১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এডিপি বাস্তবায়ন হ্রাসের কারণ: একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রধান প্রতিবেদন

বাংলাদেশের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ রোববার এক বক্তব্যে জানান, চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। এডিপি হলো সরকারের উন্নয়ন ব্যয় ও অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান মাধ্যম। এর বাস্তবায়ন হার কমে যাওয়া অর্থনীতির গতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতিতে ধীরগতি তৈরি করেছে। প্রশ্ন হলো—কেন এই ধীরগতি ঘটছে? এর পেছনে অর্থনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক দুর্বলতা, বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা জটিল কারণ রয়েছে। নিচে প্রতিটি কারণ বিশ্লেষণ করা হলো।

অর্থনৈতিক চাপ ও রাজস্ব ঘাটতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বহুমুখী চাপে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, ডলারের সংকট এবং রাজস্ব ঘাটতি এডিপি বাস্তবায়নকে সরাসরি প্রভাবিত করছে। রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হওয়ায় উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সময়মতো ছাড় করা যাচ্ছে না। এর ফলে অনেক প্রকল্পে কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, সড়ক অবকাঠামো খাত এবং বড় শিল্প প্রকল্পগুলো এই ঘাটতির কারণে সমস্যায় পড়ছে।

বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০.৮১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক | শিরোনাম |  বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

বাংলাদেশের বহু বড় উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের উপর নির্ভরশীলতা বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অর্থ ছাড়ে বিলম্ব দেখা দিয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় অনেক প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে অর্থ পাচ্ছে না। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সেতু, রেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রশাসনিক ধীরগতি

বাংলাদেশে এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, দরপত্র মূল্যায়নের জটিলতা, ভূমি অধিগ্রহণে দেরি, পরিবেশ ছাড়পত্র ইত্যাদি কারণে সময় নষ্ট হয়। অনেক সময় প্রকল্প পরিচালকদের ঘনঘন বদলি করা হয়, যা প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ব্যাহত করে। ফলে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও অর্থ ব্যবহার হয় না এবং কাজের অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক ও নীতি অনিশ্চয়তা

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বেড়েছে। নীতিনির্ধারণে দেরি, প্রশাসনিক ধীরগতি এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নীতি পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে অনীহা প্রকাশ করছে। অনেক প্রকল্পে ঠিকাদাররা কাজ এগিয়ে নিতে চাইছে না, কারণ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর ফলে বাস্তবায়ন হার কমে যাচ্ছে।

এক বছরে মুদ্রাস্ফীতি কমে স্বস্তিতে জনগণ: নিয়ন্ত্রিত বাজার, স্থিতিশীল নীতি  | শিরোনাম | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয় বৃদ্ধি

চলতি সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এর ফলে নির্মাণসামগ্রী, জ্বালানি, পরিবহন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক প্রকল্পে প্রাথমিক অনুমিত বাজেট অতিক্রম করেছে। যেমন—সেতু নির্মাণ বা সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে ইস্পাত, সিমেন্ট ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বরাদ্দ অর্থ যথেষ্ট হচ্ছে না। এতে কাজ থমকে যাচ্ছে বা গতি হারাচ্ছে।

দক্ষ জনবলের অভাব

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল সংকট এডিপি বাস্তবায়নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনেক প্রকল্প পরিচালককে এক সঙ্গে একাধিক প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়, ফলে কোনো প্রকল্পেই যথাযথ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। আবার প্রকল্প পরিচালকের পদ অনেক সময় শূন্য থাকে বা বারবার পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে কাজের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয় এবং প্রকল্পে বিলম্ব দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

অর্থনীতিবিদদের মতে, এডিপি বাস্তবায়নের হার কমার পেছনে তাৎক্ষণিক এবং কাঠামোগত উভয় ধরনের কারণ কাজ করছে। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শুধু অর্থ ছাড় নয়, প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দক্ষতার ঘাটতিও বড় কারণ। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমলাতান্ত্রিক সংস্কার ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

পূর্ববর্তী বছরের তুলনা

গত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল প্রায় ৯২ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেটি নেমে এসেছে প্রায় ৮৫ শতাংশের নিচে। যদিও এই হার দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এখনো খারাপ নয়, তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এডিপি বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো অর্থনৈতিক চাপ, বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব, প্রশাসনিক জটিলতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি এবং দক্ষ জনবলের অভাব। এর সমাধানে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সরলীকরণ, বৈদেশিক অর্থায়ন দ্রুত ছাড় নিশ্চিতকরণ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল নিয়োগ জরুরি। অন্যথায় উন্নয়ন কার্যক্রম ধীরগতির শিকার হয়ে দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।

