০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে বিএফটিআই ও আইটিডি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ: গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা- আসিফ নজরুল সৎপুত্রের হাতে আহত নারী ঢাকায় মারা গেলেন ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীতে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু সংশোধিত নির্বাচনী প্রতীক তালিকায় অবশেষে যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছয় মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কৃত রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১২) ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৯২৮ চার পুলিশ সুপার পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হলেন আমরা চাই না বিএনপি নিজেদের ধ্বংসের পথ নিজে তৈরি করুক- নাসিরউদ্দিন পাঠওয়ারী

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দৌড়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নতুন অস্ত্র

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন শুধু ChatGPT, Gemini, Grok কিংবা Perplexity-র মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তি দুনিয়ায় শুরু হয়েছে এক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা—যেখানে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে অটোমেশন ও এআই-নির্ভর প্রযুক্তিতে। সেই ঢেউ এখন পৌঁছে গেছে বাংলাদেশেও।


ব্যাংকিং সেবায় এআই-এর উপস্থিতি

সম্প্রতি ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন যখন একটি বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহকসেবায় ফোন দেন, তিনি ভাবেননি অপর প্রান্তে মানুষ নয়, একটি এআই তার কল রিসিভ করবে।
“আমার ফোনের উত্তর দিয়েছিল এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তার কথা বলার ভঙ্গি ও প্রতিক্রিয়া ছিল ঠিক মানুষের মতো,” তিনি বলেন বিস্ময়ে।

এখন শুধু ব্যাংকিং নয়, যেখানে আগে বড় বড় গ্রাহকসেবা দল দরকার হতো, সেখানে এখন এআই-চ্যাটবট ও ভয়েস-সেবা অধিকাংশ কাজ করছে নিখুঁতভাবে।


টেলিসার্ভিস খাতে আমূল পরিবর্তন

গ্লোবাল লিডস টেলিসলিউশন-এর সিইও ফারাজ আহমেদ জানান, গত পাঁচ বছরে এই খাতের কাঠামো পুরোপুরি বদলে গেছে।
“আগে বিদেশি ক্লায়েন্ট সামলাতে ১৫-২০ জন কর্মী লাগত, বড় কোম্পানিতে ৫০ জন পর্যন্ত। এখন ৫ জনেই পুরো টিম চালানো যায়—সবই সম্ভব হয়েছে এআই ও অটোমেশনের কারণে,” তিনি বলেন।

তিনি আরও জানান, এখন উন্নত সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশনই যথেষ্ট—বড় দল গঠন করার প্রয়োজন পড়ে না। এভাবে বাংলাদেশের টেলিসার্ভিস পেশার কাঠামোই পাল্টে গেছে।


চাকরির বাজারে রিজ্যুম筛নেও এআই

মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা ‘Application of Artificial Intelligence in Human Resource Management: A Bangladesh Perspective’ অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানি এখন চাকরিপ্রার্থীর সিভি বাছাইয়ে এআই ব্যবহার করছে।

সফটওয়্যার কোম্পানির এইচআর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “অ্যাটেনডেন্স ট্র্যাকিং, রিজ্যুম筛ন, এমনকি প্রাথমিক সাক্ষাৎকারও এখন এআই দিয়ে হচ্ছে।”

Olivia, HireVue, Leena, Latis—এই সফটওয়্যারগুলো ভিডিও ইন্টারভিউ নিতে পারে, প্রার্থীর কোডিং দক্ষতা মূল্যায়ন করতে পারে, যা অনেক সময় মানব মূল্যায়কের পক্ষে কঠিন।

তিনি জানান, “একজন এইচআর ম্যানেজারের মাসিক বেতন যেখানে দেড় লাখ টাকা, সেখানে একটি এআই সফটওয়্যারই বছরে এক থেকে দুই লাখ টাকায় পুরো কাজটি করে দিতে পারে।”


পোশাক খাতে ‘সুপারভাইজার’ পদের বিলুপ্তি

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পেও এআই ঢুকেছে দ্রুত।
এক কর্মী জানান, “এখন আমাদের সেলাই মেশিনের সঙ্গে স্ক্রিন যুক্ত থাকে—দিনের টার্গেট দেখা যায়। উৎপাদন কমে গেলে লাল আলো জ্বলে, ৭০ শতাংশ হলে কমলা, আর টার্গেট পূর্ণ হলে সবুজ আলো।”

এই মনিটরিং এখন সম্পূর্ণ এআই-চালিত। নিডল (Nidle) নামের একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার দিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি শ্রমিক কতক্ষণ মেশিন চালিয়েছে এবং কতটা সময় অলস ছিল।


