০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে বিএফটিআই ও আইটিডি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ: গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা- আসিফ নজরুল সৎপুত্রের হাতে আহত নারী ঢাকায় মারা গেলেন ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীতে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু সংশোধিত নির্বাচনী প্রতীক তালিকায় অবশেষে যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছয় মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কৃত রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১২) ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৯২৮ চার পুলিশ সুপার পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হলেন আমরা চাই না বিএনপি নিজেদের ধ্বংসের পথ নিজে তৈরি করুক- নাসিরউদ্দিন পাঠওয়ারী

এআই ডেটা-সেন্টারের কার্বন হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্ব—ঘাতে ‘গ্রিনহাউস গ্যাস প্রোটোকল

স্কোপ-২/৩, সময়-ম্যাচিং বিদ্যুৎ ও মানদণ্ডের লড়াই
করপোরেট কার্বন হিসাব কেমন হবে—এ প্রশ্নে প্রযুক্তি জায়ান্ট ও পরিবেশবাদীদের টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। এআই-নির্ভর ডেটা-সেন্টারের বিদ্যুৎ কীভাবে ধরা হবে, “সময়-ম্যাচড” নবায়নযোগ্য কেনাকাটা কতটা ক্রেডিট পাবে—এসবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিতর্ক। কোম্পানির দাবি—ঘণ্টাভিত্তিক নিখুঁত ম্যাচিং ব্যয়সাপেক্ষ ও বহু অঞ্চলে নবায়ন কম থাকায় বাস্তবসম্মত নয়; কর্মীরা বলেন—নমনীয় হিসাব কাগজে ‘সবুজ’ দেখালেও গ্রিডে জীবাশ্মের ব্যবহার কমে না। বিষয়টি স্কোপ-২ (ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ) ও স্কোপ-৩ (সাপ্লাই চেইন) উভয় ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। এআই-লোড দ্রুত বেড়ে চলায় নিয়মের ভাষ্যই নির্ধারণ করছে—ডেটা-সেন্টার কোথায় বসবে, কোন পাওয়ার-চুক্তি হবে, এবং স্থানীয়ভাবে নতুন লাইন-স্টোরেজ গড়বে কি না।

কী বদল আসতে পারে, প্রযুক্তিখাতের বাইরেও কেন জরুরি
মানদণ্ড নির্ধারকেরা হালনাগাদ করতে চাইছেন—কিন্তু ফাঁকফোকর না রেখে। একটি ভাবনা হলো “মার্কেট-বেইজড” ক্রেডিট ও “গ্রিড-ইনক্রিমেন্টাল” সরবরাহ আলাদা দেখানো—যেখানে পরেরটি নতুন পরিষ্কার সামর্থ্য যোগ করে। একই সঙ্গে ডেটা-সেন্টারের লোড-প্রোফাইল ঘণ্টাভিত্তিক প্রকাশের চাপ বাড়ছে। ইউটিলিটি বলছে—সার্টিফিকেটের ‘গেম’ বাস্তব লাইন-স্টোরেজ নির্মাণকে ধীর করতে পারে; চিপ নির্মাতা পাল্টা যুক্তি দেয়—অতিরিক্ত কড়াকড়ি বিনিয়োগকে অন্য দেশে ঠেলে দেবে। নীতিনির্ধারকেরা নজর রাখছেন, কারণ প্রোটোকল ভর করে তৈরি হয় কোম্পানির ক্লাইমেট ডিসক্লোজার, এক্সপোর্ট-ক্রেডিট ও গ্রিন-বন্ডের গাইডলাইন। দ্রুতবর্ধনশীল এশীয় ক্লাউড বাজারের শিক্ষা—জেনারেশন লক্ষ্যকে গ্রিড-সংস্কারের সঙ্গে বাঁধতে হবে, নইলে ব্যাটারি-ফ্লেক্সিবল চাহিদা-ট্রান্সমিশন সময়মতো পৌঁছাবে না। শেষকথা: বিনিয়োগকারী-নিয়ন্ত্রকরা প্রকল্পস্তরের প্রমাণ চাইবেন—ইন্টারকানেকশন কিউ, স্টোরেজ কমিটমেন্ট, আর নির্ণেয় এমিশন ইন্টেনসিটি—তারপরই ‘সবুজ এআই’ দাবিতে আস্থা রাখবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারে বিএফটিআই ও আইটিডি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক

