০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বিদ্যুচ্চালিত মোটরযান শিল্পের প্রসারে নিবন্ধন পাচ্ছে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার

সমকালের একটি শিরোনাম “গভীর নিম্নচাপে টানা বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ”

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন মহানগরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে; উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি কয়েকশ পরিবার চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, শুক্রবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতেই এটির ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে না।

কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী জেলার মুহুরী, সিলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “পলাতক কর্মকর্তাদের ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ পুলিশ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮১ জন পুলিশ সদস্য কর্মস্থল থেকে পালিয়ে রয়েছেন। ডিআইজি থেকে কনস্টেবল—সকল স্তরের কর্মকর্তাই রয়েছেন এ তালিকায়। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থান জানা গেছে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। তবে এখনো ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া আসেনি।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, পলাতক যে ১৫ জনের অবস্থান জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উডল্যান্ড শহরে তোলা সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের তালিকায়ও দেখা গেছে, হারুন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। একই দেশে আছেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামও। যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। আর প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম ভারতে রয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিদ্যুচ্চালিত মোটরযান শিল্পের প্রসারে নিবন্ধন পাচ্ছে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার”

বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক) চলছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এ দীর্ঘ সময়েও বাহনটি আমদানি কিংবা চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারেনি সরকার। এ সুযোগে অবাধে বেড়েছে ইজিবাইকের সংখ্যা। সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও ২০২২ সালে বাহনটির চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতে করা এক রিট আবেদনে দেশে ৪০ লাখ ইজিবাইক থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

দেশে থাকা বিপুলসংখ্যক ইজিবাইককে এবার নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৫’-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক নির্ধারিত মান ও টেস্টিং সম্পন্ন করে’ ইজিবাইকের নিবন্ধন দেয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় ছাড়াও থ্রি-হুইলার নিবন্ধন দিতে পৃথক একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), যার শিরোনাম, ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’।

এর আগে নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব বিদ্যুচ্চালিত অটোরিকশা অনুমোদনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

‘নিরাপদ’ ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারের একটি মডেল তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েট যে নিরাপদ মোটরাইজড ব্যাটারিচালিত রিকশার মডেল তৈরি করেছে, সেটি মূলত ‘ইজিবাইক’-এর গঠন কাঠামোকে ভিত্তি করে। দেশে যে ইজিবাইকগুলো চলছে সেগুলোর আদলে রিকশায় হাইড্রোলিক ব্রেক, দুই পাশে দরজা, উইন্ডশিল্ড, ইন্ডিকেটর স্থাপনসহ বেশকিছু উপকরণ সংযুক্ত করা হয়েছে। ইজিবাইক নিয়েও কিছু কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত‍্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক”

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্যসাধারণ কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার দিশারী। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তার বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার জগতে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।

তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাকে স্মরণ করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদ্যুচ্চালিত মোটরযান শিল্পের প্রসারে নিবন্ধন পাচ্ছে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার

০৮:৪৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “গভীর নিম্নচাপে টানা বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ”

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন মহানগরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে; উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি কয়েকশ পরিবার চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, শুক্রবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতেই এটির ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে না।

কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী জেলার মুহুরী, সিলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “পলাতক কর্মকর্তাদের ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ পুলিশ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮১ জন পুলিশ সদস্য কর্মস্থল থেকে পালিয়ে রয়েছেন। ডিআইজি থেকে কনস্টেবল—সকল স্তরের কর্মকর্তাই রয়েছেন এ তালিকায়। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থান জানা গেছে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। তবে এখনো ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া আসেনি।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, পলাতক যে ১৫ জনের অবস্থান জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উডল্যান্ড শহরে তোলা সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের তালিকায়ও দেখা গেছে, হারুন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। একই দেশে আছেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামও। যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। আর প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম ভারতে রয়েছেন বলে পুলিশের ধারণা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বিদ্যুচ্চালিত মোটরযান শিল্পের প্রসারে নিবন্ধন পাচ্ছে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার”

বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক) চলছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এ দীর্ঘ সময়েও বাহনটি আমদানি কিংবা চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারেনি সরকার। এ সুযোগে অবাধে বেড়েছে ইজিবাইকের সংখ্যা। সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও ২০২২ সালে বাহনটির চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতে করা এক রিট আবেদনে দেশে ৪০ লাখ ইজিবাইক থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

দেশে থাকা বিপুলসংখ্যক ইজিবাইককে এবার নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৫’-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক নির্ধারিত মান ও টেস্টিং সম্পন্ন করে’ ইজিবাইকের নিবন্ধন দেয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় ছাড়াও থ্রি-হুইলার নিবন্ধন দিতে পৃথক একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), যার শিরোনাম, ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’।

এর আগে নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব বিদ্যুচ্চালিত অটোরিকশা অনুমোদনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

‘নিরাপদ’ ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারের একটি মডেল তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েট যে নিরাপদ মোটরাইজড ব্যাটারিচালিত রিকশার মডেল তৈরি করেছে, সেটি মূলত ‘ইজিবাইক’-এর গঠন কাঠামোকে ভিত্তি করে। দেশে যে ইজিবাইকগুলো চলছে সেগুলোর আদলে রিকশায় হাইড্রোলিক ব্রেক, দুই পাশে দরজা, উইন্ডশিল্ড, ইন্ডিকেটর স্থাপনসহ বেশকিছু উপকরণ সংযুক্ত করা হয়েছে। ইজিবাইক নিয়েও কিছু কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত‍্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক”

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্যসাধারণ কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার দিশারী। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তার বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার জগতে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।

তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাকে স্মরণ করবে।