বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম দেশের বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর জন্য প্রথমবারের মতো সংগঠিত ক্রিকেট কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ক্রিকেট বিস্তারে নতুন দিগন্ত খুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলামের উদ্যোগ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর কাছে ক্রিকেট খেলা পৌঁছে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
এটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বিসিবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সংগঠিত ক্রিকেট কর্মসূচি শুরু হবে।
বিসিবির ইতিহাসে নতুন দিগন্ত
পূর্বে কোনো বোর্ডই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য এমন পরিকল্পনা নেয়নি। ফলে এই উদ্যোগ বাস্তব রূপ পেলে এটি হবে নতুন নির্বাচিত কমিটির অন্যতম বড় পদক্ষেপ এবং বিসিবির ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
আমিনুল বুধবার (৮ অক্টোবর) এই পরিকল্পনার প্রাথমিক ধারণাটি প্রকাশ করেন। যদিও বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, বোর্ড এটি নিয়ে আরও আলোচনা ও পরিকল্পনা করছে।
ক্রিকেট বিস্তারে নতুন দিগন্ত: মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এখন লক্ষ্যভুক্ত
আমিনুল ইসলাম বলেন, বিসিবির লক্ষ্য শুধু স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে নয়—মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও ক্রিকেটের আওতায় আনা।
তার ভাষায়, “মাদ্রাসায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখান থেকেও অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসতে পারে।”
গ্রামীণ ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিভা খোঁজার উদ্যোগ
বিসিবি পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলো শহর ও উপশহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভা চিহ্নিত করেছে।
কিন্তু দেশের বড় ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন ক্রিকেটের পরিধির বাইরে ছিল। এবার মাদ্রাসাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হলে গ্রামীণ ও ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীরাও সুযোগ পাবে তাদের প্রতিভা প্রকাশের।
নতুন প্রতিভা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা
বিসিবির এই উদ্যোগ কেবল ক্রিকেট বিস্তারের নয়, বরং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও সুযোগের প্রসারেরও প্রতীক।
এটি দেশের মাদ্রাসাগুলোর তরুণদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পথ খুলে দিতে পারে, যা তাদের আত্মবিশ্বাস, দলগত মানসিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশেও সহায়তা করবে।
বিসিবির নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলামের এই পরিকল্পনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে পারে।
যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে দেশের ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীরাও জাতীয় ক্রিকেটের প্রতিভা গঠনের ধারায় অন্তর্ভুক্ত হবে—যা খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষা ও সমাজে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
#মাদ্রাসা_ক্রিকেট #বিসিবি #আমিনুল_ইসলাম #বাংলাদেশ_ক্রিকেট #সারাক্ষণ_রিপোর্ট