০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
গ্রাহক সুরক্ষায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি: ‘সিপিসি গোল্ড’ অর্জন করল ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের প্রতি যৌন হয়রানি: নারী সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্ক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আপিলের শুনানি ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষে ধ্বংসস্তূপের মাঝে জীবন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে স্থগিত পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন গাজীপুরে অভিযান: সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুলসহ ৭ জন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকীর জামিন মঞ্জুর দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি: শক্তির মাধ্যমে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে নির্বাচনের আগের পরিবেশ এখনো নাজুক: আইআরআই টাইফুন কালমায়গির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে ১১৪ জনের মৃত্যু, ঝড়টি শক্তি সঞ্চয় করে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর

একটি সাধারণ আয়ে বড় পরিবার টিকিয়ে রাখা

বিয়ে, সীমিত সঞ্চয় ও পরিবার গড়ার স্বপ্ন

ব্রিটানি আইভি ও তার স্বামী মাইকেল আইভি বিয়ের পর হাতে খুব সামান্য সঞ্চয় রেখেছিলেন—হাজার ডলারেরও কম। বিয়ের খরচের পর তাদের হাতে টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। তবে তারা বড় একটি পরিবার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ব্রিটানি তখন হোম ডিপোতে খুচরা বিক্রেতার চাকরিতে ঘণ্টায় ১০ ডলার আয় করতেন। কিন্তু মাইকেলের ইউনিয়নভুক্ত নির্মাণকর্মীর চাকরিতে এর তিনগুণ বেশি বেতন আসত। পাশাপাশি, তার আগে থেকে নিজস্ব একটি ছোট দুই শোবার ঘরের বাড়ি ছিল, সিনসিনাটির বাইরে।

২০১২ সালে তারা প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। ব্রিটানি তখন ২০ বছর, মাইকেল ৩৪। জন্ম ছিল কঠিন, ছেলের নাড়ি গলায় জড়িয়ে গিয়ে ব্রিটানির পেলভিস ভেঙে যায়। তবুও তিনি মাতৃত্বকে জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে অনুভব করেছিলেন।

কম জন্মহার ও সামাজিক উদ্বেগ

বর্তমানে আইভি দম্পতির পাঁচ সন্তান রয়েছে, বয়স ৩ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা জানেন এটাই সাধারণ প্রবণতা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার এখন রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ে এবং জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হারের অনেক নিচে। গড় মাতৃত্বের বয়স এখন প্রায় ৩০, যা ২০০০ সালে ছিল ২৭।

রাজনীতিক ও নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, এই প্রবণতা ভবিষ্যতে সমাজের জন্য বড় সংকট তৈরি করবে। অথচ নব্বইয়ের দশকে দেশব্যাপী কিশোরী মাতৃত্ব কমানোর জন্য বড় প্রচার চালানো হয়েছিল।

জীবনযাত্রার ব্যয় ও সন্তান পালনের খরচ

একটি শিশুকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বড় করতে এখন গড়ে তিন লাখ ডলারের বেশি খরচ হয়। বাসস্থান, শিক্ষা ও শিশুসেবার ব্যয় দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার একক উপার্জনে টিকতে পারছে না। ফলে অনেক আমেরিকান পরিবার পরিকল্পিত সংখ্যার কম সন্তান নিচ্ছে।

তবে ব্রিটানি বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেছিলেন। তার স্বামী বয়সে বড় ছিলেন, তাই তিনি তাড়াতাড়ি সন্তান নিতে আগ্রহী হন। তিনি নিজের শৈশবে যেমন ভাইবোন ও কাজিনদের সঙ্গে বড় হয়েছেন, তেমন অভিজ্ঞতা নিজের সন্তানদের দিতেই চেয়েছিলেন। মাইকেলও বড় পরিবারে বড় হয়েছেন এবং তা গড়ার ইচ্ছে ছিল তারও।

খরচ সামলানো ও ক্যারিয়ার

প্রথম সন্তানের খরচ ব্রিটানি সামলাতে পেরেছিলেন সহজেই। তিনি বুকের দুধ খাওয়াতেন, ফলে দুধ কেনার খরচ লাগত না, কেবল ডায়াপার আর পোশাকের ব্যয়ই বেশি ছিল। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর প্রতিবেশী ও পরিবারের সহায়তায় এবং মাইকেলের আংশিক সময় দিয়ে তারা খরচ সামলাতে সক্ষম হন।

ব্রিটানি এ সময় ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সহযোগী ডিগ্রি শেষ করেন, ৪০ হাজার ডলারের ঋণ নিয়ে। হোম ডিপোতে তিনি পদোন্নতি পান, ঘণ্টায় ১২ ডলার আয় করতে থাকেন এবং বিক্রিতে পুরস্কারও জেতেন। তবে বড় ছেলের হাঁপানির কারণে তাকে খণ্ডকালীন চাকরিতে নেমে আসতে হয়।

২০১৮ সালে একসঙ্গে যমজ ছেলে-মেয়ের জন্ম হয়, যারা সময়ের আগেই জন্ম নেয়। তাদের জন্য দীর্ঘ হাসপাতাল চিকিৎসা দরকার হয়। ব্রিটানি তখন চাকরি ছেড়ে সন্তানদের দেখাশোনায় মন দেন। পরবর্তী সময়ে নতুন চাকরির চিন্তা করলেও শিশুসেবার খরচ মজুরির চেয়ে বেশি হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ও নতুন বাস্তবতা

২০২২ সালে পঞ্চম সন্তানের জন্মের সময় মাইকেল গুরুতর পিঠের ব্যথায় ভুগে কাজ হারান। চিকিৎসার জন্য তারা নিজেই টাকা জোগাড় করেন, এমনকি গাড়িও বিক্রি করতে হয়। পরে অস্ত্রোপচারের সুযোগ হয় এবং ধীরে ধীরে মাইকেল স্থানীয় স্কুলে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী হিসেবে নতুন চাকরি পান, বছরে প্রায় ৩৪ হাজার ডলারে। এটি আগের নির্মাণকাজের আয়ের চেয়ে কম হলেও স্থায়ী ছিল, যা তাদের স্বস্তি দেয়।

তারা বাড়তি আয় করেন ভাড়ার একটি ছোট বাড়ি থেকে, বছরে প্রায় ৪,২০০ ডলার। পোশাক কেনেন সেকেন্ডহ্যান্ড দোকান থেকে। কেবল জুতো, ব্যাগ ও অন্তর্বাসই নতুন কেনেন সন্তানদের জন্য।

জীবনের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আজ আইভি পরিবার পাঁচ সন্তান নিয়ে ছোট একটি দুই শোবার ঘরের বাড়িতেই থাকে। সবচেয়ে বড় চারজন স্কুলে যায়, ছোটটি এখনো অভিভাবকদের সঙ্গেই। মাইকেলের আয় বাড়লেও তা আগের নির্মাণকাজের সমান হয়নি।

ব্রিটানি বলেন, সন্তানদের সঙ্গে এতটা সময় কাটানো তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। তিনি বুঝতে পারেন কেন অনেকে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ জীবন কঠিন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, অসম্ভব নয়।

আগামী বছরগুলোতে সন্তানরা যখন আরও বড় হবে, তখন আবার চাকরিতে ফেরার আশা করছেন ব্রিটানি। হয়তো ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন, তবে যে কোনো কাজেই তিনি আগ্রহী। ২০২৮ সালে তিনি আবার সক্রিয়ভাবে চাকরি খোঁজার পরিকল্পনা করছেন।

উপসংহার

ব্রিটানি ও মাইকেল আইভির গল্প যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক বাস্তবতার একটি প্রতিচ্ছবি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তারা বড় পরিবার গড়ে তুলেছেন এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দকেই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাহক সুরক্ষায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি: ‘সিপিসি গোল্ড’ অর্জন করল ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স

একটি সাধারণ আয়ে বড় পরিবার টিকিয়ে রাখা

০৪:০০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বিয়ে, সীমিত সঞ্চয় ও পরিবার গড়ার স্বপ্ন

ব্রিটানি আইভি ও তার স্বামী মাইকেল আইভি বিয়ের পর হাতে খুব সামান্য সঞ্চয় রেখেছিলেন—হাজার ডলারেরও কম। বিয়ের খরচের পর তাদের হাতে টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। তবে তারা বড় একটি পরিবার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ব্রিটানি তখন হোম ডিপোতে খুচরা বিক্রেতার চাকরিতে ঘণ্টায় ১০ ডলার আয় করতেন। কিন্তু মাইকেলের ইউনিয়নভুক্ত নির্মাণকর্মীর চাকরিতে এর তিনগুণ বেশি বেতন আসত। পাশাপাশি, তার আগে থেকে নিজস্ব একটি ছোট দুই শোবার ঘরের বাড়ি ছিল, সিনসিনাটির বাইরে।

২০১২ সালে তারা প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। ব্রিটানি তখন ২০ বছর, মাইকেল ৩৪। জন্ম ছিল কঠিন, ছেলের নাড়ি গলায় জড়িয়ে গিয়ে ব্রিটানির পেলভিস ভেঙে যায়। তবুও তিনি মাতৃত্বকে জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে অনুভব করেছিলেন।

কম জন্মহার ও সামাজিক উদ্বেগ

বর্তমানে আইভি দম্পতির পাঁচ সন্তান রয়েছে, বয়স ৩ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা জানেন এটাই সাধারণ প্রবণতা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার এখন রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ে এবং জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হারের অনেক নিচে। গড় মাতৃত্বের বয়স এখন প্রায় ৩০, যা ২০০০ সালে ছিল ২৭।

রাজনীতিক ও নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, এই প্রবণতা ভবিষ্যতে সমাজের জন্য বড় সংকট তৈরি করবে। অথচ নব্বইয়ের দশকে দেশব্যাপী কিশোরী মাতৃত্ব কমানোর জন্য বড় প্রচার চালানো হয়েছিল।

