ফ্যাশন ইতিহাস ও সংগীত ঐতিহ্যের সেতুবন্ধ
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নতুন ফিচারটি জ্যাজ কিংবদন্তি মাইলস ডেভিসের ব্যক্তিগত স্টাইল খতিয়ে দেখেছে—পাতলা ল্যাপেলের স্যুট থেকে সত্তরের দশকের সাহসী স্টেজ-আউটফিট, নকশা-বিন্যাসের ধারায় যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি সুরের বিবর্তনের সঙ্গেও তা তাল মিলিয়েছে। ইউরোপীয় টেইলারিং ও আমেরিকান স্ট্রিট-সেন্স একসঙ্গে মিশিয়ে ডেভিস নিজের পোশাকে গড়ে তুলেছিলেন ভিজ্যুয়াল ‘রিফ’। ডিজাইনারদের সঙ্গে সহযোগিতা, ইতালীয় কাটের প্রতি ঝোঁক, রং-ফ্যাব্রিক নিয়ে পরীক্ষাচর্চা—সবই জ্যাজ মঞ্চের রক্ষণশীল ড্রেস-কোডে নতুন ভাষা এনেছিল। রিপোর্টটি ডিউক এলিংটনের আভিজাত্য থেকে শুরু করে আজকের সংগীতশিল্পীদের মধ্যে পোশাককে ‘নারেটিভ টুল’ হিসেবে দেখার ধারাটাকেও রেখাপাত করে।
ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য এটি স্থায়ী পুরুষ-পোশাক নীতির গাইডও বটে—প্রোপোরশন, ড্রেপ, ফিট। পাতলা ট্রাউজার বা অ্যাঙ্কল-বুটের পুনরাগমন, কম অ্যাকসেসরিজে মিনিমাল ফিনিশ—ডেভিসকে আজও আধুনিক দেখায়। nostalgia-তে না ভেসে লেখাটি দেখায়, শিল্পীরা কিভাবে পোশাকে মুড স্থাপন করেন, বিদ্রোহ জানান, এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতি নির্মাণ করেন। জাদুঘর-সংরক্ষণে স্টেজ-ওয়ার্ন পোশাকের টেকনিক্যাল দিকও এসেছে—যাতে পরের প্রজন্ম প্রসঙ্গসহ এই ধনসম্পদ বুঝতে পারে।
এখন কেন প্রাসঙ্গিক
ফ্যাশনে আবারও ম্যাক্সিমাল ও মিনিমাল—দুই ধারার টানাপোড়েন। সংগীতশিল্পীরা নির্দেশক। ‘জার্নাল’-এর লুকবুক দেখায়, কারিগরি ও সংযম টিকে থাকে; গুছোনো ওয়ার্ডরোব যুগ পার করে। তরুণ সৃজনশীলদের জন্য বার্তা—নির্দয়ভাবে এডিট করুন, সিলুয়েট নিয়ে খেলুন, ফ্যাব্রিককে কথা বলতে দিন। আর্কাইভিস্টদের কাছে এটি ‘মেটেরিয়াল হিস্ট্রি’; জ্যাজ-ভক্তদের কাছে আরেক ‘সুর’, যা চোখে দেখা যায়।