০৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির ব্রিজার্টন সিজন ৪ ট্রেলার: ‘সিন্ডারেলা’ ধাঁচের রোম্যান্স, দুই ভাগে মুক্তি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স কুমিল্লায় পথচারী নিহতের পর বাসে আগুন ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া ও আরিচা–কাজীরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ পাঁচ সংকটাপন্ন ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা সোমবার থেকে টাকা তুলতে পারবেন জাবি ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ

অভিবাসী ধর্মপ্রাণ মানুষরা ট্রাম্পের দমননীতির মুখে

সারসংক্ষেপ

  • ট্রাম্প প্রশাসনের গির্জা সুরক্ষা প্রত্যাহার নিয়ে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর মামলা
  • গির্জাগুলো ঘরে কমিউনিয়নের ব্যবস্থা করছে
  • লস অ্যাঞ্জেলেসে কিছু গির্জায় উপস্থিতি এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে

একাকী প্রার্থনা ও ঘরে কমিউনিয়ন

শিকাগোর উপকণ্ঠ সিসেরোতে বসবাসকারী ৫৯ বছর বয়সী ডরিস আগুইরে গত রবিবার একা বসেছিলেন খাবার টেবিলে। হাতে ছিল সোডা ক্র্যাকার ও এক গ্লাস কমলার রস—যিশুখ্রিস্টের দেহ ও রক্তের প্রতীক হিসেবে। চোখ বন্ধ করে ক্রস চিহ্ন আঁকলেন।

এটি সাধারণত গির্জায় সমবেত হয়ে পালন করার অন্যতম পবিত্র আচার, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এখন তিনি ঘরে একা এই ধর্মীয় রীতি পালন করছেন।

আগুইরে ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বৈধ কাগজপত্র নেই। তার স্বামী নাগরিক হলেও তিনি নিজে বহিষ্কারের আদেশের মুখে আছেন। ফলে গির্জায় গিয়ে একসঙ্গে উপাসনা, কমিউনিয়ন ও আলাপচারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহার

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই বাইডেন যুগের নিয়ম বাতিল করেন, যেখানে গির্জা, স্কুল ও হাসপাতালকে অভিবাসন অভিযানের বাইরে রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, অপরাধীরা আর এসব স্থানে আশ্রয় নিতে পারবে না।

এতে অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। অনেকেই গির্জাকে আর নিরাপদ মনে করছেন না। বহু পাদ্রি ও ধর্মীয় নেতা জানিয়েছেন, ভয়ের কারণে উপস্থিতি কমে গেছে এবং গির্জা থেকে পাওয়া খাবার, আইনগত সহায়তা ও সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

অভিবাসীদের নিরাপত্তাহীনতা

যদিও সরাসরি গির্জায় অভিযান হয়নি, তবে গির্জার পার্কিং লটে গ্রেপ্তার ও এমনকি এক পাদ্রিকে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এতে আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।

কিছু গির্জা নিজেদের নির্দিষ্ট অংশকে ব্যক্তিগত এলাকা ঘোষণা করেছে, যাতে সেখানে ঢুকতে পরোয়ানা লাগে। আবার কেউ কেউ মার্কিন নাগরিক সদস্যদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখছে নজরদারির জন্য।

ক্যালিফোর্নিয়ার আর্চডায়োসিস গৃহবন্দি অভিবাসীদের জন্য ঘরে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। অরেঞ্জ কাউন্টির ডায়োসিস এমনকি ঘরে কমিউনিয়নের ব্যবস্থা করছে।

ধর্মীয় সংগঠনগুলোর লড়াই

জুলাই মাসে বিভিন্ন প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা আদালতে মামলা করেছে। তাদের দাবি, গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহার ধর্মীয় স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।

মামলায় বলা হয়েছে, ওরেগনের এক গির্জায় স্প্যানিশ ভাষার উপাসনায় উপস্থিতি ৪০-৫০ জন থেকে নেমে জুনে মাত্র ১২ জনে দাঁড়ায়, যখন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। টেক্সাসে একটি লুথেরান গির্জায় শিশুদের ভ্যাকেশন বাইবেল স্কুলে উপস্থিতি ২০-২৫ থেকে নেমে আসে মাত্র চার জনে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যম ও ‘সংকেতমূলক রাজনীতিবিদরা’ ভুয়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, বাস্তবে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহারেই উপস্থিতি কমেছে।

