একাদশ পরিচ্ছেদ
নিজের ওপর ফু’সে-ওঠা উন্মত্ত ক্রোধের সঙ্গে চারিদিকের সেই অভিশপ্ত বুক-
খাঁখাঁ-করা নৈঃশব্দ্যের প্রতি বিতৃষ্ণা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছিল আমার মধ্যে। আর, নিষ্ফল আক্রোশ, মনস্তাপ আর হতাশায় পাগল হয়ে গিয়ে আচমকা লাফিয়ে উঠে পড়ে আমি পকেট থেকে বোমাটা টেনে বের করলুম। তারপর বোমার সেফটি ক্যাচ খুলে দিয়ে ঘাসফুল, ঘন ক্লোভার-ঘাস আর শিশিরে-ভেজা ব্লু-বেল ফুলের মাঝখানে সেই সবুজ মাঠের ওপর সজোরে ছুড়ে মারলুম সেটা।
আমি একান্তভাবে যা চাইছিলুম তাই হল। কান-ফাটানো আওয়াজ করে ফাটল বোমাটা। আর তার উন্মত্ত প্রতিধ্বনি দূর থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়তে লাগল।
জঙ্গলের ধার ঘে’ষে এরপর হে’টে চললুম আমি।
‘হেই, কে যায় ওখেনে?’ সঙ্গে সঙ্গে ঝোপের আড়াল থেকে একটা গলার আওয়াজ পেলুম।
চলতে চলতেই জবাব দিলুম, ‘আমি।’
‘আরে, আমিটা কে? না-কইলি এখখুনি গুলি চালাব।’
‘চুলোয় যা. চালা গুলি, দেখি!’ রেগে চে’চিয়ে মাওজারটা টেনে বের করলুম।
‘এই পাগল্য, থাম্।’ এবার আরেকটা, যেন একটু চেনা-চেনা, একটা গলা শোনা গেল। ‘এই ভাস্কা, দাঁড়া দিকি এক মিনিট। ও যেন আমাদের বরিস বলে মনে লিচ্ছে?’
আমাদের বাহিনীরই একজন, খনি-মজুর মালিগিনের দিকে পিস্তল তাক করে গুলি করতে যাব এমন সময় নিজেকে সংযত করার মতো সুবুদ্ধি দেখা দিল আমার।
‘আরে, কোন চুলো থেকে আসচ বাপু? আমাদের বাহিনী এই কাছেই আচে। বোমটা ফাটাল কে তাই দেখতে পাঠিয়েচে আমাদের। তুমিই বোম ফাটালে নাকি?’
‘হ্যাঁ।’
‘বলি, মতলবখানা কী? ইদিক-উদিক বোম ফাটাচ্চ কোন্ আক্কেলে? নড়াইয়ের জন্যি কি হাত নিল্পিশ করচে? তা, মাতাল হও নি তো রে বাপু?’
আর্কাদি গাইদার 

















