১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
 সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক সিরাজগঞ্জে ব্র্যাক–ফিলিপস ফাউন্ডেশনের নতুন চার হেলথ সেন্টার প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলেও আস্থার লড়াইয়ে এগোচ্ছে চীন কাশ্মীরি মানেই সন্ত্রাসী নন- ওমর আব্দুল্লাহ গোপন সস রক্ষায় কঠোর নজরদারি: রেইজিং কেইনসের রহস্যময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সিআইএ–এর মূল্যায়নকে অস্বীকার করলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের কৃষিপণ্য শুল্ক ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে পারে ভারতের রপ্তানি

লতিফ সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হাফিজুর রহমান সহ মঞ্চ ৭১ এর আলোচকরা পুলিশ হেফাজতে

ডিআরইউ থেকে আটক
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে।

অনুষ্ঠানে উত্তেজনা
সেদিন মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষক, আইনজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের বক্তব্য
শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিআরইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনতার ভিড় ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কয়েকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট
ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ অতিথিরা আগে থেকেই উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় নেতা ড. কামাল হোসেন আসার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি।

ঘেরাও ও অবরোধ
‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অনুষ্ঠানস্থল ঘেরাও করে রাখে। তারা লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ ঠেকাতে অবরোধ গড়ে তোলে।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরাও ঘটনাস্থলে যোগ দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

সংঘর্ষ ও অভিযোগ
সংঘর্ষের সময় যুবলীগের তিন কর্মী ও আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ মোট সাতজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা দাবি করে, পুলিশ যেন লতিফ সিদ্দিকীসহ উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আটক করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

 সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা

লতিফ সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হাফিজুর রহমান সহ মঞ্চ ৭১ এর আলোচকরা পুলিশ হেফাজতে

০৪:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ডিআরইউ থেকে আটক
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে।

অনুষ্ঠানে উত্তেজনা
সেদিন মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষক, আইনজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের বক্তব্য
শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিআরইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনতার ভিড় ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কয়েকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট
ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ অতিথিরা আগে থেকেই উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় নেতা ড. কামাল হোসেন আসার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি।

ঘেরাও ও অবরোধ
‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অনুষ্ঠানস্থল ঘেরাও করে রাখে। তারা লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ ঠেকাতে অবরোধ গড়ে তোলে।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরাও ঘটনাস্থলে যোগ দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

সংঘর্ষ ও অভিযোগ
সংঘর্ষের সময় যুবলীগের তিন কর্মী ও আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ মোট সাতজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা দাবি করে, পুলিশ যেন লতিফ সিদ্দিকীসহ উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আটক করে।