নাইজেরিয়ার লাগোসে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে আলারা কনসেপ্ট স্টোর। পশ্চিম আফ্রিকার এই প্রথম ফ্যাশন ও ডিজাইন প্রদর্শনী কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেওয়া রেনি ফোলাওয়িয়ো। আধুনিক স্থাপত্যে নির্মিত ভবনটির নকশায় রয়েছে ইয়োরুবা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী আlদলে বস্ত্রশিল্পের ছোঁয়া।
ফোলাওয়িয়ো তাঁর ধারণাকে নাম দিয়েছেন ‘আফ্রো-লাক্স’—যার লক্ষ্য আফ্রিকার শিল্প ও আধুনিক ডিজাইনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিশ্ব ফ্যাশনে মর্যাদা অর্জন। আলারায় প্রদর্শিত হয় আফ্রিকার শীর্ষ ডিজাইনারদের পোশাকের পাশাপাশি পশ্চিমা ব্র্যান্ড, শিল্পকর্ম ও বই।
সম্প্রতি আফ্রিকান নকশা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। নাইজেরিয়ার তারকা বার্না বয়, টেমস ও আয়রা স্টার যুক্তরাষ্ট্রের মেট গালায় অংশ নেন, যাদের পোশাক ডিজাইন করেন ব্রিটিশ-ঘানিয়ান ডিজাইনার অসওয়াল্ড বোয়াটেং। তবে ফোলাওয়িয়োর মতে, কেবল ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ যথেষ্ট নয়; টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব। এই লক্ষ্যেই তিনি ব্রুকলিন মিউজিয়াম ও লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অব আর্টে প্রদর্শনী আয়োজন করেছেন।
আলারার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নক রেস্তোরাঁ, যেখানে সেনেগালি শেফ পিয়ের থিয়াম আফ্রিকান খাবার পরিবেশন করেন। দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী রাখা হলেও নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক বৈষম্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। একি কেরের পোশাকের দাম কয়েক লাখ নাইরা, আবার সলিউ ইওয়াদির আসবাবের দাম তার বহু গুণ।
শুরুতে আফ্রিকান বিলাসিতা নিয়ে তাঁর ধারণা গ্রহণযোগ্য করে তোলা সহজ ছিল না। ব্যবসায়িক অংশীদারদের বোঝাতে ফোলাওয়িয়োকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, আমার এই ধারণার মূল্য আছে। তাই কখনো হাল ছাড়িনি।”
আজ আলারা নাইজেরিয়ার পরিচিত ব্র্যান্ড। ফোলাওয়িয়ো বিদেশেও ফ্যাশন শো আয়োজন করছেন। চলতি মাসে তিনি অংশ নিচ্ছেন বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত কারিফেস্টা ১৫-এ। তাঁর লক্ষ্য এখন—অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আগামী প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া, যাতে আফ্রিকান ফ্যাশনের যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়।