গত এক বছরের বেশি সময় যে মৃত্যুগুলোর সংবাদ মিডিয়াতে এসেছে তার শতকরা নব্বইভাগের বেশি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এমন একটি সময় কোনো দেশের জন্যে, দেশের মানুষের জন্যে এমনকি দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে মোটেই ভালো নয়। বরং এ অনেক কিছুরই অশনি সংকেত। অনেক সময় অবশ্য আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই যে ঝড় বৃষ্টি হয় তা নয়, তারপরেও বিদ্যুৎ বজ্র হেনে গেলে মানুষ মাত্রই আতঙ্কিত হয়। আর তখন বলা হয় মানুষ আতঙ্কবাদের মধ্যে বাস করছে। এ ধরনের আতঙ্কবাদ দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।
এখন প্রশ্ন হলো কে এই আতঙ্কবাদের অবসান ঘটাবে। পাকিস্তানের প্রখ্যাত পত্রিকা ডন তিউনিশিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ হয়ে শেষ অবধি নেপাল অবধি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণরা ক্ষোভ প্রকাশ ঘটিয়ে ও তাদের মতে বিদেশি কোনো শক্তির সহায়তায় এই সব দেশগুলোতে যা ঘটছে তাতে—শেষ অবধি রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, সামরিক বাহিনী কেবলমাত্র টিকে থাকছে।
রাষ্ট্রকে শুধু আতঙ্কবাদ নয়, আরও অনেক কিছু থেকে সব সময় রক্ষা করে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান, কোনো ব্যক্তি নয়। বাংলাদেশে সেনাবাহিনী যারপরনাই চেষ্টা করছে বেসামরিক একটি ছায়ায় থেকে—কিন্তু গত এক বছরে ওই অর্থে কোনো উন্নতি নেই। মানুষ আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাস করছে। তাই টিকে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু তার সদস্যদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নয়—আরও কোনোভাবে দেশকে স্বাভাবিক করা সম্ভব কিনা সেটা ভাবলে, দেশের মানুষ নিশ্চয়ই স্বস্তি পাবে। এবং তখন নিশ্চয়ই মৃত্যুগুলো স্বাভাবিক হবে।
Sarakhon Report 



















