০৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
কয়লা খনি নিয়ে বিভক্ত নাহদলাতুল উলামা: ধর্মীয় সংগঠনে রাজনীতি ও ব্যবসার টানাপোড়েন শৈত্যপ্রবাহে হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ: সারা দেশে কুয়াশা, শ্বাসকষ্ট আর জীবিকার ঝুঁকি খালেদা জিয়ার মৃত্যু: রাষ্ট্রীয় শোক ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা মুন্সিগঞ্জে ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড; দ্রুত নিয়ন্ত্রণে বড় ক্ষতি এড়ানো গেল এক চিলতে আগুনেই সর্বনাশ, খুলনার বাজারগুলোয় অগ্নিঝুঁকির নীরব আতঙ্ক খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা: জামায়াত নেতা তাহের ইসরায়েলের পদক্ষেপের পর তুরস্কে সোমালি প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক বৈঠক সুইস কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন এক এনআইডিতে পাঁচ সিম সীমা গুজব: টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ

দুই দশক পর অর্থনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশ–পাকিস্তানের নতুন সূচনা

প্রায় বিশ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ। এই বৈঠকের লক্ষ্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করে দুই দেশের মধ্যে নতুন কর্মপরিকল্পনার ভিত্তি গড়ে তোলা।

উদ্বোধন ও স্থান

রাজধানীর এনইসি কনফারেন্স রুমে সোমবার সকালে শুরু হয়েছে দুই দিনের এই বৈঠক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া 'গোপন চুক্তি' নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা  | কালবেলা

প্রতিনিধিদল ও নেতৃত্ব

বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তান পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলি পারভেজ মালিক।

বৈঠকের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার

এই জেইসি বৈঠকে প্রধানত যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে:
• দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করা।
• অশুল্ক বাধা কমিয়ে পণ্য চলাচল মসৃণ করা।
• কৃষি, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে যৌথ কর্মসূচি বাড়ানো।
• জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
• জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত খাতে অংশীদারিত্ব জোরদার করা।

জেইসি: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

ঢাকা–ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম হলো যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)। সর্বশেষ জেইসি অধিবেশন ২০০৫ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর এ বছরের বৈঠককে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ফলাফল

• বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও সময়সূচি নির্ধারণ।
• অগ্রাধিকার খাতে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) সুযোগ অন্বেষণ।
• নিয়ন্ত্রক সমন্বয় ও বাণিজ্য-সহায়ক নীতিতে অগ্রগতি।

সমাপনী ভাবনা

দুই দশকের ব্যবধানের পর পুনরায় শুরু হওয়া এই সংলাপ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন খাতে সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে। কার্যকর বাস্তবায়ন ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণই এই উদ্যোগের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে।

#বাংলাদেশ #পাকিস্তান #অর্থনীতি #বাণিজ্য #বিনিয়োগ #জ্বালানি #জেইসি

জনপ্রিয় সংবাদ

কয়লা খনি নিয়ে বিভক্ত নাহদলাতুল উলামা: ধর্মীয় সংগঠনে রাজনীতি ও ব্যবসার টানাপোড়েন

দুই দশক পর অর্থনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশ–পাকিস্তানের নতুন সূচনা

০৪:৫৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রায় বিশ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ। এই বৈঠকের লক্ষ্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করে দুই দেশের মধ্যে নতুন কর্মপরিকল্পনার ভিত্তি গড়ে তোলা।

উদ্বোধন ও স্থান

রাজধানীর এনইসি কনফারেন্স রুমে সোমবার সকালে শুরু হয়েছে দুই দিনের এই বৈঠক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া 'গোপন চুক্তি' নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা  | কালবেলা

প্রতিনিধিদল ও নেতৃত্ব

বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তান পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলি পারভেজ মালিক।

বৈঠকের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার

এই জেইসি বৈঠকে প্রধানত যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে:
• দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করা।
• অশুল্ক বাধা কমিয়ে পণ্য চলাচল মসৃণ করা।
• কৃষি, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে যৌথ কর্মসূচি বাড়ানো।
• জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
• জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত খাতে অংশীদারিত্ব জোরদার করা।

জেইসি: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

ঢাকা–ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম হলো যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)। সর্বশেষ জেইসি অধিবেশন ২০০৫ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর এ বছরের বৈঠককে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ফলাফল

• বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও সময়সূচি নির্ধারণ।
• অগ্রাধিকার খাতে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) সুযোগ অন্বেষণ।
• নিয়ন্ত্রক সমন্বয় ও বাণিজ্য-সহায়ক নীতিতে অগ্রগতি।

সমাপনী ভাবনা

দুই দশকের ব্যবধানের পর পুনরায় শুরু হওয়া এই সংলাপ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন খাতে সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে। কার্যকর বাস্তবায়ন ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণই এই উদ্যোগের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে।

#বাংলাদেশ #পাকিস্তান #অর্থনীতি #বাণিজ্য #বিনিয়োগ #জ্বালানি #জেইসি