ভিডিও, কনটেন্ট ও ভয়েসওভারে বিপ্লব

ভিডিও সম্পাদনা ও কনটেন্ট প্রোডাকশনের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। View Motion360-এর সিইও শামীম আহমেদ জানান, “Adobe Firefly-এর মতো টুলস আমাদের কাজ অনেক সহজ করেছে। এখন ন্যূনতম দক্ষতা থাকলেই গ্রাফিক্স, ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা করা যায়।”

তার মতে, “কিছু বছরের মধ্যেই Photoshop ও Premiere Pro পুরোপুরি এআই-নির্ভর হয়ে যাবে। তখন পেশাদার ডিজাইনার বা এডিটর ছাড়াই মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।”


চাকরির ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) ২০১৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫৩.৮ লাখ মানুষ অটোমেশনের কারণে চাকরি হারাতে পারেন।

ম্যাকিন্সির ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক চাকরিই এআই-নির্ভর হয়ে যেতে পারে—যেখানে আগে ১০০ কর্মী লাগত, সেখানে ৫০ জনেই কাজ চালানো সম্ভব হবে।


বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর ভিজিটিং অধ্যাপক ড. নেয়াজ আসাদুল্লাহ সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশে অটোমেশন দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু দক্ষ কর্মশক্তির বিকাশ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না। সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে এটি বেকারত্বের বড় সংকট তৈরি করবে।”

তিনি সরকারকে শিক্ষা কাঠামো আধুনিক করার আহ্বান জানান, যাতে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে।


এআই: হুমকি নয়, সুযোগও বটে

মালয়েশিয়ায় কর্মরত সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ইমতিয়াজ হাসান বলেন, “অনেকে মনে করেন অটোমেশন মানুষকে প্রতিস্থাপন করছে। আসলে এটি দুই দিকের। আপনি যদি পিছিয়ে পড়েন, এটি হুমকি; কিন্তু যদি দক্ষতা বাড়ান, এটি আপনার হাতিয়ার।”

তার মতে, বাংলাদেশ এখন অটোমেশন ও এআই-এ অগ্রসর হলেও, বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব সফটওয়্যার উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিনিয়োগ করা এখন জরুরি।


#কৃত্রিম_বুদ্ধিমত্তা #বাংলাদেশ #চতুর্থ_শিল্পবিপ্লব #এআই #অটোমেশন #চাকরি #প্রযুক্তি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে বিএফটিআই ও আইটিডি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দৌড়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান

০২:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নতুন অস্ত্র

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন শুধু ChatGPT, Gemini, Grok কিংবা Perplexity-র মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তি দুনিয়ায় শুরু হয়েছে এক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা—যেখানে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে অটোমেশন ও এআই-নির্ভর প্রযুক্তিতে। সেই ঢেউ এখন পৌঁছে গেছে বাংলাদেশেও।


ব্যাংকিং সেবায় এআই-এর উপস্থিতি

সম্প্রতি ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন যখন একটি বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহকসেবায় ফোন দেন, তিনি ভাবেননি অপর প্রান্তে মানুষ নয়, একটি এআই তার কল রিসিভ করবে।
“আমার ফোনের উত্তর দিয়েছিল এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তার কথা বলার ভঙ্গি ও প্রতিক্রিয়া ছিল ঠিক মানুষের মতো,” তিনি বলেন বিস্ময়ে।

এখন শুধু ব্যাংকিং নয়, যেখানে আগে বড় বড় গ্রাহকসেবা দল দরকার হতো, সেখানে এখন এআই-চ্যাটবট ও ভয়েস-সেবা অধিকাংশ কাজ করছে নিখুঁতভাবে।


টেলিসার্ভিস খাতে আমূল পরিবর্তন

গ্লোবাল লিডস টেলিসলিউশন-এর সিইও ফারাজ আহমেদ জানান, গত পাঁচ বছরে এই খাতের কাঠামো পুরোপুরি বদলে গেছে।
“আগে বিদেশি ক্লায়েন্ট সামলাতে ১৫-২০ জন কর্মী লাগত, বড় কোম্পানিতে ৫০ জন পর্যন্ত। এখন ৫ জনেই পুরো টিম চালানো যায়—সবই সম্ভব হয়েছে এআই ও অটোমেশনের কারণে,” তিনি বলেন।

