রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মব ভায়োলেন্সের শিকার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে “জুলাই আন্দোলন” সংশ্লিষ্ট হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার, ১৬ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিন এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ
শনিবার (১৬ আগস্ট) ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান আজিজুরকে আদালতে হাজির করে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারের প্রেক্ষাপট
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গেলে আজিজুর রহমান মব ভায়োলেন্সের শিকার হন। এরপর ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আজিজুরের বক্তব্য
গ্রেফতারের আগে আজিজুর জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত নন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজের উপার্জিত অর্থে কেনা ফুল নিয়ে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তার উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে “ফেরানো” নয়; কেবল বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো।
পুলিশের আবেদনে কী ছিল
জেলহাজতে পাঠানোর আবেদনে তদন্ত সংস্থা জানায়, মামলার সময়কার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদীর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সন্দিগ্ধ আসামি মো. আজিজুর রহমান (২৭)-এর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলেছে। সাধারণ মানুষের দ্বারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আটক হওয়ার সময় ধস্তাধস্তিতে তিনি সামান্য আঘাত পান। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মামলার পটভূমি
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ৪ আগস্ট “জুলাই আন্দোলন” চলাকালে নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাবমুখী এক মিছিলে ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আরিফুল মাটিতে পড়ে যান এবং ঢাকা মেডিক্যালে দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এ ঘটনার পর এ বছরের ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন তিনি।
বর্তমান অবস্থা
আদালতের নির্দেশে আজিজুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন। মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ ও শুনানি বিচারিক প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















