০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

১০ মিনিট হাঁটা বনাম ৬০ মিনিট হাঁটা: শীর্ষ নিউরোলজিস্টের ব্যাখ্যা

হাঁটা একটি সহজ ও কার্যকর উপায় সক্রিয় থাকা ও সুস্থতা বজায় রাখার।
এই স্বল্প ব্যায়াম হৃদয়কে শক্তিশালী করে, মস্তিষ্কের কাজ উন্নত করে, এনার্জি বাড়ায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ও আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রশ্ন হলো—এই সব উপকার পেতে দিনে কতক্ষণ হাঁটা উচিত?


বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

ড. সুধীর কুমার, একজন শীর্ষ নিউরোলজিস্ট, হাঁটার আশ্চর্যজনক উপকারিতা তুলে ধরেছেন।
তিনি এক প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে—হাঁটার ফলাফল প্রথম থেকেই শুরু হয়।
“হাঁটা হলো সবচেয়ে সাধারণ ব্যায়ামগুলোর একটি, এবং অধিকাংশ মানুষ এটি করতে পারেন। হাঁটার সঙ্গে বহু স্বাস্থ্যসম্পর্কিত উপকার জড়িত,” তিনি এক পোস্টে বলেছেন।


কী ঘটে পর্যায়—হেঁটে কতক্ষণ হলে কী উপকার?

১–২ মিনিট

হার্ট রেট ও রক্ত প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। পেশি গরম হতে শুরু করে।

৫–১০ মিনিট

মন ভালো অনুভূত হবে। চাপ কমতে শুরু করবে।
এনার্জি বাড়বে।

১০–১৫ মিনিট

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হবে, বিশেষ করে যদি আপনি খাবারের পরে হাঁটেন।


২০–৩০ মিনিট

  • আরও বেশি ক্যালরি জ্বলবে।
  • চর্বি বিপাক বাড়বে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
  • পাচনতন্ত্র ভালো কাজ করবে—বিশেষ করে খাবার শেষে ৩০ মিনিট হাঁটা উপকারী।

৩০–৪৫ মিনিট

এ সময়ে হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
শরীরে এন্ডরফিন ও সেরোটোনিন হরমোন মুক্তি পায়, যা হাসি ও ভালো অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
উদ্বেগ এবং চিন্তা কমে যেতে পারে, এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়তে পারে।


৪৫–৬০ মিনিট

এই সময় হাঁটলে ডোপামিন ও অন্যান্য “মজার” মস্তিষ্কীয় রাসায়নিক বৃদ্ধি পায়, মানুষ আরও সুখী অনুভব করে।
নিয়মিত হাঁটা কার্ডিওভাসকিউলার ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি ঘটাতে পারে।
ড. কুমারের পরামর্শ—“যে কোনো পরিমাণ হাঁটা না করার চেয়ে ভালো।”


শুরু করুন আজই

  • আজ থেকেই শুরু করুন—৫ বা ১০ মিনিট হাঁটা হলেও ভালো।
  • ছোটভাবে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
  • প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ—শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের পথে এগিয়ে যান।

এইভাবেই, হাঁটা শুধু একটি সাধারণ ব্যায়ামই নয়—এটি আপনার জীবন ও সুস্থতার জন্য একটি অপরিহার্য অংশ হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ মিনিট হাঁটা বনাম ৬০ মিনিট হাঁটা: শীর্ষ নিউরোলজিস্টের ব্যাখ্যা

০৫:৪৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

হাঁটা একটি সহজ ও কার্যকর উপায় সক্রিয় থাকা ও সুস্থতা বজায় রাখার।
এই স্বল্প ব্যায়াম হৃদয়কে শক্তিশালী করে, মস্তিষ্কের কাজ উন্নত করে, এনার্জি বাড়ায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ও আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রশ্ন হলো—এই সব উপকার পেতে দিনে কতক্ষণ হাঁটা উচিত?


বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

ড. সুধীর কুমার, একজন শীর্ষ নিউরোলজিস্ট, হাঁটার আশ্চর্যজনক উপকারিতা তুলে ধরেছেন।
তিনি এক প্রমাণভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে—হাঁটার ফলাফল প্রথম থেকেই শুরু হয়।
“হাঁটা হলো সবচেয়ে সাধারণ ব্যায়ামগুলোর একটি, এবং অধিকাংশ মানুষ এটি করতে পারেন। হাঁটার সঙ্গে বহু স্বাস্থ্যসম্পর্কিত উপকার জড়িত,” তিনি এক পোস্টে বলেছেন।


কী ঘটে পর্যায়—হেঁটে কতক্ষণ হলে কী উপকার?

১–২ মিনিট

হার্ট রেট ও রক্ত প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। পেশি গরম হতে শুরু করে।

৫–১০ মিনিট

মন ভালো অনুভূত হবে। চাপ কমতে শুরু করবে।
এনার্জি বাড়বে।

১০–১৫ মিনিট

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হবে, বিশেষ করে যদি আপনি খাবারের পরে হাঁটেন।


২০–৩০ মিনিট

  • আরও বেশি ক্যালরি জ্বলবে।
  • চর্বি বিপাক বাড়বে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
  • পাচনতন্ত্র ভালো কাজ করবে—বিশেষ করে খাবার শেষে ৩০ মিনিট হাঁটা উপকারী।

৩০–৪৫ মিনিট

এ সময়ে হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
শরীরে এন্ডরফিন ও সেরোটোনিন হরমোন মুক্তি পায়, যা হাসি ও ভালো অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত।
উদ্বেগ এবং চিন্তা কমে যেতে পারে, এবং মানসিক স্বচ্ছতা বাড়তে পারে।


৪৫–৬০ মিনিট

এই সময় হাঁটলে ডোপামিন ও অন্যান্য “মজার” মস্তিষ্কীয় রাসায়নিক বৃদ্ধি পায়, মানুষ আরও সুখী অনুভব করে।
নিয়মিত হাঁটা কার্ডিওভাসকিউলার ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি ঘটাতে পারে।
ড. কুমারের পরামর্শ—“যে কোনো পরিমাণ হাঁটা না করার চেয়ে ভালো।”


শুরু করুন আজই

  • আজ থেকেই শুরু করুন—৫ বা ১০ মিনিট হাঁটা হলেও ভালো।
  • ছোটভাবে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
  • প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ—শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের পথে এগিয়ে যান।

এইভাবেই, হাঁটা শুধু একটি সাধারণ ব্যায়ামই নয়—এটি আপনার জীবন ও সুস্থতার জন্য একটি অপরিহার্য অংশ হতে পারে।