০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ইউরোপের যেসব দেশ রুশ গ্যাস বাদ দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ‘কিছুটা কম’, বাস্তবে তবু বিপুল অর্থনৈতিক ঝুঁকি তোমার ফোন একটি নেশা নয়, এটি একটি পরকালের দরজা এআই ডেটা সেন্টারের দৌড়ে ক্রুশিয়াল ব্র্যান্ড বন্ধ করছে মাইক্রন ইতালির স্বপ্ন নড়ে উঠল: সিসিলি-মেসিনা সেতু প্রকল্পে আদালতের না–এর পর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে এশিয়ার সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজের প্রদর্শনী, চীনের শক্তি দেখানো না ঝুঁকির নতুন ধাপ?” পোকেমন-এর বিবর্তন: খেলার মাঠ থেকে বৈশ্বিক ঘটনা আপনার সন্তানদের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা কিভাবে করবেন থাইল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতির হার নভেম্বর মাসে আবার নেতিবাচক ভারতীয় রুপির ফরওয়ার্ড রেট বৃদ্ধি: সুদ কমানোর আশা কমে যাওয়া ও তারল্য সংকটে বাজারে চাপ

ভিয়েতনামে ১৩ বছরের স্বর্ণ ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অবসান

নতুন সিদ্ধান্ত
ভিয়েতনাম সরকার ১৩ বছর ধরে চলা স্বর্ণ উৎপাদন ও বাণিজ্যে রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন বেসরকারি খাতের জন্য বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে, যা দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়াতে পারে।

বেসরকারি খাতে সুযোগ
সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাবে, তারা স্বর্ণের বার উৎপাদন, আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এতদিন অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকে স্বর্ণের উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে।

ভিয়েতনাম ও বৈশ্বিক স্বর্ণ বাজার
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (WGC)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভিয়েতনাম এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ ভোক্তা দেশ, চীন ও ভারতের পরেই এর অবস্থান। তবে এতদিন রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের কারণে দেশটির অভ্যন্তরীণ স্বর্ণের দাম সব সময় আন্তর্জাতিক বাজার দামের চেয়ে বেশি ছিল।

WGC-এর উপদেষ্টা তাকাহিরো মরিতা বলেন, “সরকারি একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কারণে অভ্যন্তরীণ স্বর্ণের দাম সব সময় আন্তর্জাতিক দামের ওপরে ছিল। যদি আমদানি বাড়ে এবং বাজার উন্মুক্ত হয়, তাহলে দেশীয় দাম আন্তর্জাতিক দামের কাছাকাছি চলে আসবে।”

সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক দিক
ভারতের মতো ভিয়েতনামেও স্বর্ণ একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও এর চাহিদা বেশি। কারণ ২০২২ সালের শেষ থেকে ভিয়েতনামের মুদ্রা ‘ডং’ মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। এ কারণে মানুষ স্বর্ণকে সম্পদের নিরাপদ মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে দেখে।

বৈশ্বিক প্রভাব
মার্কেট স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের কোইচিরো কামেই মন্তব্য করেন, “যদি ভিয়েতনামে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করে, তাহলে গয়না ও অন্যান্য স্বর্ণপণ্যের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। এতে বৈশ্বিক স্বর্ণ সরবরাহের ওপরও চাপ তৈরি হতে পারে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউরোপের যেসব দেশ রুশ গ্যাস বাদ দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

ভিয়েতনামে ১৩ বছরের স্বর্ণ ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অবসান

০৩:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

নতুন সিদ্ধান্ত
ভিয়েতনাম সরকার ১৩ বছর ধরে চলা স্বর্ণ উৎপাদন ও বাণিজ্যে রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন বেসরকারি খাতের জন্য বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে, যা দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়াতে পারে।

বেসরকারি খাতে সুযোগ
সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাবে, তারা স্বর্ণের বার উৎপাদন, আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এতদিন অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকে স্বর্ণের উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে।

ভিয়েতনাম ও বৈশ্বিক স্বর্ণ বাজার
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (WGC)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভিয়েতনাম এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ ভোক্তা দেশ, চীন ও ভারতের পরেই এর অবস্থান। তবে এতদিন রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের কারণে দেশটির অভ্যন্তরীণ স্বর্ণের দাম সব সময় আন্তর্জাতিক বাজার দামের চেয়ে বেশি ছিল।

WGC-এর উপদেষ্টা তাকাহিরো মরিতা বলেন, “সরকারি একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কারণে অভ্যন্তরীণ স্বর্ণের দাম সব সময় আন্তর্জাতিক দামের ওপরে ছিল। যদি আমদানি বাড়ে এবং বাজার উন্মুক্ত হয়, তাহলে দেশীয় দাম আন্তর্জাতিক দামের কাছাকাছি চলে আসবে।”

সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক দিক
ভারতের মতো ভিয়েতনামেও স্বর্ণ একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও এর চাহিদা বেশি। কারণ ২০২২ সালের শেষ থেকে ভিয়েতনামের মুদ্রা ‘ডং’ মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। এ কারণে মানুষ স্বর্ণকে সম্পদের নিরাপদ মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে দেখে।

বৈশ্বিক প্রভাব
মার্কেট স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের কোইচিরো কামেই মন্তব্য করেন, “যদি ভিয়েতনামে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করে, তাহলে গয়না ও অন্যান্য স্বর্ণপণ্যের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। এতে বৈশ্বিক স্বর্ণ সরবরাহের ওপরও চাপ তৈরি হতে পারে।”