সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বিমান সংস্থা এতিহাদ এয়ারওয়েজ ঘোষণা করেছে যে তারা ২০২৬ সালের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে জানজিবারে ফ্লাইট পুনরায় চালু করবে। আগামী ১৪ জুন থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবুধাবি ও ভারত মহাসাগরের এই জনপ্রিয় গন্তব্যের মধ্যে সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ
জানজিবারে ফ্লাইট ফের চালুর এই সিদ্ধান্ত এতিহাদের চলতি বছরের ৩০তম নতুন গন্তব্য ঘোষণা হিসেবে আসছে। বিমান সংস্থাটি বর্তমানে তাদের নেটওয়ার্ক দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। বিশেষ করে ইউরোপ থেকে আবুধাবিতে ডাবল-ডেইলি ফ্লাইট সংযোজনের ফলে যাত্রীদের জন্য কানেকশন আরও সহজ হয়েছে। ইউরোপ ও জিসিসি অঞ্চলের ভ্রমণকারীরা এবার আরও স্বাচ্ছন্দ্যে জানজিবার ভ্রমণে যেতে পারবেন।
ফ্লাইটের ধরন
এই রুটে এতিহাদ এয়ারওয়েজ এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে। যাত্রীদের জন্য থাকবে বিজনেস ক্লাস ও ইকোনমি ক্লাসের সেবা।
জানজিবারের আকর্ষণ
এতিহাদ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্তোনিওয়ালদো নেভেস বলেন,
“জানজিবার একটি অনন্য গ্রীষ্মকালীন গন্তব্য। আমাদের নেটওয়ার্কে এর পুনরাগমন সত্যিই আনন্দের। সারা বিশ্বে খ্যাত সৈকত, মসলার বাজার, সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কারণে এটি ভ্রমণকারীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। আমাদের অতিথিরা এই গন্তব্যের প্রত্যাবর্তনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন।”
তানজানিয়ার দ্বীপপুঞ্জভুক্ত জানজিবার ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্টোন টাউন, মসলা উৎপাদন, অক্ষত সমুদ্রসৈকত ও প্রবাল প্রাচীরের জন্য সুপরিচিত। এখান থেকে সহজেই পূর্ব আফ্রিকার জনপ্রিয় সাফারি গন্তব্য যেমন সেরেঙ্গেটি জাতীয় উদ্যান এবং মাউন্ট কিলিমানজারোতে যাওয়া যায়।
বিস্তৃত ভ্রমণ সুবিধা
নতুন এই রুট এতিহাদের অবকাশকালীন ভ্রমণ তালিকাকে আরও শক্তিশালী করছে। একই সময়ে পালমা দে মায়োর্কার ফ্লাইট যুক্ত হওয়ায় যাত্রীদের সামনে এবার ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগর—দুই ধরণের জনপ্রিয় অবকাশ গন্তব্যের বিকল্প থাকছে।
২০২৬ সালের গ্রীষ্মে জানজিবারে এতিহাদের মৌসুমি ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়া কেবল একটি রুট পুনর্বহাল নয়, বরং এটি সংস্থার বৈশ্বিক সম্প্রসারণের প্রতীক। আবুধাবিকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংযোগ আরও সহজ হচ্ছে, আর ভ্রমণকারীরা পাচ্ছেন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এক বিশেষ দ্বীপ অভিজ্ঞতার সুযোগ।