গির্জার অবস্থান ও দ্বিধা

অনেক গির্জা আগে প্রকাশ্যে অভিবাসীদের আশ্রয় দিত। এখন তারা তা কমিয়ে এনেছে, কারণ এতে আইসিইর নজরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে অনেক অভিবাসী এখন ব্যক্তিগত বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ফিলাডেলফিয়ায় গির্জা ও সিনাগগের একটি জোট অভিবাসীদের আদালতে সঙ্গ দিচ্ছে, যাতে কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করতে সাহস না পায়। অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার এক লুথেরান পাদ্রি জানিয়েছেন, উপস্থিতি দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ায় তিনি এখন ঘরে ঘরে গিয়ে কমিউনিয়ন দিচ্ছেন।

তবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভিত্তি হিসেবে পরিচিত শ্বেতাঙ্গ ইভানজেলিকাল গির্জাগুলোর বেশিরভাগ নীরব। কেবল কিছু নেতা প্রকাশ্যে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে সমর্থন করছেন, তারা বলছেন, সীমান্ত ঢিলেঢালা হওয়ায় মাদক ও শিশু পাচার বেড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি

লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে অভিবাসন দমন অভিযান বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে। জুনে রাস্তায় প্রতিবাদের জেরে ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন।

ন্যাশনাল হিস্পানিক ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট রেভারেন্ড স্যামুয়েল রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের গির্জাগুলোতে গড়ে উপস্থিতি ৩৫% কমে গেছে। কোনো অভিযানের পরপর রবিবারে উপস্থিতি পুরোপুরি ৭০% পর্যন্ত নেমে গেছে।

শিকাগোর লিঙ্কন ইউনাইটেড মেথডিস্ট গির্জায় আগে স্প্যানিশ ভাষার উপাসনায় ৮০ জন পর্যন্ত আসতেন। এখন অনলাইনে যোগ দেন মাত্র ১৮ জন। পাদ্রি এমা লোজানো অনলাইনে উপাসনা পরিচালনা করেন অন্ধকার মঞ্চ থেকে, যেখানে রঙিন কাচের জানালাগুলো কালো পর্দায় ঢাকা, প্রতীকীভাবে সীমান্ত দেয়াল বোঝানোর জন্য।

ডরিস আগুইরে তার ডাইনিং টেবিলে বসে মোবাইলে সেই উপাসনা দেখেন। তিনি বলেন, “কখনো ভাবিনি এত তীব্র হবে। কখনো ভাবিনি তিনি (ট্রাম্প) এত জোরে এসে সবকিছু পাল্টে দেবেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার

অভিবাসী ধর্মপ্রাণ মানুষরা ট্রাম্পের দমননীতির মুখে

০৩:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সারসংক্ষেপ

  • ট্রাম্প প্রশাসনের গির্জা সুরক্ষা প্রত্যাহার নিয়ে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর মামলা
  • গির্জাগুলো ঘরে কমিউনিয়নের ব্যবস্থা করছে
  • লস অ্যাঞ্জেলেসে কিছু গির্জায় উপস্থিতি এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে

একাকী প্রার্থনা ও ঘরে কমিউনিয়ন

শিকাগোর উপকণ্ঠ সিসেরোতে বসবাসকারী ৫৯ বছর বয়সী ডরিস আগুইরে গত রবিবার একা বসেছিলেন খাবার টেবিলে। হাতে ছিল সোডা ক্র্যাকার ও এক গ্লাস কমলার রস—যিশুখ্রিস্টের দেহ ও রক্তের প্রতীক হিসেবে। চোখ বন্ধ করে ক্রস চিহ্ন আঁকলেন।

এটি সাধারণত গির্জায় সমবেত হয়ে পালন করার অন্যতম পবিত্র আচার, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এখন তিনি ঘরে একা এই ধর্মীয় রীতি পালন করছেন।

আগুইরে ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বৈধ কাগজপত্র নেই। তার স্বামী নাগরিক হলেও তিনি নিজে বহিষ্কারের আদেশের মুখে আছেন। ফলে গির্জায় গিয়ে একসঙ্গে উপাসনা, কমিউনিয়ন ও আলাপচারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহার

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই বাইডেন যুগের নিয়ম বাতিল করেন, যেখানে গির্জা, স্কুল ও হাসপাতালকে অভিবাসন অভিযানের বাইরে রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, অপরাধীরা আর এসব স্থানে আশ্রয় নিতে পারবে না।

এতে অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। অনেকেই গির্জাকে আর নিরাপদ মনে করছেন না। বহু পাদ্রি ও ধর্মীয় নেতা জানিয়েছেন, ভয়ের কারণে উপস্থিতি কমে গেছে এবং গির্জা থেকে পাওয়া খাবার, আইনগত সহায়তা ও সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