তিনি আরও জানান, এখন উন্নত সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশনই যথেষ্ট—বড় দল গঠন করার প্রয়োজন পড়ে না। এভাবে বাংলাদেশের টেলিসার্ভিস পেশার কাঠামোই পাল্টে গেছে।


চাকরির বাজারে রিজ্যুম筛নেও এআই

মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা ‘Application of Artificial Intelligence in Human Resource Management: A Bangladesh Perspective’ অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানি এখন চাকরিপ্রার্থীর সিভি বাছাইয়ে এআই ব্যবহার করছে।

সফটওয়্যার কোম্পানির এইচআর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “অ্যাটেনডেন্স ট্র্যাকিং, রিজ্যুম筛ন, এমনকি প্রাথমিক সাক্ষাৎকারও এখন এআই দিয়ে হচ্ছে।”

Olivia, HireVue, Leena, Latis—এই সফটওয়্যারগুলো ভিডিও ইন্টারভিউ নিতে পারে, প্রার্থীর কোডিং দক্ষতা মূল্যায়ন করতে পারে, যা অনেক সময় মানব মূল্যায়কের পক্ষে কঠিন।

তিনি জানান, “একজন এইচআর ম্যানেজারের মাসিক বেতন যেখানে দেড় লাখ টাকা, সেখানে একটি এআই সফটওয়্যারই বছরে এক থেকে দুই লাখ টাকায় পুরো কাজটি করে দিতে পারে।”


পোশাক খাতে ‘সুপারভাইজার’ পদের বিলুপ্তি

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পেও এআই ঢুকেছে দ্রুত।
এক কর্মী জানান, “এখন আমাদের সেলাই মেশিনের সঙ্গে স্ক্রিন যুক্ত থাকে—দিনের টার্গেট দেখা যায়। উৎপাদন কমে গেলে লাল আলো জ্বলে, ৭০ শতাংশ হলে কমলা, আর টার্গেট পূর্ণ হলে সবুজ আলো।”

এই মনিটরিং এখন সম্পূর্ণ এআই-চালিত। নিডল (Nidle) নামের একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার দিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি শ্রমিক কতক্ষণ মেশিন চালিয়েছে এবং কতটা সময় অলস ছিল।


ভিডিও, কনটেন্ট ও ভয়েসওভারে বিপ্লব

ভিডিও সম্পাদনা ও কনটেন্ট প্রোডাকশনের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। View Motion360-এর সিইও শামীম আহমেদ জানান, “Adobe Firefly-এর মতো টুলস আমাদের কাজ অনেক সহজ করেছে। এখন ন্যূনতম দক্ষতা থাকলেই গ্রাফিক্স, ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা করা যায়।”

তার মতে, “কিছু বছরের মধ্যেই Photoshop ও Premiere Pro পুরোপুরি এআই-নির্ভর হয়ে যাবে। তখন পেশাদার ডিজাইনার বা এডিটর ছাড়াই মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব হবে।”


চাকরির ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) ২০১৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫৩.৮ লাখ মানুষ অটোমেশনের কারণে চাকরি হারাতে পারেন।

ম্যাকিন্সির ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক চাকরিই এআই-নির্ভর হয়ে যেতে পারে—যেখানে আগে ১০০ কর্মী লাগত, সেখানে ৫০ জনেই কাজ চালানো সম্ভব হবে।


বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর ভিজিটিং অধ্যাপক ড. নেয়াজ আসাদুল্লাহ সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশে অটোমেশন দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু দক্ষ কর্মশক্তির বিকাশ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না। সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে এটি বেকারত্বের বড় সংকট তৈরি করবে।”

তিনি সরকারকে শিক্ষা কাঠামো আধুনিক করার আহ্বান জানান, যাতে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে।


এআই: হুমকি নয়, সুযোগও বটে

মালয়েশিয়ায় কর্মরত সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ইমতিয়াজ হাসান বলেন, “অনেকে মনে করেন অটোমেশন মানুষকে প্রতিস্থাপন করছে। আসলে এটি দুই দিকের। আপনি যদি পিছিয়ে পড়েন, এটি হুমকি; কিন্তু যদি দক্ষতা বাড়ান, এটি আপনার হাতিয়ার।”

তার মতে, বাংলাদেশ এখন অটোমেশন ও এআই-এ অগ্রসর হলেও, বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব সফটওয়্যার উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিনিয়োগ করা এখন জরুরি।


#কৃত্রিম_বুদ্ধিমত্তা #বাংলাদেশ #চতুর্থ_শিল্পবিপ্লব #এআই #অটোমেশন #চাকরি #প্রযুক্তি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট