এলডিসি সুবিধা হারানো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় সংকট হবে না।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: ব্যবসায়ীদের শঙ্কা

০৭:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক সুবিধা ভোগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে রপ্তানির জন্য বিশেষ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, আন্তর্জাতিক সংস্থার নরম শর্তে ঋণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং বৈশ্বিক সহযোগিতায় অগ্রাধিকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী বছর (২০২৬) আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন নীতি কমিটি (CDP) ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে দেশটি টানা তিনবার উত্তীর্ণ হয়েছে।

উত্তরণের ইতিবাচক দিক

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এই উত্তরণ একটি অর্জন ও মর্যাদার প্রতীক
এটি বৈশ্বিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে আরও সক্ষম ও স্থিতিশীল অর্থনীতি হিসেবে দেখবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে।
বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার সুযোগ সীমিত হলেও, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি কম মনে করবেন।

অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যাত্রার একটি স্বীকৃতি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে “মধ্যম আয়ের দেশ” হওয়ার পথে রয়েছে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণ সেই অর্জনের একটি বড় মাইলফলক। পরিকল্পনামন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সাফল্য দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতার প্রমাণ।

ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

তবে ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলের একটি বড় অংশ বলছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই উত্তরণ অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।
এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ যে শুল্কমুক্ত সুবিধা (Duty-Free & Quota-Free Access) পেতো, তা অনেক বাজারে (বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান) হারাবে।
রপ্তানি শিল্প, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত, এই সুবিধা হারালে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
ঋণ সুবিধার শর্ত কঠোর হবে, সুদের হার বাড়বে।
পরিবেশ, শ্রম অধিকার, উৎপাদন মানদণ্ড—এসব ক্ষেত্রে কঠোর আন্তর্জাতিক শর্ত মানতে হবে।

ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশের শিল্প এখনো পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠেনি। এ কারণে তাদের দাবি, যদি এই উত্তরণ আরও ৬ বছর পরে হতোতবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেতো। এফবিসিসিআই (FBCCI) এবং বিকেএমইএ (BKMEA) ইতোমধ্যে সরকারকে জানিয়েছে, শিল্পোন্নয়ন, প্রযুক্তি আধুনিকীকরণ এবং শ্রমিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাওয়া গেলে উত্তরণ বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য আরও স্থিতিশীল হতো।

কেন ৬ বছর পর উত্তরণ ব্যবসায়ীদের কাছে উপযোগী

 রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সময় পাওয়া: এ সময়ে তারা প্রযুক্তি উন্নয়ন, শ্রম দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন করতে পারবে।
আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, আসিয়ান ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ব্লকের সঙ্গে আরও শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে।
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন: অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, লজিস্টিকস—এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আরও কয়েক বছর সময় দরকার।
বৈদেশিক বাজারে অবস্থান দৃঢ়করণ: ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP+ সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা যাবে।

এছাড়া, ব্যবসায়ীদের মতে, আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত এবং বিনিয়োগ পরিবেশে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করলে, তখন এলডিসি থেকে উত্তরণের চাপ সামলানো অনেক সহজ হবে।

বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছু চাপে রয়েছে—

  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট
  • মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি
  • আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়া
  • জ্বালানি সংকট ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি

এই অবস্থায় এলডিসি সুবিধা হারালে দেশের শিল্প ও ব্যবসা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কাই ব্যবসায়ীরা প্রকাশ করছেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা শ্রম অধিকার ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন নিয়ে কঠোর শর্ত দিচ্ছে। এর সঙ্গে শুল্ক সুবিধা হারালে প্রতিযোগিতা আরও জটিল হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণ নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এটি দেশের উন্নয়ন, সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক মর্যাদার প্রতীক। তবে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এই উত্তরণ কিছু চাপ তৈরি করবে—বিশেষ করে রপ্তানি ও শিল্প খাতে। তারা মনে করেন, আরও ৫–৬ বছরের প্রস্তুতির সুযোগ পাওয়া গেলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় এই উত্তরণ সামলাতে পারত।

অতএব, সরকারের উচিত একদিকে উত্তরণের আন্তর্জাতিক মর্যাদা কাজে লাগানো, অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও শিল্প খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা—যাতে এই পরিবর্তন অর্থনীতির জন্য চাপ নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার হয়ে ওঠে। বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য বিশেষ উদ্দীপনা প্যাকেজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP+ সুবিধা পাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরাও মনে করেন, উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে সরকার যদি নতুন নীতি-সহায়তা ও বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করে, তবে এলডিসি সুবিধা হারানো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় সংকট হবে না।