০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা

চীনের থোরিয়াম রিঅ্যাক্টর চালিত বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো জাহাজ উন্মোচন

নতুন যুগের সূচনা: থোরিয়াম শক্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো জাহাজ

চীন এমন একটি কার্গো জাহাজ উন্মোচন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। এই জাহাজের বিশেষত্ব হলো এটি চালিত হবে থোরিয়ামভিত্তিক মল্টেন সল্ট রিঅ্যাক্টর (TMSR) দ্বারা—যার তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট। এই শক্তি মাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক সিওউলফ শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিনে ব্যবহৃত S6W প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টরের সমান।

থোরিয়াম রিঅ্যাক্টরের বৈশিষ্ট্য

প্রচলিত ইউরেনিয়ামভিত্তিক রিঅ্যাক্টরের তুলনায় থোরিয়ামভিত্তিক এই প্রযুক্তি নিরাপদ, সহজলভ্য এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি অনেক কম। সাধারণ রিঅ্যাক্টরের মতো এতে উচ্চচাপ বা বিশালাকৃতির শীতলীকরণ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই রিঅ্যাক্টরকে শীতল রাখার জন্য পানির প্রয়োজন হয় না। ফলে এটি আকারে ছোট, শব্দে কম, এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।

 

বাণিজ্যিক শিপিং শিল্পে সম্ভাব্য পরিবর্তন

এই প্রযুক্তি যদি সফলভাবে বড় পরিসরে প্রয়োগ করা যায়, তবে এটি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিবহনের ধরন আমূল বদলে দিতে পারে। জাহাজ পরিবহনে প্রচলিত জ্বালানির বিকল্প হিসেবে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হতে পারে, যা পরিবেশবান্ধব এবং শক্তি-সাশ্রয়ী উভয়ই।

ধারণা থেকে বাস্তবায়ন

এই জাহাজের ধারণাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। তবে তখন বিস্তারিত প্রযুক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সাম্প্রতিক এই উন্মোচনের মাধ্যমে চীন জানিয়ে দিয়েছে, তারা টেকসই ও নিরাপদ জাহাজ প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনে প্রস্তুত।

চীনের এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং পরিবেশ ও শক্তি ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এক নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করছে। থোরিয়াম রিঅ্যাক্টরনির্ভর জাহাজ ভবিষ্যতের কার্গো পরিবহনে বিপ্লব ঘটাতে পারে—নিরাপত্তা, দক্ষতা ও পরিবেশবান্ধবতার দিক থেকে একসাথে।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪)

চীনের থোরিয়াম রিঅ্যাক্টর চালিত বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো জাহাজ উন্মোচন

১১:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নতুন যুগের সূচনা: থোরিয়াম শক্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো জাহাজ

চীন এমন একটি কার্গো জাহাজ উন্মোচন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। এই জাহাজের বিশেষত্ব হলো এটি চালিত হবে থোরিয়ামভিত্তিক মল্টেন সল্ট রিঅ্যাক্টর (TMSR) দ্বারা—যার তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট। এই শক্তি মাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক সিওউলফ শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিনে ব্যবহৃত S6W প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টরের সমান।

থোরিয়াম রিঅ্যাক্টরের বৈশিষ্ট্য

প্রচলিত ইউরেনিয়ামভিত্তিক রিঅ্যাক্টরের তুলনায় থোরিয়ামভিত্তিক এই প্রযুক্তি নিরাপদ, সহজলভ্য এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি অনেক কম। সাধারণ রিঅ্যাক্টরের মতো এতে উচ্চচাপ বা বিশালাকৃতির শীতলীকরণ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই রিঅ্যাক্টরকে শীতল রাখার জন্য পানির প্রয়োজন হয় না। ফলে এটি আকারে ছোট, শব্দে কম, এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।

 

বাণিজ্যিক শিপিং শিল্পে সম্ভাব্য পরিবর্তন

এই প্রযুক্তি যদি সফলভাবে বড় পরিসরে প্রয়োগ করা যায়, তবে এটি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিবহনের ধরন আমূল বদলে দিতে পারে। জাহাজ পরিবহনে প্রচলিত জ্বালানির বিকল্প হিসেবে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হতে পারে, যা পরিবেশবান্ধব এবং শক্তি-সাশ্রয়ী উভয়ই।

ধারণা থেকে বাস্তবায়ন

এই জাহাজের ধারণাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। তবে তখন বিস্তারিত প্রযুক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সাম্প্রতিক এই উন্মোচনের মাধ্যমে চীন জানিয়ে দিয়েছে, তারা টেকসই ও নিরাপদ জাহাজ প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনে প্রস্তুত।

চীনের এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং পরিবেশ ও শক্তি ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এক নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করছে। থোরিয়াম রিঅ্যাক্টরনির্ভর জাহাজ ভবিষ্যতের কার্গো পরিবহনে বিপ্লব ঘটাতে পারে—নিরাপত্তা, দক্ষতা ও পরিবেশবান্ধবতার দিক থেকে একসাথে।