০২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
মৃত্যুর হিসাব এখনো চলছে: টাইফুন ‘টিনো’-র তাণ্ডব পেঁয়াজের দাম: দশ দিনেই দ্বিগুণ বাড়ার কারণ কী? আলাস্কায় টাইফুনে বিধ্বস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা এআই যুগে নতুন প্রেমের খোঁজ: ডেটিং অ্যাপের রূপান্তর খারাপ রাষ্ট্রে ভালো নাগরিক হওয়ার সাহস: নৈতিক দায়িত্ব ও বিবেকের লড়াই মধ্যবয়সী নারীর শরীর ও মনকে ঘিরে নতুন ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য: ‘বিগ ওয়েলনেস’-এর উত্থান নাৎসি দখলের বিরুদ্ধে সাহসী ডাচ ইহুদির প্রতিরোধ সংগ্রাম: মৃত্যুর ছায়া পেরিয়ে মানবতার জয়গান 💊 ফাইজারের বিক্রি ও মুনাফায় ধস: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে বড় ধাক্কা সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ পুতুলবাড়ি: এক ক্ষুদ্র জগতের বিলাসী প্রাসাদ নিখোঁজ সন্তান ও উদ্বিগ্ন মা: ‘অল হার ফল্ট’-এর গল্পে আধুনিক মাতৃত্ব ও অপরাধের জটিলতা

যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০% ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ

সংকটাপন্ন বিমান চলাচল: ৩৬ দিন ধরে সরকারি অচলাবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থার ৩৬তম দিনে পরিবহন সচিব শন ডাফি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হবে। তিনি জানান, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এই হঠাৎ ঘোষণায় বিমান সংস্থাগুলোতে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ফ্লাইট সূচি পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীরা বিমান সংস্থার হেল্পলাইনে ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আসন্ন ভ্রমণ নিয়ে।

ডাফি জানান, ডেমোক্র্যাটরা যদি সরকার পুনরায় চালুর বিষয়ে রাজি হয়, তাহলে এই ফ্লাইট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে।


কর্মী সংকট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি

অচলাবস্থার কারণে ১৩,০০০ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০,০০০ নিরাপত্তা কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। এর ফলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকিংয়ে সময় বেড়েছে এবং ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে।

ডাফি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো আকাশপথের নিরাপত্তা বজায় রাখা। এজন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলেও তা আমরা নেব।”

শাটডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে হাজারো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এয়ারলাইনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ যাত্রীরা এর প্রভাব ভোগ করেছেন।


ধাপে ধাপে ফ্লাইট কমানোর পরিকল্পনা

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানিয়েছে, ফ্লাইট কমানো শুরু হবে ধাপে ধাপে — প্রথমে ৪%, শনিবার ৫%, রবিবার ৬%, এবং আগামী সপ্তাহে ১০% পর্যন্ত কমানো হবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই কাটছাঁটের আওতার বাইরে থাকবে।

এফএএ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড বলেন, “এই ৪০টি বাজারে চাপ বাড়ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আমরা চাই আকাশপথ যেন আজ যেমন নিরাপদ, আগামীকালও তেমনই থাকে।”

যদিও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানবন্দরের নাম প্রকাশ করেনি, ধারণা করা হচ্ছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ডালাসসহ ৩০টি ব্যস্ততম বিমানবন্দর এতে অন্তর্ভুক্ত। বিশ্লেষক সংস্থা সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে প্রতিদিন প্রায় ১,৮০০ ফ্লাইট ও ২,৬৮,০০০ আসন কমে যাবে।


বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া

“এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা”নামের বাণিজ্যিক সংগঠন, যা ডেল্টা, ইউনাইটেড, আমেরিকান এবং সাউথওয়েস্টসহ বড় বিমান সংস্থাগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে, জানিয়েছে তারা সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে এবং যাত্রীদের প্রভাব কমাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা ফ্লাইট কাটছাঁটির ফলে সূচিতে কী প্রভাব পড়বে তা যাচাই করছে এবং দ্রুত যাত্রীদের জানানো হবে। কোম্পানিটি আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সরকার পুনরায় চালুর জন্য দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে।

