সমকালের একটি শিরোনাম “১৫ জেলায় নতুন ডিসি”
দেশের ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। শনিবার গভীর রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন ডিসি পাওয়া জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, গাইবান্ধা, বরগুনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, ভোলা। এরমধ্যে বাগেরহাট জেলার ডিসি আহমেদ কামরুল হাসান নোয়াখালী জেলায়, কুষ্টিয়া জেলার ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে হবিগঞ্জে, ভোলার ডিসি মো. আজাদ জাহানকে গাজীপুরে, বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকায়, সিরাজগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে গাইবান্ধা ও খুলনার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানকে বগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ, বাণিজ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে মাগুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু সাঈদকে পিরোজপুর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর পাবনার জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজ আফরোজা আখতারকে সাতক্ষীরা, স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেনকে বাগেরহাট, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) একান্ত সচিব স. ম. জামশেদ খোন্দকারকে খুলনা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে কুষ্টিয়া এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ডা. শামীম রহমানকে ভোলার ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”৭০-৮০ টাকার পেঁয়াজ ১২০, দাম কমাতে দ্রুত আমদানির সুপারিশ”
বাজারে দাম কমাতে স্বল্প পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। ট্যারিফ কমিশন বলেছে, পেঁয়াজের বাড়তি দামের সুবিধা কৃষক পাচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছে। তাই পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে যাবে। ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ওঠায় দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ে বলে জানায় ট্যারিফ কমিশন। ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই চিঠি দেয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম ১৫০ টাকা ডজন আর পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৯০ টাকা পেরোলে আমদানির অনুমতিসহ শুল্কছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ট্যারিফ কমিশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়েছিল।
টিসিবির তথ্য বলছে, গত শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা। টিসিবির হিসাবে এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।
চিঠিতে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এই সময়ে ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তা বেড়ে এখন ১১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে এই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তাই সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস দেশ ভারত। পেঁয়াজের মোট আমদানির ৯৯ শতাংশই করা হয় ভারত থেকে। এ ছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দলগুলোকে অনৈক্য নিরসনে সরকারের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে কাল”
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের বেঁধে দেয়া সাতদিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল। যদিও গতকাল পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে দলগুলোর সমঝোতায় পৌঁছার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব এলে তাতে সাড়া দেবে বলে শীর্ষ রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধিকাংশ উপদেষ্টা একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার পক্ষে মতামত দেন। তবে সোমবারের জরুরি বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টা বলেন, একই দিনে গণভোট হলে সংস্কার নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সরকার দলগুলোকে আলোচনা করে সমঝোতা করতে এক সপ্তাহ সময় দেয়। এর পরও যদি কোনো জবাব না আসে, তবে উপদেষ্টা পরিষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
সে পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে টেলিফোন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। বিষয়টি নিয়ে ওইদিনই স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা করে বিএনপি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কেবল সরকার উদ্যোগ নিলে আলোচনায় বসবে বিএনপি। একই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরির জন্য সরকারের সমালোচনাও করেছেন দলটির নেতারা। পাশাপাশি আলোচনার জন্য জামায়াতের আহ্বানকে ‘সঠিক পন্থা নয়’ বলেও মত দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যদি আমাদের আহ্বান জানান কোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য যেকোনো ইস্যুতে, আমরা সব সময় আলোচনায় আগ্রহী, যাব। কিন্তু অন্য কোনো একটি রাজনৈতিক দল দিয়ে আমাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে কেন?’
সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে রয়েছে মতভিন্নতা। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট করার পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চায়, আগেই গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে।
মানবজমিনের একটি শিরোন “ঢাকায় সমাবেশ থেকে কী বার্তা দিতে চায় ৮ দল”
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে গণভোটের দাবিতে ৮ দলের ডাকা মহাসমাবেশ ঘিরে নতুন উত্তাপ দেখা দিয়েছে। আগামী ১১ই নভেম্বর রাজধানীতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ সমমনা ৮ দল। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চারদিকে যখন নির্বাচনী ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ প্রধান রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকরা যে সময় নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত, সে সময় এই ইস্যুতে মহাসমাবেশে কী বার্তা দিতে চায় দলগুলো- এমন প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
তবে আন্দোলনরত দলের নেতাদের দাবি, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি গণভোটে রাজি, কিন্তু সময় নিয়ে আপত্তি। তাদের এই আপত্তির কারণে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ পর্যায়ে বিএনপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চায় না, কেবল যেন তেন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়- জনমনে এমন বার্তা দিতেই তারা আন্দোলন করছেন। তবে রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ভিন্ন ইস্যুতে ব্যস্ত রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে এই দলগুলো এমন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
সমাবেশের বিষয়ে মালয়েশিয়া সফররত জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জুলাই সনদের স্বীকৃতি তথা গণভোটের বিষয়টি মৌলিক দাবি। বিএনপি এই দাবিটা পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে। এতে রাজনৈতিক বিভত্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের আলোচনার আহ্বান করেছি। তারা সাড়া দিবে না। ফলে দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ৮ দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে। এতেও ফলোদয় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে হতে পারে। আর তাতে নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াত আগে থেকেই মাঠে আছে, হঠাৎ করে আসেনি। আলোচনা এবং রাজপথে নিজেদের দাবি জানানো সমানভাবে চলছে।
গণভোট আগে চাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মানুষের মনোযোগ থাকে দল ও প্রার্থীর ওপর। নির্বাচনের কেন্দ্র দখল, ভোটকেন্দ্র স্থগিত হওয়া, আবার দুই ভোট একসঙ্গে হলে অনেক সময় লাগবে। এতে সব ভোটার হয়তো ভোটও দিতে পারবে না। তিনি বলেন, চলমান সংকটের দায়ভার বিএনপি একই সঙ্গে সরকারের ওপরও বর্তায়। সরকার এখন পর্যন্ত আদেশ জারি করেনি। অপরদিকে, গণভোটের বিরোধিতা করে প্রকারান্তরে জুলাই সনদ তথা সংস্কারের বিরোধিতা করছে বিএনপি। তাদের কারণেই নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 


















