০৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের ৯ রানে জয়; ওয়েস্ট ইনডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল কিউইরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল তুরস্ক নাটোরে পুলিশের হাত থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিল জনতা বেতন কাঠামো উন্নয়ন ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রাজশাহীতে তাপমাত্রা নেমে ১৬.৫ ডিগ্রিতে: শীতের আগমনী বার্তা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি যানবাহন শীতের আরাম নিশ্চিত করুন: বাংলাদেশে কোন গিজারগুলো সেরা ঢাকা-খুলনাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ব্যাংকঅ্যাশিওরেন্স: শোকাহত পরিবারের পাশে দ্রুত সহায়তা

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

আলোচনার বদলে সহিংসতা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রশ্ন তুলেছেন—“যখন আলোচনা হতে পারত, তখন কেন সহিংসতা?” তিনি বলেন, যারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ওপর হামলা একেবারেই অমানবিক ও ঘৃণিত। কাদের শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও আটক শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।


এরশাদ আমলের শিক্ষাবান্ধব নীতির উদাহরণ তুলে ধরেন কাদের

এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, “১৯৮৬ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোনো আন্দোলন ছাড়াই লাখ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেছিলেন। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে হাইস্কুল, একটি কলেজ ও একটি মহিলা কলেজ সরকারি করা হয়। তাছাড়া প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তিনি প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা ভবন, উপজেলা কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং ফৌজদারি ও দায়রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপন করেন—যেখানে জনগণের কোনো আন্দোলন বা অনশন লাগেনি।”


বর্তমান সরকারের সমালোচনা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “১৯৯১ সাল থেকে যেসব সরকার নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করছে, তাদের আমলেই আমরা বারবার শিক্ষকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা দেখেছি। যদি শিক্ষক ও শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে তা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ কেন থাকবে? বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলার দৃশ্যগুলো দেখে আমি মর্মাহত।”


প্রশাসনিক সহিংসতার বিরোধিতা

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দাবি-দাওয়া মানা না–ই বা গেল, কিন্তু আলোচনার পরিবর্তে কেন এমন প্রশাসনিক সহিংসতা?”
জিএম কাদের বলেন, সরকারের উচিত ছিল শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, শক্তি প্রয়োগ নয়।


জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

০৩:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

আলোচনার বদলে সহিংসতা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রশ্ন তুলেছেন—“যখন আলোচনা হতে পারত, তখন কেন সহিংসতা?” তিনি বলেন, যারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ওপর হামলা একেবারেই অমানবিক ও ঘৃণিত। কাদের শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও আটক শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।


এরশাদ আমলের শিক্ষাবান্ধব নীতির উদাহরণ তুলে ধরেন কাদের

এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, “১৯৮৬ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোনো আন্দোলন ছাড়াই লাখ লাখ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেছিলেন। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে হাইস্কুল, একটি কলেজ ও একটি মহিলা কলেজ সরকারি করা হয়। তাছাড়া প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তিনি প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা ভবন, উপজেলা কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং ফৌজদারি ও দায়রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপন করেন—যেখানে জনগণের কোনো আন্দোলন বা অনশন লাগেনি।”


বর্তমান সরকারের সমালোচনা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “১৯৯১ সাল থেকে যেসব সরকার নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করছে, তাদের আমলেই আমরা বারবার শিক্ষকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা দেখেছি। যদি শিক্ষক ও শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে তা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ কেন থাকবে? বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলার দৃশ্যগুলো দেখে আমি মর্মাহত।”


প্রশাসনিক সহিংসতার বিরোধিতা

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দাবি-দাওয়া মানা না–ই বা গেল, কিন্তু আলোচনার পরিবর্তে কেন এমন প্রশাসনিক সহিংসতা?”
জিএম কাদের বলেন, সরকারের উচিত ছিল শিক্ষকদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, শক্তি প্রয়োগ নয়।