নতুন দেহাবশেষ হস্তান্তর
ইসরায়েল গাজা থেকে আরও এক জিম্মির দেহাবশেষ পেয়েছে। বুধবার হামাসের সশস্ত্র শাখা গাজা সিটির কাছাকাছি থেকে পাওয়া এক দেহাবশেষ আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা চালাচ্ছে। যদি এটি কোনো জিম্মির হয় বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে গাজায় এখনও ছয়জন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ অবশিষ্ট থাকবে।
গাজায় নতুন করে প্রাণহানি
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার এক ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত এলাকায় ‘হুমকিস্বরূপ’ভাবে এগিয়ে আসায় তারা দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। অপরদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মধ্য গাজায় জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করার সময় ইসরায়েলি হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ঐ এলাকার কোনো ঘটনার বিষয়ে অবগত নয়।

যুদ্ধবিরতির মাঝেও জিম্মি ফেরত প্রক্রিয়া অব্যাহত
দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। হামাস এখন পর্যন্ত জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দি ও যুদ্ধকালীন আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে।
হামাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা নিহত ২৮ জন জিম্মির দেহাবশেষও ফেরত দেবে। তবে সংগঠনটির দাবি, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে দেহগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল অভিযোগ করছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে প্রক্রিয়া বিলম্ব করছে।
সহিংসতা হ্রাস পেলেও উদ্বেগ রয়ে গেছে
যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলা মাঝে মাঝে হলেও অনেকটা কমে এসেছে। এতে শত-সহস্র ফিলিস্তিনি নিজেদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরে ফিরে যেতে পেরেছেন এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণও বেড়েছে। ইসরায়েলি সেনারা এখন শহরের অভ্যন্তর থেকে সরে গিয়ে একটি ‘হলুদ সীমারেখা’র পেছনে অবস্থান নিয়েছে।
তবে গাজায় এখনও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, এবং যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
#গাজা_সংঘাত #ইসরায়েল_হামাস #জিম্মি_সংকট #মধ্যপ্রাচ্য_সংবাদ #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















