চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। ফলে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চাওয়ার চিঠি আপাতত কার্যকর থাকছে।
ঘটনার সারসংক্ষেপ
- সময় ও আদালত: সোমবার বিকেলে চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন।
- পক্ষসমূহ: রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। বিসিবির পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
- বিতর্কের উৎস: বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের অনুরোধ করে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেটির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
পটভূমি: হাইকোর্টের আগের আদেশ
- দুপুরের সিদ্ধান্ত: একই দিন সোমবার দুপুরে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন এবং কেন চিঠিটি অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল জারি করেন।
- বেঞ্চ: বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন।
- রিটকারীরা: বিসিবির জেলা পর্যায়ের এডহক কমিটির চারজন কাউন্সিলর রিটটি দাখিল করেন। রিটকারীদের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন।
বর্তমান অবস্থা কী?
- চেম্বার আদালতের ‘স্টে’ থাকায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এখন কার্যকর নয়।
- ফলত, কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতির পাঠানো চিঠি আপাতত আইনি বাধা ছাড়াই বহাল।
এখন কী হতে পারে
- রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট চিঠির বৈধতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
- ততদিন চেম্বার আদালতের আদেশের কারণে বিসিবির নির্বাচনী প্রস্তুতিতে কাউন্সিলর নির্ধারণ প্রক্রিয়া এগোতে পারে (পরবর্তী আদালতীয় নির্দেশনা সাপেক্ষে)।
গুরুত্ব কেন
- কাউন্সিলর নির্ধারণ বিসিবি নির্বাচনের মূল ধাপ। চিঠি বৈধ থাকায় নির্বাচনসূচি ও প্রস্তুতি প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা আপাতত কমল।