০৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
সাতক্ষীরার তালায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: হাজরাকাটি বাজারে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হাইকোর্টের নির্দেশ—তিন সপ্তাহে বাস্তবায়ন করতে হবে বায়ুদূষণ রোধের ৯ দফা পদক্ষেপ ট্রাম্প শুল্ক কমালেন, শি রেয়ার-আর্থ নিয়ন্ত্রণে বিরত  সুপারপাওয়ার বন্ধুত্বে নতুন বার্তা মার্কিন পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর আহ্বান—জোট রাজনীতি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন টানাপোড়েন ‘দ্য উইচার’ সিজন ৪: লিয়াম হেমসওর্থের গেরাল্ট—সমালোচকেরা বলছেন ‘আত্মবিশ্বাসী রিসেট ব্রাজিলীয় কফিতে ৫০% শুল্ক—আমেরিকায় দাম বাড়ার আগে থেকেই রোস্টারদের সাপ্লাই সংকট এআই ডেটা-সেন্টারের কার্বন হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্ব—ঘাতে ‘গ্রিনহাউস গ্যাস প্রোটোকল বলিউড ছাড়িয়ে—দক্ষিণ এশিয়ার সুর এখন বৈশ্বিক প্লেলিস্টে চুরি হওয়া ডেটার গতিপথ দেখাবে প্রোটনের ‘ডাটা ব্রিচ অবজারভেটরি’ দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক-চালিত সাবমেরিন বানাতে দেবে ওয়াশিংটন—ট্রাম্প

ভারতের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮%, পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সর্বোচ্চ

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম প্রান্তিক এপ্রিল–জুন সময়ে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.৮%। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ হার।

প্রবৃদ্ধির সামগ্রিক চিত্র
পূর্ববর্তী অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪%। আর ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা ছিল মাত্র ৬.৫%। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬.৭% হবে। তবে বাস্তবে তা অনেক বেশি হয়েছে।

সরকারি পরিসংখ্যান দফতরের হিসাবে, জিডিপির পাশাপাশি মোট মূল্য সংযোজন (Gross Value Added–GVA) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৬%। আগের প্রান্তিকে এটি ছিল ৬.৮% এবং গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬.৫%। জিভিএ সাধারণত প্রবৃদ্ধির আরও নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে কর ও ভর্তুকির ওঠানামার প্রভাব পড়ে না।

ব্যাংক অব বরোদার প্রধান অর্থনীতিবিদ মদন সাবনাভিস বলেন, “প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে যদি চাপ তৈরি হয়, এ প্রবৃদ্ধি তা সামাল দিতে সহায়ক হবে।”

শিল্পভিত্তিক প্রবৃদ্ধি
কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ৩.৭% (আগে ছিল ৫.৪%)

খনন খাতের প্রবৃদ্ধি কমে –৩.১% (আগে ছিল ২.৫% বৃদ্ধি)

উৎপাদন খাত বেড়ে হয়েছে ৭.৭% (আগে ৪.৮%)

বিদ্যুৎ ও জনসেবায় প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৫% (আগে ৫.৪%)

নির্মাণ খাতে প্রবৃদ্ধি ৭.৬% (আগে ১০.৮%)

বাণিজ্য, হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত বেড়েছে ৮.৬% (আগে ৬%)

আর্থিক সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ৯.৫% (আগে ৭.৮%)

সরকারি প্রশাসন খাতে প্রবৃদ্ধি ৯.৮% (আগে ৮.৭%)

ব্যয়ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি
ব্যক্তিগত ভোগব্যয় বেড়েছে ৭% (আগে ৬%)

সরকারি ভোগব্যয় বেড়েছে ৭.৪% (আগে ছিল –১.৮% সংকোচন)

স্থায়ী মূলধন গঠন বেড়েছে ৭.৮% (আগে ৯.৪%)

ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
আইসিআরএ-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, কর রেয়াত, সুদের হার হ্রাস, খরিফ মৌসুমের ভালো অগ্রগতি এবং জিএসটি স্ল্যাব সংস্কার ব্যক্তিগত ভোগব্যয় বাড়াতে সহায়ক হবে। তবে উৎসব মৌসুমে অনেক পরিবার কর রেয়াত কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় বড় কেনাকাটা স্থগিত রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি আশার চেয়ে ভালো হলেও, সরকারি মূলধনী ব্যয় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও জরিমানার প্রভাব রপ্তানিতে আঘাত করতে পারে। ফলে প্রবৃদ্ধির ধারা কিছুটা মন্থর হতে পারে। তবে জিএসটি সংস্কার আংশিক স্বস্তি দেবে।”

তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুরো অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬%–এর কাছাকাছি থাকতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরার তালায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: হাজরাকাটি বাজারে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই

ভারতের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮%, পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সর্বোচ্চ

১২:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম প্রান্তিক এপ্রিল–জুন সময়ে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.৮%। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ হার।

প্রবৃদ্ধির সামগ্রিক চিত্র
পূর্ববর্তী অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪%। আর ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা ছিল মাত্র ৬.৫%। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬.৭% হবে। তবে বাস্তবে তা অনেক বেশি হয়েছে।

সরকারি পরিসংখ্যান দফতরের হিসাবে, জিডিপির পাশাপাশি মোট মূল্য সংযোজন (Gross Value Added–GVA) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৬%। আগের প্রান্তিকে এটি ছিল ৬.৮% এবং গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬.৫%। জিভিএ সাধারণত প্রবৃদ্ধির আরও নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে কর ও ভর্তুকির ওঠানামার প্রভাব পড়ে না।

ব্যাংক অব বরোদার প্রধান অর্থনীতিবিদ মদন সাবনাভিস বলেন, “প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে যদি চাপ তৈরি হয়, এ প্রবৃদ্ধি তা সামাল দিতে সহায়ক হবে।”

শিল্পভিত্তিক প্রবৃদ্ধি
কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ৩.৭% (আগে ছিল ৫.৪%)

খনন খাতের প্রবৃদ্ধি কমে –৩.১% (আগে ছিল ২.৫% বৃদ্ধি)

উৎপাদন খাত বেড়ে হয়েছে ৭.৭% (আগে ৪.৮%)

বিদ্যুৎ ও জনসেবায় প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৫% (আগে ৫.৪%)

নির্মাণ খাতে প্রবৃদ্ধি ৭.৬% (আগে ১০.৮%)

বাণিজ্য, হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত বেড়েছে ৮.৬% (আগে ৬%)

আর্থিক সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ৯.৫% (আগে ৭.৮%)

সরকারি প্রশাসন খাতে প্রবৃদ্ধি ৯.৮% (আগে ৮.৭%)

ব্যয়ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি
ব্যক্তিগত ভোগব্যয় বেড়েছে ৭% (আগে ৬%)

সরকারি ভোগব্যয় বেড়েছে ৭.৪% (আগে ছিল –১.৮% সংকোচন)

স্থায়ী মূলধন গঠন বেড়েছে ৭.৮% (আগে ৯.৪%)

ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
আইসিআরএ-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, কর রেয়াত, সুদের হার হ্রাস, খরিফ মৌসুমের ভালো অগ্রগতি এবং জিএসটি স্ল্যাব সংস্কার ব্যক্তিগত ভোগব্যয় বাড়াতে সহায়ক হবে। তবে উৎসব মৌসুমে অনেক পরিবার কর রেয়াত কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় বড় কেনাকাটা স্থগিত রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি আশার চেয়ে ভালো হলেও, সরকারি মূলধনী ব্যয় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও জরিমানার প্রভাব রপ্তানিতে আঘাত করতে পারে। ফলে প্রবৃদ্ধির ধারা কিছুটা মন্থর হতে পারে। তবে জিএসটি সংস্কার আংশিক স্বস্তি দেবে।”

তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুরো অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬%–এর কাছাকাছি থাকতে পারে।