বলিউডের পুরনো রূপকথা: একটি পুনরাবৃত্তি
বিবাহের অনুষ্ঠানে অতিথিদের ভিড়, পাঁচ তারকা হোটেল, ঝলমলে পোশাকের জন্য ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন এবং চরিত্রের বদলে চকচকে গহনা — এই হল নতুন বলিউড রোমান্টিক কমেডি, যেখানে একটি পুনরাবৃত্তি গাঢ় হয়ে উঠেছে। সানি সন্সকারী কি তুলসী কুমারির গল্প একই পুরানো সিঙ্গেট-সাগাই-শাদি ফর্মুলায় ফিরে এসেছে, যা প্রেম এবং পারিবারিক সংঘর্ষে ভরা। এটির মূল উপাদানটি এমন একটি গল্প যেখানে আমরা অনেক বার এটি দেখেছি, কারণ এই ধরনের বলিউড রোমান্টিক কমেডি এখন শুধু পুরনো মডেলগুলিই অনুসরণ করে।
এবারে, চরিত্রগুলোও যেন পুরনো প্যাটার্নের মধ্যে আটকে পড়েছে। অনন্যা (সান্যা মালহোত্রা) তার এবং সানির (বরুণ ধাওয়ান) সম্পর্ককে ‘সিচুয়েশনশিপ’ হিসেবে বর্ণনা করে, যা পূর্বের সমস্ত সম্পর্কের ধারণাকে পুনরুদ্ধার করে। যদিও সানি এবং তুলসী কুমারির (জাহ্নবী কাপুর) উপস্থিতিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তবুও ছবিটি পুরনো চেনা গানের ধারায় চলে যায়। একদিকে যেভাবে তারা একে অপরকে আঁকড়ে ধরে, অন্যদিকে গল্পে এমন কিছু নতুন ঘটনা যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে যা আসলে খুবই অদ্ভুত এবং ধারাবাহিকতার বাইরে।
পুরনো গল্প, নতুন মেকআপ
শাশাঙ্ক খৈতান এবং বরুণ ধাওয়ানের যৌথ কাজ ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ এবং ‘বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ ছিল কিছুটা নতুন এবং উজ্জীবিত, কিন্তু এবারের সিনেমাটি বেশ পুরনো আর কৃত্রিম মনে হচ্ছে। পুরানো কস্টিউম, দুর্বল সংলাপ এবং ছন্দহীন স্ক্রীপ্টের মধ্যে চাপিয়ে রাখা সমস্ত আড়ম্বরের ফলে গল্পের অনুভূতি বেশ চাপা পড়ে গেছে। আরও খারাপ, সিনেমার মধ্যে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে, যা আসলে দর্শককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় না।
এছাড়া, চলচ্চিত্রে উপস্থিত অন্যান্য ছোটখাটো চরিত্র, যেমন প্রজাত্কতা কোলির চরিত্র এবং ধরনা দুর্গার উপস্থিতি, অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তাদের চরিত্রগুলো কিছুক্ষণ ঝলমলে হলেও খুব তাড়াতাড়ি দৃশ্য থেকে মিলিয়ে যায়। বলিউডের নতুন এই পদ্ধতিতে চুম্বন দৃশ্য এবং প্রেমের অভিব্যক্তি যে কোনভাবেই তীব্র নয়, তা বলাই বাহুল্য।