হেমন্তের শিশিরে শিউলি ফুলগুলো
তাদের কমলা ও শাদায় মিশানো শরীর নিয়ে
সবুজ দুর্বাদলের ওপর শুয়েছিলো—
অথচ তুমি তাদের দিকে না তাকিয়ে
ভোরের বাতাসে তোমার প্রিয়তমের
হাত ধরে চলে গেলে।
তোমার পায়ে নয়, জুতায় পিষ্ট হলো
ফুলগুলো—
একবার তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে
একবার দলিত ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে—
আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখলাম—
হেমন্তের শিশিরে কুড়িয়ে নিয়ে এলাম
আহত শিউলিগুলো—
টেবিলের ফ্লাওয়ার ভাজ-এ শীতল পানি দিয়ে
শুইয়ে দিলাম আহত শিউলিদের—
ওরা আহত শব্দমালার মতো জলে ভেসে থাকলো।
দিন শেষে ওরা ওদের নিয়তিকে আলিঙ্গন করলো—
পাশের মন্দিরের ভজনের সুরে তখন
অন্ধকার ভেঙে যাচ্ছিলো— কেঁপে কেঁপে —
আমি রুমের সব আলোর সুইচ অফ করে
অন্ধকারে—
শিউলির আহত দেহ বা মৃত্যু নয়—
ভজনের গভীর সুর নয়—
আরও অনেক অনেক আহত শরীর—
আরও বেশি গভীর অন্ধকারের
অপেক্ষায় বসে রইলাম—
তোমার অনিন্দ্য সুন্দর মুখমণ্ডল মনে করে
আমার কেবলই মনে হতে থাকে—
এমনও সময় আসে,
যখন আলো জ্বালতে নেই—
আলোকে আসতে দিতে নেই—
আলো এলেই আহত বা নিহত শিউলিগুলোকে—
দেখা ছাড়া চোখের জন্যে
আর কোনো দৃষ্টিসীমা থাকে না।
স্বদেশ রায় 



















