০৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
স্ট্রিক্টলি কাম ড্যান্সিং: ২৩তম মৌসুমে তারকা ঝলক, চমক আর নাচের উৎসব সংখ্যা বলছে আবারও ইয়াঙ্কিস-ডজার্স বিশ্ব সিরিজ ফাইনাল হতে পারে আগ্নেয়গিরি থেকে পর্যটন ঢেউ: আইসল্যান্ডের পরিবর্তিত চেহারা হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনের প্রথম পরিচালনা ‘এলেনর দ্য গ্রেট’ প্রাণীদের জন্য রক্তব্যাংক: চিড়িয়াখানা ও অ্যাকোয়ারিয়ামে নতুন উদ্যোগ মধ্য এশিয়ায় জাপানের কৌশলগত অগ্রযাত্রা বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারে আস্থার উত্থান, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ঘাটতি কোয়াড সম্মেলন অনিশ্চিত: বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ও রাজনীতির চাপে থমকে গেছে ভারতের একাধিক রাজ্যে কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ: পরীক্ষায় ধরা পড়ল বিষাক্ত রাসায়নিক জাপানের অতিদক্ষিণপন্থী ভোটারদের মনস্তত্ত্ব: কী তাদের উদ্বুদ্ধ করছে?

আবারও ভারতীয় কাঁচা মরিচে বাজারে দামের ঝাঁঝ ফেরানোর চেষ্টা

সীমান্তে সরব কাঁচামরিচ বাণিজ্য

বাংলাদেশে কাঁচামরিচের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি পূরণ করতে ভারত থেকে নিয়মিতভাবে আমদানি হচ্ছে এই পণ্যটি। গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনে ভারতের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৩২ দশমিক ০৪৮ টন কাঁচামরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চারটি ট্রাকে করে এই চালান দেশে এসেছে বলে, কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।

আমদানির পরিমাণ ও সময়কাল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা এই ৩২ টনের কাঁচামরিচের চালানটি ছিল শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া একাধিক ট্রাকের অংশ। প্রতি ট্রাকের গড়ে ৮ টন করে কাঁচামরিচ বহন করা হয়েছিল। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত পরীক্ষণ ও ছাড়পত্র শেষে সব ট্রাকই দেশে প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং দামও কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের খুচরা দাম ৫০০ টাকা ছুঁয়ে গেলেও বর্তমানে তা কিছুটা কমে এসেছে।

কেন এই আমদানি জরুরি

বাংলাদেশে বর্ষাকালে স্থানীয় কাঁচামরিচ উৎপাদন কমে যায়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে চাষাবাদে ক্ষতি হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়ে।

প্রতিদিন দেশের বাজারে প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ টন কাঁচামরিচের চাহিদা থাকলেও স্থানীয় উৎপাদন ও মজুত মিলে সেই চাহিদার অর্ধেকও মেটানো যায় না। ফলে আমদানি ছাড়া উপায় থাকে না।

সীমান্ত বাণিজ্যে গতি

হিলি ছাড়াও বেনাপোল, ভোমরা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও কাঁচামরিচ আমদানির কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি বন্দরেই কাস্টমস ও বাণিজ্য দপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে, যেন দ্রুত পণ্য ছাড়পত্র দেওয়া যায়, এবং সরবরাহে কোনো বাধা না পড়ে।

ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে কাঁচামরিচের দাম আরও স্থিতিশীল হবে এবং সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি পাবে।

ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

সরকারি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পর্যাপ্ত মজুত ও স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে আরও কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে।

ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দুই দিনে ভারত থেকে ৩২ টনের বেশি কাঁচামরিচ আমদানি বাংলাদেশের কাঁচামরিচ বাজারে নতুন প্রাণ এনেছে। এতে সরবরাহ বেড়েছে, দাম কিছুটা কমেছে, আর সীমান্ত বাণিজ্যেও গতি ফিরেছে

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ট্রিক্টলি কাম ড্যান্সিং: ২৩তম মৌসুমে তারকা ঝলক, চমক আর নাচের উৎসব

আবারও ভারতীয় কাঁচা মরিচে বাজারে দামের ঝাঁঝ ফেরানোর চেষ্টা

১১:৪৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

সীমান্তে সরব কাঁচামরিচ বাণিজ্য

বাংলাদেশে কাঁচামরিচের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ ঘাটতি পূরণ করতে ভারত থেকে নিয়মিতভাবে আমদানি হচ্ছে এই পণ্যটি। গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনে ভারতের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৩২ দশমিক ০৪৮ টন কাঁচামরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চারটি ট্রাকে করে এই চালান দেশে এসেছে বলে, কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।

আমদানির পরিমাণ ও সময়কাল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা এই ৩২ টনের কাঁচামরিচের চালানটি ছিল শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া একাধিক ট্রাকের অংশ। প্রতি ট্রাকের গড়ে ৮ টন করে কাঁচামরিচ বহন করা হয়েছিল। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত পরীক্ষণ ও ছাড়পত্র শেষে সব ট্রাকই দেশে প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং দামও কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের খুচরা দাম ৫০০ টাকা ছুঁয়ে গেলেও বর্তমানে তা কিছুটা কমে এসেছে।

কেন এই আমদানি জরুরি

বাংলাদেশে বর্ষাকালে স্থানীয় কাঁচামরিচ উৎপাদন কমে যায়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে চাষাবাদে ক্ষতি হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়ে।

প্রতিদিন দেশের বাজারে প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ টন কাঁচামরিচের চাহিদা থাকলেও স্থানীয় উৎপাদন ও মজুত মিলে সেই চাহিদার অর্ধেকও মেটানো যায় না। ফলে আমদানি ছাড়া উপায় থাকে না।

সীমান্ত বাণিজ্যে গতি

হিলি ছাড়াও বেনাপোল, ভোমরা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও কাঁচামরিচ আমদানির কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি বন্দরেই কাস্টমস ও বাণিজ্য দপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে, যেন দ্রুত পণ্য ছাড়পত্র দেওয়া যায়, এবং সরবরাহে কোনো বাধা না পড়ে।

ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে কাঁচামরিচের দাম আরও স্থিতিশীল হবে এবং সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি পাবে।

ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

সরকারি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পর্যাপ্ত মজুত ও স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে আরও কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে।

ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দুই দিনে ভারত থেকে ৩২ টনের বেশি কাঁচামরিচ আমদানি বাংলাদেশের কাঁচামরিচ বাজারে নতুন প্রাণ এনেছে। এতে সরবরাহ বেড়েছে, দাম কিছুটা কমেছে, আর সীমান্ত বাণিজ্যেও গতি ফিরেছে