০১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

কেনিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের অপব্যবহার

নাইরোবি, কেনিয়া—মার্কিন অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসবিরোধী আদালতগুলো এখন কেনিয়ার সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ৭৫ জন কেনীয়কে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুটোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তরুণদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেশিরভাগ তরুণ—যাদের বয়স কুড়ির কোঠায়—দশকের পর দশক কারাগারে কাটাতে হতে পারে। তারা উচ্চ কর, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। আইনজীবীরা বলছেন, অভিযুক্তদের কারও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কেনিয়া অফিসের প্রধান ইরুঙ্গু হাউটন বলেন, “ভবন পোড়ানো বা ডাকাতির মতো অপরাধ হলেও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা অযৌক্তিক।”

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

কেনিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ আফ্রিকান মিত্র। সোমালিয়ায় আল-শাবাব দমনে সেনা পাঠানো এবং হাইতিতে গ্যাং দমনে পুলিশ সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটনের সমর্থন পেয়েছে। পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিচারক, প্রসিকিউটর ও তদন্তকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব বিশেষ আদালত গড়ে তোলে। এর লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হামলা মোকাবিলা করা—যেমন ১৯৯৮ সালে মার্কিন দূতাবাসে ট্রাক বোমা হামলা, ২০১৩ সালে নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিং মলে হত্যাযজ্ঞ, এবং ২০১৫ সালে গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা।

সরকারের কঠোর দমননীতি

তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে প্রেসিডেন্ট রুটো আদালতগুলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করছেন। কেনিয়ার প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করলে তা জনসেবা বিঘ্নিত করে এবং ভীতি ছড়ায়—যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য হতে পারে।

‘জেন জি’ আন্দোলন

তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ‘জেন জি’ বিক্ষোভ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। উচ্চ বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি এসব আন্দোলনের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ার মাত্র ১০ শতাংশ শ্রমিকের আনুষ্ঠানিক চাকরি আছে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

পুলিশি সহিংসতা ও মৃত্যু

গত এক বছরে বিক্ষোভে ১২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এক রাস্তার ফেরিওয়ালার মৃত্যুর ভিডিও দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ভাড়াটে গুণ্ডাদের দিয়ে বিক্ষোভ নষ্ট করছে, আর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আইনি প্রক্রিয়ায় ভীতি

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আদালতে এসব মামলা টিকবে না। কিন্তু অভিযোগ আনার মধ্য দিয়েই তরুণদের মধ্যে ভয় ছড়ানো হচ্ছে। আইনজীবী ও সংসদ সদস্য নজিরি মাইনা বলেন, “বার্তাটা স্পষ্ট—বিরোধিতা করলে সরকার তোমাকে নিশানা করবে।”

আর্থিক ক্ষতির যুক্তি

সরকার বলছে, কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া বিশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের বিক্ষোভে প্রতিদিন গড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

সন্ত্রাসী হুমকি বজায়

এদিকে আল-শাবাবের হামলায় এখনও কেনিয়া হুমকির মুখে। শুধু গত বছরই সীমান্ত এলাকায় ৬০ জন বেসামরিক ও নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। মার্কিন সেনারা মোম্বাসার মান্ডা বে ঘাঁটি থেকে স্থানীয় বাহিনীকে সহায়তা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিশ জানিয়েছেন, কেনিয়ার ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ মর্যাদা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদের সাহায্য যেন নির্যাতন, অপহরণ ও অবৈধ কার্যক্রমকে উৎসাহ না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

ব্যক্তিগত কাহিনি: শ্যারন নিয়াইরো

২৫ বছর বয়সী হোটেল কর্মী শ্যারন নিয়াইরো প্রতিদিনের আয়ে মা ও নিজেকে চালান। জুন মাসের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ও অন্যরা সরকারি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িত ছিলেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে উচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে চলে যান।

তিনি জানান, প্রথম দিকে ঠান্ডায় মেঝেতে রাত কাটাতে হয়েছে, নিয়মিত দেহ তল্লাশির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এবং খুনিদের সঙ্গে একই কারাগার ব্লকে রাখা হয়েছে। তার মা বলেন, “আমরা জানি না এই মামলার শেষ কোথায় যাবে, খুব ভয় পাচ্ছি।”

দমননীতি ও পুলিশের ভেতরের দ্বিধা

সন্ত্রাস দমন ইউনিটের এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। আইনগতভাবে সম্ভব হলেও এসব অভিযোগ বাস্তবতার তুলনায় অতিরিক্ত।”

আইনজীবীরা বলছেন, দরিদ্র পরিবারগুলো দূরদূরান্ত থেকে আদালতে আসছে, কিন্তু আইনজীবী বা জামিনের খরচ বহন করতে পারছে না। প্রথম দিকে জামিন ধরা হয়েছিল ১৫০০ থেকে ২৩0০ ডলার, যা অধিকাংশ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। পরে তা কমে ৪০০ ডলারের নিচে নামানো হয়। জনসাধারণ তহবিল গঠন করে কিছু অর্থ জোগাড় করলেও অনেকে এখনও কারাগারে বন্দি।

জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার

কেনিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের অপব্যবহার

১১:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাইরোবি, কেনিয়া—মার্কিন অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসবিরোধী আদালতগুলো এখন কেনিয়ার সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ৭৫ জন কেনীয়কে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুটোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তরুণদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেশিরভাগ তরুণ—যাদের বয়স কুড়ির কোঠায়—দশকের পর দশক কারাগারে কাটাতে হতে পারে। তারা উচ্চ কর, বেকারত্ব এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। আইনজীবীরা বলছেন, অভিযুক্তদের কারও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কেনিয়া অফিসের প্রধান ইরুঙ্গু হাউটন বলেন, “ভবন পোড়ানো বা ডাকাতির মতো অপরাধ হলেও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা অযৌক্তিক।”

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

কেনিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ আফ্রিকান মিত্র। সোমালিয়ায় আল-শাবাব দমনে সেনা পাঠানো এবং হাইতিতে গ্যাং দমনে পুলিশ সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটনের সমর্থন পেয়েছে। পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিচারক, প্রসিকিউটর ও তদন্তকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব বিশেষ আদালত গড়ে তোলে। এর লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হামলা মোকাবিলা করা—যেমন ১৯৯৮ সালে মার্কিন দূতাবাসে ট্রাক বোমা হামলা, ২০১৩ সালে নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিং মলে হত্যাযজ্ঞ, এবং ২০১৫ সালে গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা।

সরকারের কঠোর দমননীতি

তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে প্রেসিডেন্ট রুটো আদালতগুলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করছেন। কেনিয়ার প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করলে তা জনসেবা বিঘ্নিত করে এবং ভীতি ছড়ায়—যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য হতে পারে।

‘জেন জি’ আন্দোলন

তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ‘জেন জি’ বিক্ষোভ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। উচ্চ বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি এসব আন্দোলনের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেনিয়ার মাত্র ১০ শতাংশ শ্রমিকের আনুষ্ঠানিক চাকরি আছে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

পুলিশি সহিংসতা ও মৃত্যু

গত এক বছরে বিক্ষোভে ১২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এক রাস্তার ফেরিওয়ালার মৃত্যুর ভিডিও দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ভাড়াটে গুণ্ডাদের দিয়ে বিক্ষোভ নষ্ট করছে, আর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আইনি প্রক্রিয়ায় ভীতি

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আদালতে এসব মামলা টিকবে না। কিন্তু অভিযোগ আনার মধ্য দিয়েই তরুণদের মধ্যে ভয় ছড়ানো হচ্ছে। আইনজীবী ও সংসদ সদস্য নজিরি মাইনা বলেন, “বার্তাটা স্পষ্ট—বিরোধিতা করলে সরকার তোমাকে নিশানা করবে।”

আর্থিক ক্ষতির যুক্তি

সরকার বলছে, কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া বিশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের বিক্ষোভে প্রতিদিন গড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

সন্ত্রাসী হুমকি বজায়

এদিকে আল-শাবাবের হামলায় এখনও কেনিয়া হুমকির মুখে। শুধু গত বছরই সীমান্ত এলাকায় ৬০ জন বেসামরিক ও নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। মার্কিন সেনারা মোম্বাসার মান্ডা বে ঘাঁটি থেকে স্থানীয় বাহিনীকে সহায়তা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিশ জানিয়েছেন, কেনিয়ার ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ মর্যাদা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদের সাহায্য যেন নির্যাতন, অপহরণ ও অবৈধ কার্যক্রমকে উৎসাহ না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

ব্যক্তিগত কাহিনি: শ্যারন নিয়াইরো

২৫ বছর বয়সী হোটেল কর্মী শ্যারন নিয়াইরো প্রতিদিনের আয়ে মা ও নিজেকে চালান। জুন মাসের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ও অন্যরা সরকারি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িত ছিলেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে উচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে চলে যান।

তিনি জানান, প্রথম দিকে ঠান্ডায় মেঝেতে রাত কাটাতে হয়েছে, নিয়মিত দেহ তল্লাশির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এবং খুনিদের সঙ্গে একই কারাগার ব্লকে রাখা হয়েছে। তার মা বলেন, “আমরা জানি না এই মামলার শেষ কোথায় যাবে, খুব ভয় পাচ্ছি।”

দমননীতি ও পুলিশের ভেতরের দ্বিধা

সন্ত্রাস দমন ইউনিটের এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। আইনগতভাবে সম্ভব হলেও এসব অভিযোগ বাস্তবতার তুলনায় অতিরিক্ত।”

আইনজীবীরা বলছেন, দরিদ্র পরিবারগুলো দূরদূরান্ত থেকে আদালতে আসছে, কিন্তু আইনজীবী বা জামিনের খরচ বহন করতে পারছে না। প্রথম দিকে জামিন ধরা হয়েছিল ১৫০০ থেকে ২৩0০ ডলার, যা অধিকাংশ পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। পরে তা কমে ৪০০ ডলারের নিচে নামানো হয়। জনসাধারণ তহবিল গঠন করে কিছু অর্থ জোগাড় করলেও অনেকে এখনও কারাগারে বন্দি।