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সংগঠন AFA-CWA বলেছে, “এই শাটডাউন আমেরিকার সব নাগরিকের ওপর নিষ্ঠুর আঘাত।” সংগঠনের সভাপতি সারা নেলসন মন্তব্য করেন, “ফেডারেল কর্মীদের বেতন ও স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে বেছে নেওয়ার এই মিথ্যা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছেন যারা নিজেরাই এটি সমাধান করতে পারেন।”


রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও চাপের কৌশল

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে কংগ্রেসে তীব্র মতবিরোধের কারণে সরকারি তহবিল বিল পাস হয়নি। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি জানালেও রিপাবলিকানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার দল অচলাবস্থা থেকে সৃষ্ট দুর্ভোগকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে।


ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা ও অর্থনৈতিক প্রভাব

অচলাবস্থা শুরু হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। ইতিমধ্যেই নিম্নআয়ের অনেক নাগরিক খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সরকারি সেবা বন্ধ রয়েছে এবং ৭.৫ লাখ ফেডারেল কর্মী বেতন ছাড়াই ঘরে বসে আছেন।

ডাফি সতর্ক করে বলেছেন, সরকার যদি আর এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে, তাহলে “বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা” সৃষ্টি হবে। এবং জাতীয় আকাশসীমার কিছু অংশ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন তারা।

ইতিমধ্যে ইউনাইটেড ও আমেরিকানসহ প্রধান বিমান সংস্থার শেয়ারমূল্য প্রায় ১% কমে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের ব্যবসায় বড় প্রভাব পড়েনি, তবু দীর্ঘ অচলাবস্থা চললে বুকিং কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার ২,১০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার এফএএ জানিয়েছিল, তাদের ৩০টি বৃহত্তম বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কন্ট্রোলার কাজে হাজির হচ্ছেন না।

এছাড়া সরকার মহাকাশ উৎক্ষেপণ ও ব্যক্তিগত বিমান চলাচলেও সময়ভিত্তিক সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা শুধু রাজনীতি নয়, বিমান নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ফেডারেল প্রশাসন ও কংগ্রেসের সমঝোতা ছাড়া এই সংকটের দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়।


#যুক্তরাষ্ট্র #সরকারি_অচলাবস্থা #বিমানবন্দর #ফ্লাইট_কমানো #অর্থনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর হিসাব এখনো চলছে: টাইফুন ‘টিনো’-র তাণ্ডব

যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০% ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ

১১:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সংকটাপন্ন বিমান চলাচল: ৩৬ দিন ধরে সরকারি অচলাবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থার ৩৬তম দিনে পরিবহন সচিব শন ডাফি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হবে। তিনি জানান, বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এই হঠাৎ ঘোষণায় বিমান সংস্থাগুলোতে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ফ্লাইট সূচি পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীরা বিমান সংস্থার হেল্পলাইনে ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আসন্ন ভ্রমণ নিয়ে।

ডাফি জানান, ডেমোক্র্যাটরা যদি সরকার পুনরায় চালুর বিষয়ে রাজি হয়, তাহলে এই ফ্লাইট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে।


কর্মী সংকট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি

অচলাবস্থার কারণে ১৩,০০০ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০,০০০ নিরাপত্তা কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। এর ফলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকিংয়ে সময় বেড়েছে এবং ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে।

ডাফি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো আকাশপথের নিরাপত্তা বজায় রাখা। এজন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলেও তা আমরা নেব।”

শাটডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে হাজারো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। এয়ারলাইনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ যাত্রীরা এর প্রভাব ভোগ করেছেন।


