খাইবার পাখতুনখোয়ার ওরাকজাই জেলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে—সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত কথিত ‘ভারতপুষ্ট’ সন্ত্রাসীদের একটি দল নির্মূল হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র গোলাগুলির পর ঘটনাস্থলে মরদেহ উদ্ধার হয় এবং এলাকায় স্যানিটাইজেশন চলছে।
প্রেক্ষাপট: পূর্বের হামলা ও পাল্টা অভিযান
ওরাকজাইয়ে সাম্প্রতিক হামলায় সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রাণহানি ঘটে। এর পর ধারাবাহিক পাল্টা অভিযানে দেরা ইসমাইল খানসহ নিকটবর্তী এলাকায় আরও জঙ্গি নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়। সরকার ও সামরিক বাহিনী বলছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ‘সন্ত্রাস ও অপরাধচক্রের’ বন্ধন ছিন্ন করাই অগ্রাধিকার।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেনা নেতৃত্ব জানিয়েছে, সীমান্তপারের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় থাকবে; স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির।
অঞ্চলে সহিংসতার চিত্র
স্বাধীন গবেষণা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে হামলা ও পাল্টা অভিযানের ঘটনা বেশি—যার প্রভাব পড়ছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জননিরাপত্তায়। বিশ্লেষকদের মতে, নিরাপত্তা অভিযান, সীমান্ত–নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় উন্নয়ন একসঙ্গে এগোতে না পারলে সহিংসতার চাপ স্থায়ী হতে পারে।