(ভাষাসৈনিক,কবি আহমদ রফিক স্মরণে)
কী নির্মম ছিল যাপনের মুহূর্তগুলো!আমি সব দেখতে/
পেতাম কিন্তু বর্ণনার কোন সুযোগ ছিল না!আমাকে/
দেখার মত কেউ ছিল না!আমার ক্রন্দনের শব্দ আমি/
ছাড়া কেউ শুনতে পেত না! আমি কেবল একটি/
সুদিনের জন্য অপেক্ষা করতাম।হে জীবন তুমি কী/
আমাকে দেখতে পাও?প্রতিদিন রৌদ্র আসে!বৃষ্টি এসে/
চলে যায়!চারদিকে অটো রিকসার কিচির মিচির!সুখের/
কোন সৌগন্ধ কোথাও ছিল না! ধান্দাবাজ আর মূর্খদের/
প্রতিধ্বনি ছাড়া আর কোন শব্দ দীর্ঘস্থায়ী হতো না!/
এক সময় যৎসামান্য সুখের জন্য কাগজের টাকাগুলো/
হাওয়ায় উড়িয়ে দিতাম তখন দেখেছি লোভার্ত কুমীরগুলো/
হামাগুড়ি দিয়ে আগলে রাখতো আমার গ্রন্থরাজি,পেপার/
-ওয়েট, লেখার টেবিল,ল্যাপটপ,আইফোন!কখনও/
কখনও সুপারীবনের ছায়ায় মায়ের মুখ ভেসে উঠতো!/
মাঝে মাঝে মনে হতো দৌড়ে কোথাও পালিয়ে যাই!/
চারদিকে এত হিংস্রতা, মায়াহীন সংসারে আমার কেউ/
ছিল না!প্রেমহীনতা একটি বিষণ্ন রোগের নাম!দীর্ঘায়ু/
আরও বেদনার আরও বিষাদের!হাতের তালুতে উঠে/
আসে মহাজাগতিক রহস্য! এক সময় বেঁচে থাকার মোহ/ মানুষকে বিমূঢ় ও বিভ্রান্ত করে!কারও মৃত্যুর দায়ভার কেউ/ নেয় না!একদিন পাঁজরের ইতিহাস, মৃত্যু রহস্য যারা মুছে/ দেবে, তারা কোন দিন এই মৃত্যুর সঠিক ইতিহাস জানবে/ না!/
৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ।