স্টুডিওর দোরগোড়ায় নয়, সরাসরি মালিকানা
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হলিউডের একাধিক এ-লিস্ট অভিনেত্রী এখন ছোট আকারের প্রোডাকশন কোম্পানি করছেন যেখানে তারা নিজেই প্রডিউসার ক্রেডিট নেন, স্ক্রিপ্ট অনুমোদন দেন, কাস্টিংয়ে মত দেন এবং ভবিষ্যতে তাদের ডিজিটাল চেহারা (এআই দিয়ে ক্লোন করা ভয়েস বা ফেস) ব্যবহারের শর্ত বেঁধে দেন। এই মডেল সাধারণত দুই-তিনটা ফিল্ম বা সিরিজ একসাথে প্যাকেজ করে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বা কো-ফাইন্যান্সারদের দেখানো হয়। উদ্দেশ্য সহজ: “৪০ পেরোলেই লাভ ইন্টারেস্ট” ধরনের টাইপকাস্টিং ভাঙা, এবং নিজের গল্পের মালিক হওয়া। এখন নতুন চুক্তির বড় অংশই হলো এআই লাইকনেস ক্লজ—অভিনেত্রীর মুখ বা কণ্ঠ ভবিষ্যতে ডিজিটালি কপি করতে চাইলে নতুন করে পারিশ্রমিক ও অনুমতি লাগবে।
পোস্ট-স্ট্রাইক হলিউডে নতুন পাওয়ার শিফট
গত দুই বছরে ধর্মঘট ও আলোচনার পর হলিউডে ন্যূনতম পারিশ্রমিক ও এআই সুরক্ষা নিয়ে একটা বেসলাইন তৈরি হয়েছে। এখন সেই লড়াইয়ের পরের ধাপ হলো কাঠামোগত পাওয়ার শিফট—তারকাই প্রথম দিন থেকে প্রযোজক। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এটি একধরনের সেফ প্লে: তাদের হাতে আসে রেডি-মেড প্যাকেজ, যেটায় নামী মুখ, সোশ্যাল রিচ ও প্রোমো বেসলাইন আগে থেকেই আছে। অভিনেত্রীদের জন্য মানে দাঁড়ায়, “আমার বয়সের পরও আমি সেন্টার স্টেজে আছি—কারণ স্ক্রিপ্টটাই আমার।” তবে সমালোচকরা বলছেন, এতে টপ-টিয়ার আর মিড-টিয়ার পারফর্মারের ফারাক আরও বাড়বে। যাদের হাতে ক্যাপিটাল নেই, তারা হয়তো জটিল, পরিণত নারী চরিত্রের ফান্ডিং পেতে আরও কষ্ট করবে, কারণ প্ল্যাটফর্মগুলো প্রথমেই সেফ বেট চাইবে—অর্থাৎ এমন প্যাকেজ যেখানে তারকা নিজেই মিনি-স্টুডিও। শিল্পের ভাষায়, “স্টুডিওরা তারকাকে চাকরি দিচ্ছে” মডেল বদলে যাচ্ছে “তারকারা নিজেরাই স্টুডিও,” আর এআই অধিকার সেই বদলকে টার্বোচার্জ করছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















