স্কোপ-২/৩, সময়-ম্যাচিং বিদ্যুৎ ও মানদণ্ডের লড়াই
করপোরেট কার্বন হিসাব কেমন হবে—এ প্রশ্নে প্রযুক্তি জায়ান্ট ও পরিবেশবাদীদের টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। এআই-নির্ভর ডেটা-সেন্টারের বিদ্যুৎ কীভাবে ধরা হবে, “সময়-ম্যাচড” নবায়নযোগ্য কেনাকাটা কতটা ক্রেডিট পাবে—এসবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিতর্ক। কোম্পানির দাবি—ঘণ্টাভিত্তিক নিখুঁত ম্যাচিং ব্যয়সাপেক্ষ ও বহু অঞ্চলে নবায়ন কম থাকায় বাস্তবসম্মত নয়; কর্মীরা বলেন—নমনীয় হিসাব কাগজে ‘সবুজ’ দেখালেও গ্রিডে জীবাশ্মের ব্যবহার কমে না। বিষয়টি স্কোপ-২ (ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ) ও স্কোপ-৩ (সাপ্লাই চেইন) উভয় ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। এআই-লোড দ্রুত বেড়ে চলায় নিয়মের ভাষ্যই নির্ধারণ করছে—ডেটা-সেন্টার কোথায় বসবে, কোন পাওয়ার-চুক্তি হবে, এবং স্থানীয়ভাবে নতুন লাইন-স্টোরেজ গড়বে কি না।

কী বদল আসতে পারে, প্রযুক্তিখাতের বাইরেও কেন জরুরি
মানদণ্ড নির্ধারকেরা হালনাগাদ করতে চাইছেন—কিন্তু ফাঁকফোকর না রেখে। একটি ভাবনা হলো “মার্কেট-বেইজড” ক্রেডিট ও “গ্রিড-ইনক্রিমেন্টাল” সরবরাহ আলাদা দেখানো—যেখানে পরেরটি নতুন পরিষ্কার সামর্থ্য যোগ করে। একই সঙ্গে ডেটা-সেন্টারের লোড-প্রোফাইল ঘণ্টাভিত্তিক প্রকাশের চাপ বাড়ছে। ইউটিলিটি বলছে—সার্টিফিকেটের ‘গেম’ বাস্তব লাইন-স্টোরেজ নির্মাণকে ধীর করতে পারে; চিপ নির্মাতা পাল্টা যুক্তি দেয়—অতিরিক্ত কড়াকড়ি বিনিয়োগকে অন্য দেশে ঠেলে দেবে। নীতিনির্ধারকেরা নজর রাখছেন, কারণ প্রোটোকল ভর করে তৈরি হয় কোম্পানির ক্লাইমেট ডিসক্লোজার, এক্সপোর্ট-ক্রেডিট ও গ্রিন-বন্ডের গাইডলাইন। দ্রুতবর্ধনশীল এশীয় ক্লাউড বাজারের শিক্ষা—জেনারেশন লক্ষ্যকে গ্রিড-সংস্কারের সঙ্গে বাঁধতে হবে, নইলে ব্যাটারি-ফ্লেক্সিবল চাহিদা-ট্রান্সমিশন সময়মতো পৌঁছাবে না। শেষকথা: বিনিয়োগকারী-নিয়ন্ত্রকরা প্রকল্পস্তরের প্রমাণ চাইবেন—ইন্টারকানেকশন কিউ, স্টোরেজ কমিটমেন্ট, আর নির্ণেয় এমিশন ইন্টেনসিটি—তারপরই ‘সবুজ এআই’ দাবিতে আস্থা রাখবেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















