একাদশ পরিচ্ছেদ
যাওয়ার পথে ডানদিকে তাঁর একটা বাঁক নিয়ে আর সারা রাত্তির লম্বা লম্বা পাড়ি দিয়ে আমরা জিখারেভ আমাদের জন্যে যে-ফাঁদ পেতে রেখেছিল তা এড়িয়ে, অনেক দূর দিয়ে এগিয়ে গেলুম। বড়-বড় গ্রামগুলো এড়িয়ে আমাদের যাওয়ার পথে শত্রুর যে-সব টহলদার প্যাট্রোল দল পড়ল সেগুলোকে ছত্রভঙ্গ করল শেবালভ ও বেগিচেভের মিলিত বাহিনী। আর এরও এক হপ্তা পরে, পোভোরিনো স্টেশন সেক্টরে লাল ফৌজের নিয়মিত যে-ইউনিটগুলো শত্রুর বেষ্টনী হিসেবে কাজ করছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটল আমাদের।
ওই সময়টায় আমি আমাদের বাহিনীর ঘোড়সওয়ার দলের একজন হয়ে দাঁড়ালুম। একদিন খোলা আকাশের নিচে যখন আমরা রাতের বিশ্রাম নিচ্ছিলুম তখন ফেদিয়া সির্ত্সভ আমার কাছে এসে ওর শক্ত ছোট্ট হাতখানা দিয়ে আমার পিঠে একটা চাপড় দিল।
জিজ্ঞেস করল, ‘বরিস, কখনও তুমি ঘোড়ার পিঠে চেপেচ?’
‘হ্যাঁ,’ আমি জবাব দিলুম। ‘একবার চড়েছি। গ্রামে আমার কাকার বাড়িতে থাকতে। তবে সে জিন ছাড়াই চড়েছিলুম। কিন্তু, কেন বল তো?’
‘তা তুমি যদি জিন ছাড়াই ঘোড়ায় চেপে থাক, তাইলে জিন-চড়ানো ঘোড়ায় সহজেই চাপতে পারবে, তাই না? আমার ঘোড়সওয়ার দলে আসতে চাও নাকি, কও?’
ওর মতলব কী ঠাহর করতে না পেরে সন্দেহের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে জবাব দিলুম, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।’
‘তাইলে বুরুন্দিউকভের জায়গায় তোমারে লিতে পারি। ওর ঘোড়াটাও তুমি পাবে।’
‘কেন? গ্রিশার কী হল?’
‘শেবালভ ওরে নাথিয়ে বের করে দিইচে,’ একটা গালাগাল দিয়ে উঠে ফেদিয়া বলল। ‘বাহিনী থেকেই পুরাপুরি বের করে দিইচে। সেই-যে পাদ্রির বাড়ি তল্লাসি হল না? তা সেই তল্লাসির সময় গ্রিশা চুপটি করে একটা আঙটি সরিয়ে আঙুলে পরেছিল।
আর্কাদি গাইদার 



















