এশিয়া কাপে ভারতের প্রাধান্য ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে টুর্নামেন্টটি অনেকটাই মহাদেশের ‘দ্বিতীয় সেরা’ দল নির্ধারণের প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। ফাইনালে ওঠার টিকিট পেতে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি লড়ছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে আসা দুই দলকেই টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। হেরে গেলে তারা কেবলমাত্র গাণিতিক হিসাবের উপর নির্ভরশীল থাকবে, যেখানে অনুকূল ফলাফল ও নেট রান রেটের জটিল সমীকরণই হবে ভরসা।
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ভাগ্য যেন এক সুতোয় বাঁধা। আগের ম্যাচগুলোতে তারা উজ্জ্বল পাওয়ারপ্লের পর মধ্য ওভারে খেলাবদল করা ধীরগতির শিকার হয়েছিল। ব্যাটিং লাইনআপও ভঙ্গুরতার পরিচয় দিয়েছে। পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার হোঁচট খেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে, আবার শ্রীলঙ্কা হংকংয়ের বিপক্ষে প্রায় জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করতে বসেছিল।
নিচের সারিতে অনিশ্চয়তা থাকায় দায়িত্ব বর্তাবে দুই ওপেনারের কাঁধে—ইন-ফর্ম পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান (১৩২ রান) ও শ্রীলঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা (১৪৬ রান)-এর উপর।
পেসারদের অনুকূল পরিবেশ
এখানকার উইকেটগুলো দুবাইয়ের চেয়ে ভিন্ন; দ্রুত বোলারদের জন্য বেশি সহায়ক। তাই দুই দলই সম্ভবত দুইজন বিশেষজ্ঞ পেসার ও একজন সিম-বোলিং অলরাউন্ডার নিয়ে নামবে।
এই মাঠে শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই দুই ম্যাচ জিতেছে। ফলে পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিতি তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।