০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি মানচিত্র শহরে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি, ২০২৫ সালের বাস্তবতা দুবাই উপকূলে সবুজের বিস্তার, জেবেল আলি সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকায় নতুন ছয়শ ম্যানগ্রোভ রোপণ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৯) বৈশ্বিক বক্স অফিসে ভারসাম্যের খোঁজ, ২০২৫ শেষে ২০২৫ সালের শেষে লোহিত সাগরে উত্তেজনায় চাপে বৈশ্বিক নৌপরিবহন হাত্তা পাহাড়ে তারাভরা রাত ও প্রকৃতির পাঠ, ব্যতিক্রমী ক্যাম্পিংয়ে নতুন অভিজ্ঞতা স্মার্টফোন শিল্পে নতুন প্রবৃদ্ধির খোঁজ, ২০২৫ সালের শেষে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকচক্রের ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা

বাংলাদেশের সঙ্গে টাকা ও ট্যারিফ বিরোধে আন্তর্জাতিক সালিশিতে আদানি পাওয়ার”

বিরোধের উৎস ও কেন তা গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গোদ্ডায় স্থাপিত ১,৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির যে চুক্তি ২০১৭ সালে হয়েছিল, পরিশোধ ও কিছু ব্যয়ের হিসাব মিল না হওয়ায় তারা এখন আন্তর্জাতিক সালিশি পথে যাচ্ছে। কোম্পানির দাবি, জ্বালানি, কর ছাড় ও অন্যান্য ‘পাস-থ্রু’ খরচ কীভাবে বিল করা হবে তা চুক্তিতে স্পষ্ট; কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশি ক্রেতা সংস্থা কিছু বিল কমিয়ে বা বিলম্ব করে পরিশোধ করায় সেটা চুক্তিভঙ্গের পর্যায়ে চলে গেছে। ঢাকা বলছে, তারা আসলে কিছু হিসাব স্পষ্ট করতে চেয়েছিল এবং আলোচনাই প্রথম পছন্দ; কিন্তু সালিশি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এখন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় পক্ষকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গোদ্ডা প্ল্যান্ট থেকে আসা বিদ্যুৎ কখনও কখনও বাংলাদেশের মোট সরবরাহের প্রায় দশভাগ পূরণ করেছে, তাই কাগুজে বিরোধও ব্যাংকার ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারীদের কাছে সতর্কবার্তা হয়ে যায়।
ভবিষ্যৎ সীমান্তপারের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের জন্য ইঙ্গিত
দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ ভারতীয় বেসরকারি প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে; তাই টাকার মানের ওঠানামা, ডলারে পরিশোধ ও কর-সুবিধার ব্যবহার নিয়ে একবার বিরোধ সৃষ্টি হলে বাকি প্রকল্পগুলোও সতর্ক হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ কিনে নেওয়া দেশের মুদ্রা দুর্বল হলে বা তারা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বিল আটকে রাখলে প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ চাপের মুখে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত সালিশিই একমাত্র রাস্তা হয়—যা সময় ও খরচ দুটোই বাড়ায়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি স্পষ্ট বার্তা: নতুন চুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি, কর ছাড়ের শর্ত ও সালিশি পর্যন্ত যাওয়ার টাইমলাইন আরও নির্দিষ্ট করতে হবে। দুই পক্ষই বলছে তারা সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তাই মীমাংসার সুযোগ আছে; কিন্তু সেই মীমাংসায় ভবিষ্যতের বড় শক্তি আমদানির জন্য আরও কঠোর শর্ত যুক্ত হয়ে যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সঙ্গে টাকা ও ট্যারিফ বিরোধে আন্তর্জাতিক সালিশিতে আদানি পাওয়ার”

০৭:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

বিরোধের উৎস ও কেন তা গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গোদ্ডায় স্থাপিত ১,৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির যে চুক্তি ২০১৭ সালে হয়েছিল, পরিশোধ ও কিছু ব্যয়ের হিসাব মিল না হওয়ায় তারা এখন আন্তর্জাতিক সালিশি পথে যাচ্ছে। কোম্পানির দাবি, জ্বালানি, কর ছাড় ও অন্যান্য ‘পাস-থ্রু’ খরচ কীভাবে বিল করা হবে তা চুক্তিতে স্পষ্ট; কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশি ক্রেতা সংস্থা কিছু বিল কমিয়ে বা বিলম্ব করে পরিশোধ করায় সেটা চুক্তিভঙ্গের পর্যায়ে চলে গেছে। ঢাকা বলছে, তারা আসলে কিছু হিসাব স্পষ্ট করতে চেয়েছিল এবং আলোচনাই প্রথম পছন্দ; কিন্তু সালিশি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এখন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় পক্ষকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গোদ্ডা প্ল্যান্ট থেকে আসা বিদ্যুৎ কখনও কখনও বাংলাদেশের মোট সরবরাহের প্রায় দশভাগ পূরণ করেছে, তাই কাগুজে বিরোধও ব্যাংকার ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারীদের কাছে সতর্কবার্তা হয়ে যায়।
ভবিষ্যৎ সীমান্তপারের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের জন্য ইঙ্গিত
দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ ভারতীয় বেসরকারি প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে; তাই টাকার মানের ওঠানামা, ডলারে পরিশোধ ও কর-সুবিধার ব্যবহার নিয়ে একবার বিরোধ সৃষ্টি হলে বাকি প্রকল্পগুলোও সতর্ক হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ কিনে নেওয়া দেশের মুদ্রা দুর্বল হলে বা তারা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বিল আটকে রাখলে প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ চাপের মুখে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত সালিশিই একমাত্র রাস্তা হয়—যা সময় ও খরচ দুটোই বাড়ায়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি স্পষ্ট বার্তা: নতুন চুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি, রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি, কর ছাড়ের শর্ত ও সালিশি পর্যন্ত যাওয়ার টাইমলাইন আরও নির্দিষ্ট করতে হবে। দুই পক্ষই বলছে তারা সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তাই মীমাংসার সুযোগ আছে; কিন্তু সেই মীমাংসায় ভবিষ্যতের বড় শক্তি আমদানির জন্য আরও কঠোর শর্ত যুক্ত হয়ে যাবে।