দুই ইন্ডাস্ট্রি, এক লাভ ট্রায়াঙ্গেল
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক বড় স্টুডিও নব্বইয়ের এক বলিউড ব্লকবাস্টার প্রেমকাহিনিকে প্রেস্টিজ কে-ড্রামা ফরম্যাটে রিমেক করতে যাচ্ছে। গল্পে পরিবারিক সম্মান বনাম প্রথম প্রেমের জায়গা নেবে ইমিগ্রেশন আইন, ঋণের চাপে থাকা পরিবার আর নজরদারি সংস্কৃতি। শুটিং হবে সিউল আর ভ্যাঙ্কুভারে, কিছু ফ্ল্যাশব্যাক দৃশ্য হবে দক্ষিণ এশিয়ার সেটিংয়ে। এপির তথ্যমতে, এক শীর্ষ ভারতীয় অভিনেত্রীর সঙ্গে সাপোর্টিং কিন্তু আবেগী ওজনদার চরিত্রের জন্য আলোচনা চলছে—এটি হিন্দি ভাষী দর্শকের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা অ্যাঙ্কর হিসেবে কাজ করবে। প্রযোজকেরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়া এবং কে-ড্রামা ফ্যানডম এখন টিকটক ও রিলসের মাধ্যমে এতটাই মিশে গেছে যে ফুল স্কেল ক্রসওভার বানানো এখন বাণিজ্যিকভাবে যৌক্তিক।
ফ্যান ওয়ার এখনই শুরু
ঘোষণা ফাঁস হতেই অনলাইনে দুই দিকেই আপত্তি। ভারতীয় ভক্তদের একাংশের অভিযোগ, “কোরিয়ানরা আবেগকে নরম করে দেবে, মূলের তীব্রতা থাকবে না।” অপরদিকে কিছু কে-ড্রামা ভক্ত বলছে, “বলিউডি মেলোড্রামা এনে যেন অতি নাটকীয় সাবপ্লট না ঢুকে পড়ে।” প্রযোজকেরা আসলে এই বিতর্ককে প্রচার হিসেবেই দেখছেন। তাদের ভাষায়, মূল আবেগী কাঠামো—সামাজিক চাপে আলাদা হওয়া প্রেমিক-প্রেমিকা, ভাগ্যের টানে আবার দেখা, আর এক তৃতীয় চরিত্র যিনি নৈতিক ট্র্যাজেডিতে পরিণত হন—ওটা থাকবে। বদলাবে টোন ও গতি। গান আর পাবলিক ড্যান্স নামবে না স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে; বরং গান থাকবে হেডফোনে, কারাওকে বুথে, রিহার্সাল রুমে—যা আধুনিক কে-ড্রামার ন্যারেটিভের সাথেই যায়। ক্রসওভারটি সফল হলে উল্টো দিকেও রাস্তা খুলবে: বলিউড হয়তো কোরিয়ান থ্রিলারগুলোকে হিন্দি ও তামিল স্ট্রিমিং অরিজিনাল হিসেবে রিমেক করবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















