সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ভারত আশা করে যে সৌদি আরব তাদের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক স্বার্থকে মাথায় রাখবে।
ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর জোর
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গত কয়েক বছরে ভারত ও সৌদি আরবের কৌশলগত সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে। তিনি জানান, এই সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত, যা দুই দেশের পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়।
সরকারের অবস্থান
প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে এবং সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ভারত এই নতুন চুক্তির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক ভারসাম্যের ওপর এর প্রভাব বোঝা যায়।
চুক্তির পটভূমি
সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক দেশ আক্রমণের শিকার হলে সেটিকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের কিছুদিন আগেই কাতারে হামাস নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলের হামলার ঘটনা ঘটে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় আট দশক ধরে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব বিদ্যমান। এই নতুন চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। এটি ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং দুই দেশের যৌথ কৌশলগত স্বার্থ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।
ভারত এই চুক্তি নিয়ে সরাসরি বিরূপ মন্তব্য না করলেও স্পষ্ট জানিয়েছে যে তারা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ভারত প্রত্যাশা করছে, রিয়াদ তাদের স্বার্থ ও সংবেদনশীলতাকে বিবেচনায় নেবে।