হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো ভিলেজে শনিবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ডিসিসিআইয়ের গভীর উদ্বেগ ও তদন্ত দাবি
রবিবার এক বিবৃতিতে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটনে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলো বাণিজ্য ও অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র—তাই এসব স্থানে অগ্নি-নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিমানবন্দরের গুরুত্ব
তাসকিন আহমেদ জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর শুধু যাত্রী পরিবহনের জন্যই নয়, বরং আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমেও ব্যবসায়ী সমাজের অন্যতম ভরসাস্থল। এমন দুর্ঘটনা স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে এবং বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য-চিত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনৈতিক আস্থা ও স্থিতিশীলতার ঝুঁকি
ডিসিসিআই সভাপতি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের অঘটন ব্যবসায়িক আস্থা নড়বড়ে করে দিতে পারে, যার ফলে বাণিজ্য কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। তিনি সরকারকে অনুরোধ করেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ দ্রুত নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
সপ্তাহান্তে কার্গো কার্যক্রম চালু রাখার প্রস্তাব
বিবৃতিতে তাসকিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সপ্তাহান্তেও কার্গো কার্যক্রম সক্রিয় রাখার বিষয়টি সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এতে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
আহতদের চিকিৎসা ও সহমর্মিতা
তিনি আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তাসকিন আহমেদ বলেন, এমন ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে, সে জন্য যৌথভাবে কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডিসিসিআইয়ের এই উদ্বেগ বাণিজ্যিক মহলে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে—অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কেবল পণ্য নয়, আস্থা ও স্থিতিশীলতাও পুড়ে যায়।
#শাহজালাল_বিমানবন্দর #কার্গো_ভিলেজ #অগ্নিকাণ্ড #ডিসিসিআই #বাংলাদেশ_বাণিজ্য #অর্থনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট