কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সাবদালপুর গ্রামে বুধবার রাতে সৎপুত্রের হাতে কুপিয়ে আহত হওয়া এক নারী বৃহস্পতিবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিস্তারিত প্রতিবেদন
নিহতার নাম হালিমা খাতুন (৩৪)। তিনি ইমদাদুল হক মুনশির দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে জানা যায়, ৭৫ বছর বয়সী ইমদাদুল প্রায় তিন বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন।
তার চার ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে — সবাই বিবাহিত। চার ছেলেই সৌদি আরবে কাজ করেন।
সর্বকনিষ্ঠ ছেলে শাহীন আট মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। দুই মাস আগে ইমদাদুল দাউদকান্দির জয়নগর গ্রামের হালিমা খাতুনকে বিবাহ করেন।
ইমদাদুল জানান, তিনি শৌচাগারে ছিলেন, তখনই তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

তিনি বলেন, “আমি ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। আমি চিৎকার দিলে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। আমরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করি, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ইমদাদুলের তৃতীয় ছেলের স্ত্রী শিরিন আখতার বলেন, “আমরা চিৎকার শুনে জেগে উঠেছিলাম এবং দেখি শাহীন ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমার সৎমা রক্তে ভেসে পড়ে আছেন।”
পরিবারের আত্মীয় ও সাবেক বাতাঘাসি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ জানান, “ইমদাদুলের দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে পরিবারে কোনো বিরোধ ছিল না। কেউ জানে না শাহীন কেন তার সৎমাকে আক্রমণ করেছিল। ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়।”
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাভেদুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের স্বামী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
#কুমিল্লা #চান্দিনা #হত্যা #পারিবারিক_বিরোধ #সৎপুত্র #বাংলাদেশ_সংবাদ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















