প্রতিবেশী দেশগুলোর সতর্কতা ও কূটনৈতিক বার্তা
দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ানের আশপাশ, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বীপপুঞ্জ—এসব অঞ্চলজুড়ে একযোগে যুদ্ধজাহাজ ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করে সমুদ্র উপস্থিতি আরও ঘন করেছে চীন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একাধিক দেশই নিজেদের জলসীমা ও আকাশসীমার কাছে চীনা জাহাজ ও টহল বাড়ার তথ্য জানিয়েছে। তাইওয়ান ইস্যু, মার্কিন নৌ টহল, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ—এসবের প্রেক্ষাপটে এই মোতায়েনকে অনেকেই বেইজিংয়ের একযোগে কয়েকটি বার্তা পাঠানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। একদিকে বিদেশে শক্তি প্রদর্শন, অন্যদিকে ভেতরে জাতীয়তাবাদী চাপের জবাব—দুই ধরনের রাজনৈতিক হিসাবই এখানে কাজ করছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
ঝুঁকি, জোট রাজনীতি ও ভুল হিসাবের আশঙ্কা
জাপান, ফিলিপাইন ও তাইওয়ান তাদের টহল জোরদার করেছে এবং জনসম্মুখে উদ্বেগ জানিয়েছে, যাতে অভ্যন্তরীণ চাপ ও জোট–রাজনীতির সংকেত দুটোই স্পষ্ট হয়। ভিড়াক্রান্ত সমুদ্রপথে যুদ্ধজাহাজ, কোস্টগার্ড ও আধাসামরিক ট্রলারের ভিড় বাড়ায় অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা বা ভুল সংকেতের আশঙ্কা নতুন করে সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ম্যানিলা ও টোকিওর সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে কূটনীতিক ও সামরিক চ্যানেল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে চীনের এই প্রদর্শনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট দেশগুলোকে আরও সক্রিয়ভাবে জোট রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেখানে তারা মার্কিন, জাপানি কিংবা ভারতীয় উপস্থিতিকে পাল্টা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। ফলে সমুদ্রের প্রতিটি “সংকেত” এখন আগের চেয়ে বেশি জটিল নিরাপত্তা সমীকরণে নতুন স্তর যোগ করছে, যা একসময় ছোট কোনো ঘটনার মাধ্যমেও বড় সঙ্কটে গড়াতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















