হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে যেন স্থবিরতা না আসে, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) অস্থায়ীভাবে জিইসি মেইনটেন্যান্স এলাকা পণ্য সংরক্ষণের জন্য নির্ধারণ করেছে।
পণ্য সংরক্ষণের বিকল্প ব্যবস্থা
শনিবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কার্গো ভিলেজের বিভিন্ন গুদাম ও টার্মিনালে আমদানিকৃত মূল্যবান পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিস্থিতিতে সিএএবি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জিইসি মেইনটেন্যান্স এলাকাকে অস্থায়ীভাবে পণ্য সংরক্ষণের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ বর্তমানে এই নির্ধারিত স্থানে পণ্যের শারীরিক পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে। একই সঙ্গে, গেট নম্বর ৯–এ এএসওয়াইকিউডা (ASYCUDA World) সিস্টেমের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, যাতে পণ্য ছাড়প্রক্রিয়া সহজ হয়।
শুল্ক কার্যক্রম চালু ও পণ্য ছাড়প্রক্রিয়া
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে গেট নম্বর ৯ দিয়ে পণ্য ছাড়ের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য ও লজিস্টিক কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে, এবং আগুনের কারণে সৃষ্ট বিঘ্ন অনেকটাই কমে এসেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি
শনিবার বিকেলে বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ‘কার্গো ভিলেজ’ এলাকায়, যেখানে আমদানিকৃত কাপড়, ইলেকট্রনিক পণ্য ও রাসায়নিক দ্রব্যসহ নানা ধরনের পণ্য মজুত ছিল।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর তৎপরতায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ধীরে ধীরে বিমান চলাচল কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
সিএএবি ও এনবিআরের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে বিমানবন্দরের কার্গো কার্যক্রমে বড় ধরনের অচলাবস্থা এড়ানো গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্গো ভিলেজ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত জিইসি মেইনটেন্যান্স এলাকা থেকেই অস্থায়ীভাবে পণ্য ছাড়প্রক্রিয়া চালানো হবে।
#হযরত_শাহজালাল_আন্তর্জাতিক_বি
#কার্গো_ভিলেজ_অগ্নিকাণ্ড
#সিভিল_অ্যাভিয়েশন
#জিইসি_মেইনটেন্যান্স_এলাকা
#বাংলাদেশ_শুল্ক
#সারাক্ষণ_রিপোর্ট