হালনাগাদ মডেলে সামান্য স্বস্তি, বড় চিত্র অপরিবর্তিত
নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে—আগের কিছু হিসাব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা খানিকটা বেশি ধরে নিয়েছিল। হালনাগাদ ডেটা ও মডেল বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা বলছেন, গড় হিসেবে বৈশ্বিক জিডিপি–তে সম্ভাব্য আঘাত কিছুটা কম হতে পারে, তবে সামগ্রিক ক্ষতির চিত্র এখনও “অত্যন্ত বড়”। তাদের মতে, জলবায়ু ঝুঁকির ভৌগোলিক বণ্টন অপরিবর্তিত: উষ্ণমণ্ডলীয় ও নিম্ন–আয়ের দেশগুলোই সবথেকে বেশি উৎপাদনঘাটতি, স্বাস্থ্য ব্যয় ও অবকাঠামোগত ক্ষতির মুখে। ফলে শিরোনামের সংখ্যাটা সামান্য কমলেও, উন্নয়নশীল দেশের বাস্তব সংকট ও বৈষম্য কমার কোনো লক্ষণ নেই।

নীতিনির্ধারণে বার্তা, কার্বন মূল্য আর ক্ষতিপূরণের চাপ
গবেষণার ফল বিশ্ব রাজনীতি ও আর্থিক বাজারে চলমান বিতর্কে নতুন যুক্তি যোগ করবে, বিশেষ করে কার্বন ট্যাক্স, নির্গমন কমানোর বিনিয়োগ ও ক্ষতিপূরণ ফান্ডের আলোচনায়। কিছু সরকার বা কর্পোরেট পক্ষ হয়তো কম ক্ষতির গড় হিসাব দেখিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু নীতি শিথিল করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু লেখকেরা পরিষ্কার করে দিয়েছেন—অতি উষ্ণ ভবিষ্যৎ নিয়ে “টেইল রিস্ক” বা চরম ঝুঁকি আগের মতোই বড়। বাস্তবে এর মানে, এই দশকেই নির্গমন কমানো ও অভিযোজন–বিনিয়োগ বাড়ানো এখনো তুলনামূলকভাবে সস্তা বিকল্প; অপেক্ষা করলে কেবলই ব্যয় ও অস্থিরতা বাড়বে। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ জলবায়ু–ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য এই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ—তাদের ক্ষতি কমাতে উন্নত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা ও প্রযুক্তি স্থানান্তর ছাড়া পথ নেই।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