অভিবাসীদের নিরাপত্তাহীনতা

যদিও সরাসরি গির্জায় অভিযান হয়নি, তবে গির্জার পার্কিং লটে গ্রেপ্তার ও এমনকি এক পাদ্রিকে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এতে আতঙ্ক আরও ছড়িয়েছে।

কিছু গির্জা নিজেদের নির্দিষ্ট অংশকে ব্যক্তিগত এলাকা ঘোষণা করেছে, যাতে সেখানে ঢুকতে পরোয়ানা লাগে। আবার কেউ কেউ মার্কিন নাগরিক সদস্যদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখছে নজরদারির জন্য।

ক্যালিফোর্নিয়ার আর্চডায়োসিস গৃহবন্দি অভিবাসীদের জন্য ঘরে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। অরেঞ্জ কাউন্টির ডায়োসিস এমনকি ঘরে কমিউনিয়নের ব্যবস্থা করছে।

ধর্মীয় সংগঠনগুলোর লড়াই

জুলাই মাসে বিভিন্ন প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা আদালতে মামলা করেছে। তাদের দাবি, গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহার ধর্মীয় স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।

মামলায় বলা হয়েছে, ওরেগনের এক গির্জায় স্প্যানিশ ভাষার উপাসনায় উপস্থিতি ৪০-৫০ জন থেকে নেমে জুনে মাত্র ১২ জনে দাঁড়ায়, যখন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। টেক্সাসে একটি লুথেরান গির্জায় শিশুদের ভ্যাকেশন বাইবেল স্কুলে উপস্থিতি ২০-২৫ থেকে নেমে আসে মাত্র চার জনে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যম ও ‘সংকেতমূলক রাজনীতিবিদরা’ ভুয়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, বাস্তবে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে গির্জার সুরক্ষা প্রত্যাহারেই উপস্থিতি কমেছে।

গির্জার অবস্থান ও দ্বিধা

অনেক গির্জা আগে প্রকাশ্যে অভিবাসীদের আশ্রয় দিত। এখন তারা তা কমিয়ে এনেছে, কারণ এতে আইসিইর নজরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে অনেক অভিবাসী এখন ব্যক্তিগত বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ফিলাডেলফিয়ায় গির্জা ও সিনাগগের একটি জোট অভিবাসীদের আদালতে সঙ্গ দিচ্ছে, যাতে কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করতে সাহস না পায়। অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার এক লুথেরান পাদ্রি জানিয়েছেন, উপস্থিতি দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ায় তিনি এখন ঘরে ঘরে গিয়ে কমিউনিয়ন দিচ্ছেন।

তবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভিত্তি হিসেবে পরিচিত শ্বেতাঙ্গ ইভানজেলিকাল গির্জাগুলোর বেশিরভাগ নীরব। কেবল কিছু নেতা প্রকাশ্যে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে সমর্থন করছেন, তারা বলছেন, সীমান্ত ঢিলেঢালা হওয়ায় মাদক ও শিশু পাচার বেড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি

লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে অভিবাসন দমন অভিযান বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে। জুনে রাস্তায় প্রতিবাদের জেরে ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন।

ন্যাশনাল হিস্পানিক ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট রেভারেন্ড স্যামুয়েল রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের গির্জাগুলোতে গড়ে উপস্থিতি ৩৫% কমে গেছে। কোনো অভিযানের পরপর রবিবারে উপস্থিতি পুরোপুরি ৭০% পর্যন্ত নেমে গেছে।

শিকাগোর লিঙ্কন ইউনাইটেড মেথডিস্ট গির্জায় আগে স্প্যানিশ ভাষার উপাসনায় ৮০ জন পর্যন্ত আসতেন। এখন অনলাইনে যোগ দেন মাত্র ১৮ জন। পাদ্রি এমা লোজানো অনলাইনে উপাসনা পরিচালনা করেন অন্ধকার মঞ্চ থেকে, যেখানে রঙিন কাচের জানালাগুলো কালো পর্দায় ঢাকা, প্রতীকীভাবে সীমান্ত দেয়াল বোঝানোর জন্য।

ডরিস আগুইরে তার ডাইনিং টেবিলে বসে মোবাইলে সেই উপাসনা দেখেন। তিনি বলেন, “কখনো ভাবিনি এত তীব্র হবে। কখনো ভাবিনি তিনি (ট্রাম্প) এত জোরে এসে সবকিছু পাল্টে দেবেন।”