এআই ডেটা-সেন্টারের কার্বন হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্ব—ঘাতে ‘গ্রিনহাউস গ্যাস প্রোটোকল

০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

স্কোপ-২/৩, সময়-ম্যাচিং বিদ্যুৎ ও মানদণ্ডের লড়াই
করপোরেট কার্বন হিসাব কেমন হবে—এ প্রশ্নে প্রযুক্তি জায়ান্ট ও পরিবেশবাদীদের টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। এআই-নির্ভর ডেটা-সেন্টারের বিদ্যুৎ কীভাবে ধরা হবে, “সময়-ম্যাচড” নবায়নযোগ্য কেনাকাটা কতটা ক্রেডিট পাবে—এসবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিতর্ক। কোম্পানির দাবি—ঘণ্টাভিত্তিক নিখুঁত ম্যাচিং ব্যয়সাপেক্ষ ও বহু অঞ্চলে নবায়ন কম থাকায় বাস্তবসম্মত নয়; কর্মীরা বলেন—নমনীয় হিসাব কাগজে ‘সবুজ’ দেখালেও গ্রিডে জীবাশ্মের ব্যবহার কমে না। বিষয়টি স্কোপ-২ (ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ) ও স্কোপ-৩ (সাপ্লাই চেইন) উভয় ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। এআই-লোড দ্রুত বেড়ে চলায় নিয়মের ভাষ্যই নির্ধারণ করছে—ডেটা-সেন্টার কোথায় বসবে, কোন পাওয়ার-চুক্তি হবে, এবং স্থানীয়ভাবে নতুন লাইন-স্টোরেজ গড়বে কি না।

কী বদল আসতে পারে, প্রযুক্তিখাতের বাইরেও কেন জরুরি
মানদণ্ড নির্ধারকেরা হালনাগাদ করতে চাইছেন—কিন্তু ফাঁকফোকর না রেখে। একটি ভাবনা হলো “মার্কেট-বেইজড” ক্রেডিট ও “গ্রিড-ইনক্রিমেন্টাল” সরবরাহ আলাদা দেখানো—যেখানে পরেরটি নতুন পরিষ্কার সামর্থ্য যোগ করে। একই সঙ্গে ডেটা-সেন্টারের লোড-প্রোফাইল ঘণ্টাভিত্তিক প্রকাশের চাপ বাড়ছে। ইউটিলিটি বলছে—সার্টিফিকেটের ‘গেম’ বাস্তব লাইন-স্টোরেজ নির্মাণকে ধীর করতে পারে; চিপ নির্মাতা পাল্টা যুক্তি দেয়—অতিরিক্ত কড়াকড়ি বিনিয়োগকে অন্য দেশে ঠেলে দেবে। নীতিনির্ধারকেরা নজর রাখছেন, কারণ প্রোটোকল ভর করে তৈরি হয় কোম্পানির ক্লাইমেট ডিসক্লোজার, এক্সপোর্ট-ক্রেডিট ও গ্রিন-বন্ডের গাইডলাইন। দ্রুতবর্ধনশীল এশীয় ক্লাউড বাজারের শিক্ষা—জেনারেশন লক্ষ্যকে গ্রিড-সংস্কারের সঙ্গে বাঁধতে হবে, নইলে ব্যাটারি-ফ্লেক্সিবল চাহিদা-ট্রান্সমিশন সময়মতো পৌঁছাবে না। শেষকথা: বিনিয়োগকারী-নিয়ন্ত্রকরা প্রকল্পস্তরের প্রমাণ চাইবেন—ইন্টারকানেকশন কিউ, স্টোরেজ কমিটমেন্ট, আর নির্ণেয় এমিশন ইন্টেনসিটি—তারপরই ‘সবুজ এআই’ দাবিতে আস্থা রাখবেন।