০৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন-চীন শুল্ক নরম হলো, তেলের দাম উঠল — আর রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ল গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে, কিন্তু ইসরায়েলি ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ প্রথম বড় চাপ তৈরি করল আহত শিউলি দোস্ত যেন দুশমন হয়ে না যায়: পন্থা আবিষ্কার করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল জয় ঢাকা-দিল্লির রাতও এখন গরম: ঘুম ভাঙা ক্লাইমেট ক্রাইসিস জ্বালানি রূপান্তর ও ভূরাজনীতি এখন এক জিনিস: ব্যাটারির খনিজের জন্য নতুন মার্কিন চাপ এআই ডেটা সেন্টার এত বিদ্যুৎ খাচ্ছে যে গ্রিড কাঁপছে — সমাধান কি ‘কার্বন-অওয়্যার’ ট্রেনিং ট্রাম্পের এশিয়া সফরের মাঝেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া, জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সতর্কতা জোরালো টেকক্রাঞ্চ ডিসরাপ্ট ২০২৫: শুধু এআই বললেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না” মারিনল্যান্ডের বেলুগা তিমিদের বাঁচাতে কানাডার প্রাদেশিক সরকারের আহ্বান

দুই দশক পর অর্থনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশ–পাকিস্তানের নতুন সূচনা

প্রায় বিশ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ। এই বৈঠকের লক্ষ্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করে দুই দেশের মধ্যে নতুন কর্মপরিকল্পনার ভিত্তি গড়ে তোলা।

উদ্বোধন ও স্থান

রাজধানীর এনইসি কনফারেন্স রুমে সোমবার সকালে শুরু হয়েছে দুই দিনের এই বৈঠক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া 'গোপন চুক্তি' নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা  | কালবেলা

প্রতিনিধিদল ও নেতৃত্ব

বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তান পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলি পারভেজ মালিক।

বৈঠকের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার

এই জেইসি বৈঠকে প্রধানত যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে:
• দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করা।
• অশুল্ক বাধা কমিয়ে পণ্য চলাচল মসৃণ করা।
• কৃষি, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে যৌথ কর্মসূচি বাড়ানো।
• জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
• জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত খাতে অংশীদারিত্ব জোরদার করা।

জেইসি: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

ঢাকা–ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম হলো যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)। সর্বশেষ জেইসি অধিবেশন ২০০৫ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর এ বছরের বৈঠককে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ফলাফল

• বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও সময়সূচি নির্ধারণ।
• অগ্রাধিকার খাতে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) সুযোগ অন্বেষণ।
• নিয়ন্ত্রক সমন্বয় ও বাণিজ্য-সহায়ক নীতিতে অগ্রগতি।

সমাপনী ভাবনা

দুই দশকের ব্যবধানের পর পুনরায় শুরু হওয়া এই সংলাপ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন খাতে সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে। কার্যকর বাস্তবায়ন ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণই এই উদ্যোগের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে।

#বাংলাদেশ #পাকিস্তান #অর্থনীতি #বাণিজ্য #বিনিয়োগ #জ্বালানি #জেইসি

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন-চীন শুল্ক নরম হলো, তেলের দাম উঠল — আর রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ল

দুই দশক পর অর্থনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশ–পাকিস্তানের নতুন সূচনা

০৪:৫৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রায় বিশ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি) বৈঠকের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ। এই বৈঠকের লক্ষ্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করে দুই দেশের মধ্যে নতুন কর্মপরিকল্পনার ভিত্তি গড়ে তোলা।

উদ্বোধন ও স্থান

রাজধানীর এনইসি কনফারেন্স রুমে সোমবার সকালে শুরু হয়েছে দুই দিনের এই বৈঠক।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া 'গোপন চুক্তি' নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা  | কালবেলা

প্রতিনিধিদল ও নেতৃত্ব

বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাকিস্তান পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী আলি পারভেজ মালিক।

বৈঠকের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার

এই জেইসি বৈঠকে প্রধানত যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে:
• দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করা।
• অশুল্ক বাধা কমিয়ে পণ্য চলাচল মসৃণ করা।
• কৃষি, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে যৌথ কর্মসূচি বাড়ানো।
• জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
• জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত খাতে অংশীদারিত্ব জোরদার করা।

জেইসি: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো

ঢাকা–ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম হলো যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)। সর্বশেষ জেইসি অধিবেশন ২০০৫ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর এ বছরের বৈঠককে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রত্যাশিত ফলাফল

• বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও সময়সূচি নির্ধারণ।
• অগ্রাধিকার খাতে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব (PPP) সুযোগ অন্বেষণ।
• নিয়ন্ত্রক সমন্বয় ও বাণিজ্য-সহায়ক নীতিতে অগ্রগতি।

সমাপনী ভাবনা

দুই দশকের ব্যবধানের পর পুনরায় শুরু হওয়া এই সংলাপ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন খাতে সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে। কার্যকর বাস্তবায়ন ও ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণই এই উদ্যোগের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে।

#বাংলাদেশ #পাকিস্তান #অর্থনীতি #বাণিজ্য #বিনিয়োগ #জ্বালানি #জেইসি