১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
বালি পাচার নিয়ে তল্লাশি ইডি-র, ভোটের আগে সক্রিয়তার অভিযোগ যেখানে ভয়ই নিয়ম—করাচি চিড়িয়াখানার অদৃশ্য কর্মীদের গল্প -পঞ্চম পর্ব ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে সোমবার থেকে আমরণ অনশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২) শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন নিয়ন্ত্রণে ২৭ ঘণ্টা পর কার্গো ভিলেজে আগুনের পর পণ্য সংরক্ষণে বিকল্প স্থান নির্ধারণ করল সিভিল অ্যাভিয়েশন অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়িক আস্থার ক্ষতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকির আশঙ্কা শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ার ছয় পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা তিন আগুনের পর ‘নাশকতার অভিযোগ, সন্দেহ আর অবিশ্বাস’ আলোচনায়

গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের উদ্যোগে নেতানিয়াহুর সম্মতি, তবে হামাসের অবস্থান অনিশ্চিত

সারসংক্ষেপ

  • হামাসের অনুপস্থিতি পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে
  • প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি বিনিময় ও ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা আছে
  • যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গাজা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৈরি একটি শান্তি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। এই প্রস্তাব গাজার প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তারা শান্তি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। তবে তিনি হামাসকে সতর্ক করে দিয়ে জানান, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ইসরায়েলকে যে কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে।


পরিকল্পনার মূল দিকগুলো

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত ২০ দফা প্রস্তাবে রয়েছে:

  • অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি
  • হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি
  • ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার
  • হামাসকে নিরস্ত্র করা
  • আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন

নেতানিয়াহুর অবস্থান

নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ করবে। এর মাধ্যমে সব জিম্মি ফিরিয়ে আনা, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা, তাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শেষ করা এবং গাজা থেকে ভবিষ্যতে কোনো হুমকি না আসা নিশ্চিত হবে।

তবে হামাসের অবস্থান এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠনটি বহুবার নিরস্ত্র হতে অস্বীকার করেছে এবং আলোচনায়ও সরাসরি অংশ নেয়নি। ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী হামাস এখনও ৪৮ জন জিম্মি ধরে রেখেছে।


হামাসের প্রতিক্রিয়া

হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাননি। পরে কাতার ও মিশর এই নথি হামাসের কাছে পৌঁছে দেয় এবং হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানায় যে তারা সদিচ্ছার সঙ্গে প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানাবে।


যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপ

ট্রাম্প সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর কাছে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তিনি আশা করছেন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতায় গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

তবে নেতানিয়াহু কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি রেখেছেন, বিশেষ করে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে।


ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জানিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি বিস্তৃত শান্তিচুক্তির জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।


ইসরায়েলি চাপ ও রাজনৈতিক জটিলতা

ইসরায়েলে জনমত যুদ্ধ ক্লান্ত এবং জিম্মিদের পরিবার নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তবে নেতানিয়াহু জানেন যে অতিরিক্ত ছাড় দিলে তার জোট সরকার ভেঙে পড়তে পারে, কারণ কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীরা আপত্তি জানাতে পারেন।


যুদ্ধের মানবিক মূল্য

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। পাল্টা ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এই মাসেই ইসরায়েল বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করাই লক্ষ্য। এর ফলে গাজার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মানবিক বিপর্যয় তীব্র হয়েছে।


পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ ধাপ

প্রস্তাবে বলা হয়েছে:

  • যুদ্ধবিরতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি পাবে
  • বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে
  • ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাবে
  • গাজার পুনর্গঠন শুরুর পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনার বিষয়ে অস্পষ্ট পথ রাখা হয়েছে
  • নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানের জন্য আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি অস্থায়ী বাহিনী গঠন করা হবে

গাজায় দৈনন্দিন সেবার জন্য একটি প্রযুক্তিবিদদের কমিটি থাকবে, যেটি একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডের অধীনে কাজ করবে। এই বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প এবং এতে থাকবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যরা।


ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে ইসরায়েল সমর্থন করলেও হামাসের সম্মতি ছাড়া পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এখন দৃষ্টি থাকবে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের ওপর, যারা হামাসকে প্রভাবিত করতে পারে।

এই প্রস্তাব গাজা যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সমাধান পেতে আরও কঠিন আলোচনার প্রয়োজন হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বালি পাচার নিয়ে তল্লাশি ইডি-র, ভোটের আগে সক্রিয়তার অভিযোগ

গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের উদ্যোগে নেতানিয়াহুর সম্মতি, তবে হামাসের অবস্থান অনিশ্চিত

০২:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সারসংক্ষেপ

  • হামাসের অনুপস্থিতি পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে
  • প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি বিনিময় ও ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা আছে
  • যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গাজা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৈরি একটি শান্তি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। এই প্রস্তাব গাজার প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তারা শান্তি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। তবে তিনি হামাসকে সতর্ক করে দিয়ে জানান, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ইসরায়েলকে যে কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে।


পরিকল্পনার মূল দিকগুলো

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত ২০ দফা প্রস্তাবে রয়েছে:

  • অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি
  • হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি
  • ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার
  • হামাসকে নিরস্ত্র করা
  • আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন

নেতানিয়াহুর অবস্থান

নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ করবে। এর মাধ্যমে সব জিম্মি ফিরিয়ে আনা, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা, তাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শেষ করা এবং গাজা থেকে ভবিষ্যতে কোনো হুমকি না আসা নিশ্চিত হবে।

তবে হামাসের অবস্থান এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠনটি বহুবার নিরস্ত্র হতে অস্বীকার করেছে এবং আলোচনায়ও সরাসরি অংশ নেয়নি। ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী হামাস এখনও ৪৮ জন জিম্মি ধরে রেখেছে।


হামাসের প্রতিক্রিয়া

হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাননি। পরে কাতার ও মিশর এই নথি হামাসের কাছে পৌঁছে দেয় এবং হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানায় যে তারা সদিচ্ছার সঙ্গে প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানাবে।


যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপ

ট্রাম্প সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর কাছে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তিনি আশা করছেন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতায় গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

তবে নেতানিয়াহু কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি রেখেছেন, বিশেষ করে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে।


ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জানিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি বিস্তৃত শান্তিচুক্তির জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।


ইসরায়েলি চাপ ও রাজনৈতিক জটিলতা

ইসরায়েলে জনমত যুদ্ধ ক্লান্ত এবং জিম্মিদের পরিবার নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তবে নেতানিয়াহু জানেন যে অতিরিক্ত ছাড় দিলে তার জোট সরকার ভেঙে পড়তে পারে, কারণ কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রীরা আপত্তি জানাতে পারেন।


যুদ্ধের মানবিক মূল্য

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। পাল্টা ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবে এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এই মাসেই ইসরায়েল বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করাই লক্ষ্য। এর ফলে গাজার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মানবিক বিপর্যয় তীব্র হয়েছে।


পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ ধাপ

প্রস্তাবে বলা হয়েছে:

  • যুদ্ধবিরতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি পাবে
  • বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে
  • ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাবে
  • গাজার পুনর্গঠন শুরুর পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনার বিষয়ে অস্পষ্ট পথ রাখা হয়েছে
  • নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানের জন্য আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি অস্থায়ী বাহিনী গঠন করা হবে

গাজায় দৈনন্দিন সেবার জন্য একটি প্রযুক্তিবিদদের কমিটি থাকবে, যেটি একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডের অধীনে কাজ করবে। এই বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প এবং এতে থাকবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যরা।


ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে ইসরায়েল সমর্থন করলেও হামাসের সম্মতি ছাড়া পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এখন দৃষ্টি থাকবে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের ওপর, যারা হামাসকে প্রভাবিত করতে পারে।

এই প্রস্তাব গাজা যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সমাধান পেতে আরও কঠিন আলোচনার প্রয়োজন হবে।