ধাপে ধাপে ফ্লাইট কমানোর পরিকল্পনা

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানিয়েছে, ফ্লাইট কমানো শুরু হবে ধাপে ধাপে — প্রথমে ৪%, শনিবার ৫%, রবিবার ৬%, এবং আগামী সপ্তাহে ১০% পর্যন্ত কমানো হবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই কাটছাঁটের আওতার বাইরে থাকবে।

এফএএ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড বলেন, “এই ৪০টি বাজারে চাপ বাড়ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আমরা চাই আকাশপথ যেন আজ যেমন নিরাপদ, আগামীকালও তেমনই থাকে।”

যদিও সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানবন্দরের নাম প্রকাশ করেনি, ধারণা করা হচ্ছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ডালাসসহ ৩০টি ব্যস্ততম বিমানবন্দর এতে অন্তর্ভুক্ত। বিশ্লেষক সংস্থা সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে প্রতিদিন প্রায় ১,৮০০ ফ্লাইট ও ২,৬৮,০০০ আসন কমে যাবে।


বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া

“এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা”নামের বাণিজ্যিক সংগঠন, যা ডেল্টা, ইউনাইটেড, আমেরিকান এবং সাউথওয়েস্টসহ বড় বিমান সংস্থাগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে, জানিয়েছে তারা সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে এবং যাত্রীদের প্রভাব কমাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা ফ্লাইট কাটছাঁটির ফলে সূচিতে কী প্রভাব পড়বে তা যাচাই করছে এবং দ্রুত যাত্রীদের জানানো হবে। কোম্পানিটি আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সরকার পুনরায় চালুর জন্য দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে।

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সংগঠন AFA-CWA বলেছে, “এই শাটডাউন আমেরিকার সব নাগরিকের ওপর নিষ্ঠুর আঘাত।” সংগঠনের সভাপতি সারা নেলসন মন্তব্য করেন, “ফেডারেল কর্মীদের বেতন ও স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে বেছে নেওয়ার এই মিথ্যা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছেন যারা নিজেরাই এটি সমাধান করতে পারেন।”


রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও চাপের কৌশল

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে কংগ্রেসে তীব্র মতবিরোধের কারণে সরকারি তহবিল বিল পাস হয়নি। ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি জানালেও রিপাবলিকানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার দল অচলাবস্থা থেকে সৃষ্ট দুর্ভোগকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে।


ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা ও অর্থনৈতিক প্রভাব

অচলাবস্থা শুরু হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। ইতিমধ্যেই নিম্নআয়ের অনেক নাগরিক খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সরকারি সেবা বন্ধ রয়েছে এবং ৭.৫ লাখ ফেডারেল কর্মী বেতন ছাড়াই ঘরে বসে আছেন।

ডাফি সতর্ক করে বলেছেন, সরকার যদি আর এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে, তাহলে “বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা” সৃষ্টি হবে। এবং জাতীয় আকাশসীমার কিছু অংশ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন তারা।

ইতিমধ্যে ইউনাইটেড ও আমেরিকানসহ প্রধান বিমান সংস্থার শেয়ারমূল্য প্রায় ১% কমে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের ব্যবসায় বড় প্রভাব পড়েনি, তবু দীর্ঘ অচলাবস্থা চললে বুকিং কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার ২,১০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার এফএএ জানিয়েছিল, তাদের ৩০টি বৃহত্তম বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কন্ট্রোলার কাজে হাজির হচ্ছেন না।

এছাড়া সরকার মহাকাশ উৎক্ষেপণ ও ব্যক্তিগত বিমান চলাচলেও সময়ভিত্তিক সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা শুধু রাজনীতি নয়, বিমান নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ফেডারেল প্রশাসন ও কংগ্রেসের সমঝোতা ছাড়া এই সংকটের দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়।


#যুক্তরাষ্ট্র #সরকারি_অচলাবস্থা #বিমানবন্দর #ফ্লাইট_কমানো #অর্থনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট