০৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে শেহবাজ শরিফ ও আসিম মুনির ‘মহান মানুষ’, বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা এক টাকার নিচে মূল্যের শেয়ারে ‘টিক সাইজ’ হবে ০.০১ টাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৬) পুলিশের প্রশাসনিক রদবদল—একযোগে বদলি ১১ কর্মকর্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউটিএল আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন নির্বাচন নিশ্চিতে ৩০ অক্টোবর প্রস্তুতিমূলক বৈঠক গুলশান ও মতিঝিলের ব্যাংক হিসাবে দেশের ২০% আমানত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে করুণ মৃত্যু—সাঁতারের সময় পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর প্রাণহানি

সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কেন জামিন নয়, হাইকোটে রুল

জুলাই আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী হত্যা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় জালিয়াতি ও প্লট জালিয়াতির পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসরুল হক চৌধুরী ও কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন মোনায়েম নবী শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আরও চারটি মামলা হয়। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীনের মামলা। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। একই অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় ২৫ আগস্ট আরেকটি মামলা করেন নুরুল ইসলাম মোল্লা। এর আগে ৪ আগস্ট প্লট জালিয়াতিতে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকও একটি মামলা করেছে। এসব মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আবেদন করেছিলেন। যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। এরপর তিন বার তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হন।

জনপ্রিয় সংবাদ

অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে

সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কেন জামিন নয়, হাইকোটে রুল

০৫:৫৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের সময় যুবদলকর্মী হত্যা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় জালিয়াতি ও প্লট জালিয়াতির পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসরুল হক চৌধুরী ও কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন মোনায়েম নবী শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আরও চারটি মামলা হয়। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীনের মামলা। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। একই অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় ২৫ আগস্ট আরেকটি মামলা করেন নুরুল ইসলাম মোল্লা। এর আগে ৪ আগস্ট প্লট জালিয়াতিতে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকও একটি মামলা করেছে। এসব মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আবেদন করেছিলেন। যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১১ সালের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। এরপর তিন বার তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হন।