এডিপি বাস্তবায়ন হ্রাসের কারণ: একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রধান প্রতিবেদন

০৫:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ রোববার এক বক্তব্যে জানান, চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। এডিপি হলো সরকারের উন্নয়ন ব্যয় ও অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান মাধ্যম। এর বাস্তবায়ন হার কমে যাওয়া অর্থনীতির গতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতিতে ধীরগতি তৈরি করেছে। প্রশ্ন হলো—কেন এই ধীরগতি ঘটছে? এর পেছনে অর্থনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক দুর্বলতা, বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা জটিল কারণ রয়েছে। নিচে প্রতিটি কারণ বিশ্লেষণ করা হলো।

অর্থনৈতিক চাপ ও রাজস্ব ঘাটতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বহুমুখী চাপে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, ডলারের সংকট এবং রাজস্ব ঘাটতি এডিপি বাস্তবায়নকে সরাসরি প্রভাবিত করছে। রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হওয়ায় উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সময়মতো ছাড় করা যাচ্ছে না। এর ফলে অনেক প্রকল্পে কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, সড়ক অবকাঠামো খাত এবং বড় শিল্প প্রকল্পগুলো এই ঘাটতির কারণে সমস্যায় পড়ছে।

বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০.৮১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক | শিরোনাম |  বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

বাংলাদেশের বহু বড় উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের উপর নির্ভরশীলতা বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অর্থ ছাড়ে বিলম্ব দেখা দিয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় অনেক প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে অর্থ পাচ্ছে না। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সেতু, রেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রশাসনিক ধীরগতি

বাংলাদেশে এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, দরপত্র মূল্যায়নের জটিলতা, ভূমি অধিগ্রহণে দেরি, পরিবেশ ছাড়পত্র ইত্যাদি কারণে সময় নষ্ট হয়। অনেক সময় প্রকল্প পরিচালকদের ঘনঘন বদলি করা হয়, যা প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ব্যাহত করে। ফলে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও অর্থ ব্যবহার হয় না এবং কাজের অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক ও নীতি অনিশ্চয়তা

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বেড়েছে। নীতিনির্ধারণে দেরি, প্রশাসনিক ধীরগতি এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নীতি পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে অনীহা প্রকাশ করছে। অনেক প্রকল্পে ঠিকাদাররা কাজ এগিয়ে নিতে চাইছে না, কারণ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর ফলে বাস্তবায়ন হার কমে যাচ্ছে।

এক বছরে মুদ্রাস্ফীতি কমে স্বস্তিতে জনগণ: নিয়ন্ত্রিত বাজার, স্থিতিশীল নীতি  | শিরোনাম | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয় বৃদ্ধি

চলতি সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এর ফলে নির্মাণসামগ্রী, জ্বালানি, পরিবহন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক প্রকল্পে প্রাথমিক অনুমিত বাজেট অতিক্রম করেছে। যেমন—সেতু নির্মাণ বা সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে ইস্পাত, সিমেন্ট ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বরাদ্দ অর্থ যথেষ্ট হচ্ছে না। এতে কাজ থমকে যাচ্ছে বা গতি হারাচ্ছে।

দক্ষ জনবলের অভাব

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল সংকট এডিপি বাস্তবায়নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনেক প্রকল্প পরিচালককে এক সঙ্গে একাধিক প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়, ফলে কোনো প্রকল্পেই যথাযথ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। আবার প্রকল্প পরিচালকের পদ অনেক সময় শূন্য থাকে বা বারবার পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে কাজের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয় এবং প্রকল্পে বিলম্ব দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

অর্থনীতিবিদদের মতে, এডিপি বাস্তবায়নের হার কমার পেছনে তাৎক্ষণিক এবং কাঠামোগত উভয় ধরনের কারণ কাজ করছে। ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শুধু অর্থ ছাড় নয়, প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দক্ষতার ঘাটতিও বড় কারণ। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমলাতান্ত্রিক সংস্কার ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

পূর্ববর্তী বছরের তুলনা

গত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল প্রায় ৯২ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেটি নেমে এসেছে প্রায় ৮৫ শতাংশের নিচে। যদিও এই হার দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এখনো খারাপ নয়, তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এডিপি বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো অর্থনৈতিক চাপ, বৈদেশিক অর্থায়নে বিলম্ব, প্রশাসনিক জটিলতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি এবং দক্ষ জনবলের অভাব। এর সমাধানে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সরলীকরণ, বৈদেশিক অর্থায়ন দ্রুত ছাড় নিশ্চিতকরণ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল নিয়োগ জরুরি। অন্যথায় উন্নয়ন কার্যক্রম ধীরগতির শিকার হয়ে দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।