জীবনযাত্রার ব্যয় ও সন্তান পালনের খরচ

একটি শিশুকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বড় করতে এখন গড়ে তিন লাখ ডলারের বেশি খরচ হয়। বাসস্থান, শিক্ষা ও শিশুসেবার ব্যয় দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার একক উপার্জনে টিকতে পারছে না। ফলে অনেক আমেরিকান পরিবার পরিকল্পিত সংখ্যার কম সন্তান নিচ্ছে।

তবে ব্রিটানি বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেছিলেন। তার স্বামী বয়সে বড় ছিলেন, তাই তিনি তাড়াতাড়ি সন্তান নিতে আগ্রহী হন। তিনি নিজের শৈশবে যেমন ভাইবোন ও কাজিনদের সঙ্গে বড় হয়েছেন, তেমন অভিজ্ঞতা নিজের সন্তানদের দিতেই চেয়েছিলেন। মাইকেলও বড় পরিবারে বড় হয়েছেন এবং তা গড়ার ইচ্ছে ছিল তারও।

খরচ সামলানো ও ক্যারিয়ার

প্রথম সন্তানের খরচ ব্রিটানি সামলাতে পেরেছিলেন সহজেই। তিনি বুকের দুধ খাওয়াতেন, ফলে দুধ কেনার খরচ লাগত না, কেবল ডায়াপার আর পোশাকের ব্যয়ই বেশি ছিল। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর প্রতিবেশী ও পরিবারের সহায়তায় এবং মাইকেলের আংশিক সময় দিয়ে তারা খরচ সামলাতে সক্ষম হন।

ব্রিটানি এ সময় ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সহযোগী ডিগ্রি শেষ করেন, ৪০ হাজার ডলারের ঋণ নিয়ে। হোম ডিপোতে তিনি পদোন্নতি পান, ঘণ্টায় ১২ ডলার আয় করতে থাকেন এবং বিক্রিতে পুরস্কারও জেতেন। তবে বড় ছেলের হাঁপানির কারণে তাকে খণ্ডকালীন চাকরিতে নেমে আসতে হয়।

২০১৮ সালে একসঙ্গে যমজ ছেলে-মেয়ের জন্ম হয়, যারা সময়ের আগেই জন্ম নেয়। তাদের জন্য দীর্ঘ হাসপাতাল চিকিৎসা দরকার হয়। ব্রিটানি তখন চাকরি ছেড়ে সন্তানদের দেখাশোনায় মন দেন। পরবর্তী সময়ে নতুন চাকরির চিন্তা করলেও শিশুসেবার খরচ মজুরির চেয়ে বেশি হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ও নতুন বাস্তবতা

২০২২ সালে পঞ্চম সন্তানের জন্মের সময় মাইকেল গুরুতর পিঠের ব্যথায় ভুগে কাজ হারান। চিকিৎসার জন্য তারা নিজেই টাকা জোগাড় করেন, এমনকি গাড়িও বিক্রি করতে হয়। পরে অস্ত্রোপচারের সুযোগ হয় এবং ধীরে ধীরে মাইকেল স্থানীয় স্কুলে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী হিসেবে নতুন চাকরি পান, বছরে প্রায় ৩৪ হাজার ডলারে। এটি আগের নির্মাণকাজের আয়ের চেয়ে কম হলেও স্থায়ী ছিল, যা তাদের স্বস্তি দেয়।

তারা বাড়তি আয় করেন ভাড়ার একটি ছোট বাড়ি থেকে, বছরে প্রায় ৪,২০০ ডলার। পোশাক কেনেন সেকেন্ডহ্যান্ড দোকান থেকে। কেবল জুতো, ব্যাগ ও অন্তর্বাসই নতুন কেনেন সন্তানদের জন্য।

জীবনের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আজ আইভি পরিবার পাঁচ সন্তান নিয়ে ছোট একটি দুই শোবার ঘরের বাড়িতেই থাকে। সবচেয়ে বড় চারজন স্কুলে যায়, ছোটটি এখনো অভিভাবকদের সঙ্গেই। মাইকেলের আয় বাড়লেও তা আগের নির্মাণকাজের সমান হয়নি।

ব্রিটানি বলেন, সন্তানদের সঙ্গে এতটা সময় কাটানো তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। তিনি বুঝতে পারেন কেন অনেকে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ জীবন কঠিন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, অসম্ভব নয়।

আগামী বছরগুলোতে সন্তানরা যখন আরও বড় হবে, তখন আবার চাকরিতে ফেরার আশা করছেন ব্রিটানি। হয়তো ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন, তবে যে কোনো কাজেই তিনি আগ্রহী। ২০২৮ সালে তিনি আবার সক্রিয়ভাবে চাকরি খোঁজার পরিকল্পনা করছেন।

উপসংহার

ব্রিটানি ও মাইকেল আইভির গল্প যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক বাস্তবতার একটি প্রতিচ্ছবি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তারা বড় পরিবার গড়ে তুলেছেন এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দকেই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করছেন।